%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
রাজশাহীতে ১০ কেজি হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর বাগডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে ১০ কেজি হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। এসময় বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব-৫।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল হেরোইন উদ্ধার করে র্যাব।
জব্দকৃত হেরোইনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
গ্রেপ্তারকৃরা হলেন- শরিফুল ইসলাম ধুলু মিয়া ও তার ছেলে মোমিনুল ইসলাম। তারা চাপাইনবাবগঞ্জ সদর জাইরা মোরল এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে হেরোইনের একটি বড় চালান রুস্তম আলী নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তার ধুলু মিয়ার কাছে এসে পৌঁছায়। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ধুলু মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার ছেলে মমিনুলকে হেরোইনের চালান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান বাড়ির পেছনের বাঁশ বাগানের মাটির গর্তে পুতে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামে হেরোইন লুকিয়ে রাখা আছে। পরে র্যাব সেখান থেকে হেরোইনগুলো জব্দ করে এবং মমিনুলের তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির পাশের নদীর পাড় থেকে ধুলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
ওই বাবা-ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে র্যাব।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিরি আরও বলেন, ২০২৩ সালে মোট ৮৩ কেজি হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে এই চালান ছিল সবচেয়ে বড়।
বনানীর হোটেল শেরাটনের বিষয়ে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ১৮ জানুয়ারি
বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশেনের জমিতে ২৮তলা ভবনে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করে ভোগ দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিটের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য হাইকোর্ট আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে বোরাক রিয়েল এস্টেটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবু তালেব।
অন্যদিকে ডিএনসিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম নীলিম।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আইনজীবী ছিলেন ইমাম হাসান। সিভিল এভিয়েশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রশিদ।
‘সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’- শিরোনামে ১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন (ঢাসিক) ও বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১১ জুন রিট করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র এবং বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর গত ২৯ আগস্ট এই আদালত শেরাটন হোটেল ভবন বণ্টনের চুক্তি চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে। একই সঙ্গে শুনানির পরবর্তী তারিখ ৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেয় আদালত।
এরপর ৯ অক্টোবর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শেরাটন হোটেলের ২১ থেকে ২৮ তলার বণ্টন ও ভাঙার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বলেন। এরই মধ্যে ভবন নির্মাণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানা হয়নি উল্লেখ করে শেরাটনের ২০ তলার উপরের অংশ ভেঙে ফেলতে গত ৩০ নভেম্বর রাজউককে চিঠি দিয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার হোটেল শেরাটন নিয়ে সার্বিক বিষয়ে ফলোআপ শুনানির দিন ধার্য ছিল হাইকোর্টে। বোরাক রিয়েল এস্টেটের আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, আদালতের জারি করা রুলের ওপর শুনানি হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। তবে সিভিল এভিয়েশনের আইনজীবী শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত ১৮ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রেখেছেন।
আইনজীবী মো. আবু তালেব আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গত ৯ অক্টোবর মাননীয় হাইকোর্ট ডিভিশন ভবনের ২১ থেকে ২৮ তলার ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস-কো) বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আদেশ দেন। এমন অবস্থায় ২০ মাথার উপরের অংশ ভেঙে ফেলতে রাজউককে এধরনের চিঠি দিতে পারে না বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আমরা ইতোমধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর ওই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আদালত অবমানার নোটিশ দিয়েছি।’
গণমাধ্যমে ‘বনানীতে ২৮তলা ভবন সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’-শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে কীভাবে ১৪তলার চুক্তি করে ২৮তলা ভবন বানিয়ে ভোগদখল করছে বোরাক রিয়েল এস্টেট। অথচ জমির মালিক সিটি করপোরেশন।
এ রিপোর্ট প্রকাশের পর ৪ জুন ওই ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দেন ব্যারিস্টার সুমন।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের ৬০ কাঠা জায়গা নিয়ে ডিএনসিসির সঙ্গে ২০০৬ সালে একটি চুক্তি হয় বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের।
বোরাকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নূর আলীর সঙ্গে চুক্তিতে বলা হয়, বনানী কাঁচাবাজারের পশ্চিম পাশে ও বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উত্তর পাশে সিটি করপোরেশনের জমিতে ‘বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হবে। ভবনের ৩০ শতাংশ পাবে সিটি করপোরেশন, ৭০ শতাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে যে বনানীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এমন অসম চুক্তি কীভাবে হয়? এ চুক্তিতেই দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যায়। আর এটি নিশ্চিত হয়েছে যেভাবে তা হলো, যে ৩০ শতাংশ পাবে সিটি করপোরেশন সে ভাগের সম্পদের মূল্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। কিন্তু সে হিস্যা গত এক দশকেও বুঝে পায়নি সিটি করপোরেশন। উল্টো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ১৪তলার স্থলে ২৮তলা ভবন নির্মাণ করে পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বোরাক।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ২০০৬ সালে চুক্তি হয়। ২০১০ সালে সেটি হস্তান্তর করার কথা ছিল। সেখানে এখন ২০২৩ সাল চলে। প্রায় ১৪ বছর ধরে বোরাক রিয়েল এস্টেট শেরাটন হোটেলের মতো একটি আন্তর্জাতিক হোটেল তারা নিয়ে আসছে, কিন্তু একটি টাকাও এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন পায়নি। সেসময় মেয়র ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কীভাবে এমন অসম চুক্তি করতে পারেন- প্রশ্ন তোলেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি বলেন, যে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন তিনি কীভাবে একটি বেসরকারি রিয়েল এস্টেটের মালিককে রাষ্ট্রের সম্পত্তির ৭০ ভাগ মালিকানা দিয়ে দেন। এটা আমার বোধগম্য হয় না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার মনে হয় নূর আলীর মুখোমুখি হওয়ার মতো শক্তি আমাদের সিটি করপোরেশনের নেই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, নতুন বাজেটে যাদের শুধু টিন আছে তাদেরকেও দুই হাজার টাকা কর ধার্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। কষ্ট করে হলেও এ টাকা আমরা হয়ত দেবো। কিন্তু সেখানে ১৪ বছর ধরে কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে আপনারা সেখানে কিছুই বলবেন না? এ কারণে আমার মনে হয়েছে একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার এ অভিযোগ করা উচিত।
এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা বখতিয়ার আহমেদের ৩০ বছরের আইনি লড়াই শেষ
বিএনপি সরকারের সময় চাকরি হারানো এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা বখতিয়ার আহমেদ খানের বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ সংক্রান্ত এক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বখতিয়ার আহমেদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। দীর্ঘ ৩০ বছরের আইনি লড়াই শেষে আত্মসম্মান ও মর্যাদা ফিরে পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বখতিয়ার আহমদ।
তার আইনজীবী রাশনা ইমাম জানান, প্রাপ্য অধিকার ফিরে পেতে এতটা সময় অপেক্ষা করা, দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সমুদ্রসৈকতে নিখোঁজ এনএসআই কর্মকর্তা ও ভাগনির লাশ উদ্ধার
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট বখতিয়ার আহমেদ খান ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কারিগরি শাখায় উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসময় কারিগরি শাখার প্রধান হিসেবে বিএনপির সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করতেন, যা সরাসরি সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের কাছে উপস্থাপন করতেন।
১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে বর্ণিত ব্যক্তিকে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত করা হয় এবং ১৯৯১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত ওএসডি থাকা অবস্থায় একবার তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন।
তদন্ত কমিটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বললে অসম্মতি প্রকাশ করেন তিনি।
ফলে ১৯৯২ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্তৃক চাকরি হারান তিনি। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন।
দীর্ঘ ৩০ বছর আইনি লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার সর্ব্বোচ আদালত তার পক্ষে রায় দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসচাপায় এনএসআই’র সাবেক কর্মকর্তা নিহত
ফরিদপুরের এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক করোনায় আক্রান্ত
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন।
ওই মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিষয়টি আজ আদালতে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন।
শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নোটিশ জারি হয়েছে। রুল প্রস্তুত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
আদালত বলেন, উল্লিখিত হিসেবে বিষয়টি রবিবার কার্যতালিকায় আসবে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের উপর কবে শুনানি হবে, রবিবার আদালত তা নির্ধারণ করবেন।’
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
পরদিন গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ২৯ অক্টোবরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার ছাড়া কোনো ধরনের সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'যেহেতু প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন, তাই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে বা ভোটারদের ভোট দানে নিরুৎসাহিত করতে পারে এমন সভা-সমাবেশ বা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের অনিয়ম খুঁজতে এই অভিযানে নেমেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারে চসিকের প্রধান কার্যালয়ে যায় দুদকের একটি টিম।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ের-১ সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালায় দুদকের এ দল।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা ঝুলন কুমার দাশের ৪১৬ নম্বর রুমে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেছেন। পরে ঝুলন দাশকে নিয়ে দুদকের টিম নির্বাহী প্রকৌশলী তাসমিয়া তাহসিনের রুমে (৩০৩ নম্বর কক্ষ) যান।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে টেন্ডারে অনিয়ম, নিজের পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়াসহ দুনীর্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন যাচাইবাছাই করতে হবে। আরও কিছু কাগজপত্র আমরা চেয়েছি। সেগুলো যাছাইবাছাই শেষে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চসিক’র কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
খুলনায় ৩০ টাকায় প্রতি প্যাকেট ‘কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
