আইনশৃঙ্খলা
হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকী ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উঠাতে পারবে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আইনজীবী মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন।
অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
২০২০ সালে নাঈম নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ নেয়। একদিন নাঈমের ডান হাত একটি মেশিনের ভেতরে ঢুকে যায়। অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।
এ ঘটনায় নাইমের বাবা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে রিট করেন হাইকোর্টে।
নাঈমের বাবার অভিযোগ, ঘটনার দিন ওয়ার্কশপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ তার ছেলেকে জোর করে মেশিন চালাতে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ১০ অক্টোবর নাঈমের চাচা ওয়ার্কশপ মালিক ও ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব হোসেন, ওয়ার্কশপের মিস্ত্রি স্বপন মিয়া, জুম্মান মিয়া, সোহাগ মিয়া ও ব্যবস্থাপক রাজু মিয়াকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নাঈমের বাবা দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন।
এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু নাঈমের এক হাত হারানোর ঘটনায় তাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট বুধবার এ রায় দেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ব্যবস্থা নিন : আইজিপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইড মিলনায়তনে মাসিক (ডিসেম্বর ২০২৩) ক্রাইম রিভিউ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনাও দেন পুলিশ প্রধান। তবে এ মামলায় শাস্তির হার বাড়ানোয় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। ফলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যাশা বেড়েছে।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান আইজিপি।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, লুট খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হারানো মোবাইল ফোন ও মাদক উদ্ধারের মতো সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের মামলা ও সাজা পরোয়ানা সংক্রান্ত তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।
কামরুল আহসান, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া অনলাইনে বৈঠকে অংশ নেন জেলা পুলিশ সুপাররা।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ আরোপ কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় বহাল: ভেঙে ফেলতে হবে গুলশান শপিং সেন্টার
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭, ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বিধানের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ৭ ডিসেম্বর রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দি ছাড়া গণহারে বন্দি আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি না পরাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ডাণ্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
মন্ত্রণালয়ের ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে।
আইনজীবী বলেন, এই পরিপত্র অনুসরণ করতে বলেছেন আদালত। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
একইসঙ্গে বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১৬ জানুয়ারি দেশের ৬৪ কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়। ওই রিটের উপর ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা।
সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি পরানো ছিল।
মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলারসহ নারী আটক
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে ৭৬ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারসহ এক নারী যাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তাকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
ভারত থেকে আসা ওই নারীর নাম নাসরিন আক্তার। তিনি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন এর মেয়ে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে ভারত থেকে আসা ওই নারীকে আটক করে। এ সময় তার ব্যাগ থেকে ৭৬ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা।
আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, স্বামী আটক
বেনাপোলে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া আইনমন্ত্রী মামলা জট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এরপর আইনমন্ত্রী তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালতভবন ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলা জট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
চট্টগ্রামে বিচারকের বিরুদ্ধে মন্তব্য, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
চট্টগ্রাম আদালতের বিচারককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী (২৪) বর্তমানে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুপালংয়ে এপিবিএনে কর্মরত।
তিনি সাতকানিয়া থানার কালিয়াইশ এলাকার চন্দন চৌধুরীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন চট্টগ্রাম মহানগরী ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বেঞ্চ সহকারী এ এস এম নূরে খোদা।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি জোনের এসি অতনু চক্রবর্ত্তী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইমা বসু গত বছর ১৯ জুলাই মহানগরীর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা করেন। আদালত ওইদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমন পেয়েও আসামি হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
এরপর আসামি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। পরে এই আদালত ও বিচারককে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুরচিপূর্ণ মন্তব্য করে বাদির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ধারাবাহিকভাবে মেসেজ দেন। এ ঘটনায় বাদি বিরক্ত হয়ে বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।
আদালত এই বিষয়ে তদন্ত করতে চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেন। গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন দেয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের নির্দেশনা
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে ইচ্ছুকদের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েতকে নিরাপদ ও সুস্থভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মুসল্লিদের নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের অনুরোধ জানানো হয়।
ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নিবেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি, কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে অবহিত করবেন।
টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একাকী বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।
হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
মুসল্লিগণের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পাশ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।
অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি
গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।
ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা/আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন।
রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্তক থাকবেন। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুদ রাখুন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পাশ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করবেন না।
জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ:
উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা- ০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)- ০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)- ০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ, তুরাগ থানা- ০১৩২০-০৪১৮৪৫
ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০১৭১১-০০০৯৯০
আরও পড়ুন: আগামী বছর ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা
গাজীপুর মহানগর পুলিশ:
উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)- ০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)- ০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি- ০১৩২০-০৭২৯৯৮
ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮
র্যাব:
র্যাব-১ কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭১০১৯৯
র্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭২০০২৯
প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা: রবিবার সকালে আবদুল্লাহপুর-ভোগড়া-কামারপাড়ায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে
ঝিনাইদহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, স্বামী আটক
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরাপাড়া গ্রামে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিলা খাতুন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী রানা হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলা খাতুন ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামে মেয়ে। নিলা-রানার আট মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে গাছের সঙ্গে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রানা নিলা খাতুনকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা নিলাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দীন জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ রানাকে পাগলাকানাই এলাকা থেকে আটক করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর খাদে পড়ে কিশোর নিহত
ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন মেলেনি আপিল বিভাগেও
দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ বজলুর রশীদকে জামিন না দিয়ে শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
গত বছরের ৫ এপ্রিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
গত ২ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২৯ মে পর্যন্ত জামিন আদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।
এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে একই বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে আপিল বিভাগে তলব