খুলনায় 'কুকুরের মাংসের' বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে খালিশপুরে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে জবাই করা কুকুরের দেহাবশেষ দেখতে পায়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. আবু সাইদ (৩৭) ছাড়া বাকিরা সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খালিশপুরের বাসিন্দা আবু সাইদ নগরীতে প্রতি প্যাকেট বিরিয়ানি ৩০ টাকায় বিক্রি করছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ৭ জন গ্রেপ্তার : র্যাব
গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে দলটিকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ইমরান ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রিয়ংকর কুন্ডুর উপস্থিতিতে তাদের খালিশপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পশু কল্যাণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওসি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় নকলে সহায়তার ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার ২
অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে হাজার হাজার গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইন- ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল।
বিবাদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আক্তার হামিদ ও নাসির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
রায়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমন্বয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
ওই কমিটিকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অভিযোগের তদন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা, ঠিকাদারদের তালিকা তৈরি করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রায়ে আদালত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট একটি নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন।
সেখানে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনের ১০, ১২ এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যে সকল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অভিযোগ প্রতিবেদনে উল্লিখিত হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে আদালত তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। সেখানে বুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলরের মনোনীত একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
এ কমিটি ছয় মাসের মধ্যে ২০১২ সাল থেকে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেছে তার অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করবে এবং অর্থ সচিবকে এ অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট, ১৯১৩- এর বিধান অনুসারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী ভোক্তাদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয় তদন্ত করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে এই মামলাটি চলমান হিসেবে রেখেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে হাজার হাজার গ্যাস সংযোগ দিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে- মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের মহাপরিচালক এবং দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ৮ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন পর এ রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে কয়েকটি নির্দেশনা দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
কিশোর তৌহিদের ক্ষতবিক্ষত লাশ, সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপহৃত কিশোর তৌহিদুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদের আলোকে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিতে এবং নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদারককারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন (মানিক)।
রুলে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ ও নিয়মিত তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, আইজিপি, ডিসি গুলশান, ডিসি (ডিবি) গুলশান, সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম পরিবারের সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের ডি ব্লকে থাকতেন। তার বাবা মোহাম্মদ নবী হোসেন জমি কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তৌহিদুল ছিলেন দ্বিতীয়।
আগে মাদরাসায় পড়ে আসা তৌহিদুল বর্তমানে ভাটারার ডুমনি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছিলেন। তৌহিদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল রানা নামে বসুন্ধরা সিকিউরিটিজের একজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২৬ নভেম্বর সকালে বসুন্ধরার ‘পি’ ব্লকের একটি ক্ষেত থেকে তৌহিদুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জুয়েল রানা।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
চিকিৎসার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে ভারতে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মেজর হাফিজ ও তার স্ত্রীকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি যেতে ও দেশে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার রিটটি জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।
রিটে বলা হয়েছে, হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার দেশত্যাগে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়। এমন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার হাফিজ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে বুধবার তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ধরতে স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরে যান। মালপত্র উড়োজাহাজে তোলা হলেও ইমিগ্রেশন পুলিশ অপেক্ষায় রেখে জানায়, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরে বাসায় ফিরে আসেন। অবশ্য হাফিজের স্ত্রীকে যেতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তিনি চিকিৎসা নেবেন।
কেন যেতে দেওয়া হলো না- জানতে চাইলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কিছু বলতে পারেনি। আমি এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। চিকিৎসার জন্যও সরকার আমাকে দিল্লি যেতে দিল না। আমি মর্মাহত।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রেললাইন কাটাকে নাশকতা বলে তদন্তের দাবি বিএনপির
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত