আইনশৃঙ্খলা
ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদকে শপথ পড়াতে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
পাশাপাশি এ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে শপথ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আদালত আদেশে বলেছেন, রিটকারী সানজিদা খানম চাইলে যথাযথ নিয়মে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে পারবেন।
এর আগে সকালে গেজেট স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আওলাদ হোসেন।
আওলাদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়।
ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। সানজিদা খানমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, মোতাহার হোসেন সাজু, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
আরও পড়ুন: বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসনটির ১৮টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের ঘটনা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার সকালে ঢাকা-৪ আসনের ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭, ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯ ও ডেমরা উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আওলাদ হোসেন মোট ভোট পান ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পান ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করেন নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আ. লীগ প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুলের ওপর শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশচলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিনের রুল শুনানি পিছিয়েছে
বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটি অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, আইনজীবী নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ এন্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি, ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারীরা হলেন- মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী শহিদুল ইসলাম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।
আরও পড়ুন: গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যশোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী নির্বাচন চালিয়ে যেতে পারবেন: হাইকোর্ট
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বিবাদীদের এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট' গানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন।
এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছন। এই গান নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’।
রিটে আরও বলা হয়, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। তার কবিতা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। তার কবিতার আসল সুর অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানানো হয়। বৃটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি লেখেন। ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি 'ভাঙার গান' বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে।
পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী ও তার সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তার কালজয়ী চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেয়া' সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।
রিটে বলা হয়, ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ শত বছরের এক অবিনাশী অমর গান। সময়ের প্রয়োজনে লেখা হলেও গানটির লোকপ্রিয়তায় সামান্য ঘাটতি হয়নি। ব্রিটিশি বিরোধী মানসে লেখা গানটি সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার, ফলে এখনও সমানভাবে এটি প্রাসঙ্গিক।
নোটিশে বলা হয়, একই গান একটি কাজী নজরুলের সুরে ও আরেকটি বিকৃত সুরে থাকলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, এ আর রহমানের গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেননি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত বিটিআরসিকে এআর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পাশাপাশি এ ৯টি মামলায় অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের রমনার তিন ও পল্টনের ছয় মামলার গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত: আইজিপি
ঢাকাসহ সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং দু-একটি ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
ভোট দানকে জনগণের নাগরিক দায়িত্ব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরে সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ যেকোনো নাশকতা বা সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, তারা কেন্দ্রগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন- গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসহ সর্বত্র পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
রাতে নৌকায় ব্যালট বাক্স সিল ভর্তি করার বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, 'আজ সকালে ব্যালট পেপারগুলো ভোটকেন্দ্রে গেছে। এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) সামনে। ব্যালট কখন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল তা আপনারা বলতে পারেন। এই অভিযোগ কতটা সত্য তা আপনারাই বিচার করতে পারেন। যে কেউ এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলবে।’
কবি নজরুল কেন্দ্রে বহিরাগতদের (ভুয়া ভোটার) উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ভুয়া ভোটারদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) একেএম হাফিজ আক্তার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএমপির উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এবং মেট্রোপলিটন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের চার সমর্থককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এই কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
সদর উপজেলার বড়দী ইউনিয়নের কালাইডাঙ্গা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশে বাধা দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নৌকা প্রার্থীর তিন সমর্থককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া মুজিবনগর উপজেলার কাঁঠালপোতা কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নৌকা সমর্থককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মান্নান ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকায় জালভোট দেওয়ার অভিযোগে মাহাতাব হোসেন রুদ্র (২২) নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সঙ্গে তাকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র রায় এ রায় দেন।
এর আগে উলিপুরের বড়াবুড়ি ইউনিয়নের মন্ডলের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১১ নম্বর কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ভয়ভীতি প্রদর্শন করে উলিপুরের রামেশ্বর গ্রামের ওহিয়ার রহমানের ছেলে মাহাতাব হোসেন রুদ্র নৌকা মার্কায় জাল ভোট দিতে গেলে পুলিশ আটক তাকে করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
খবর পয়ে তাৎক্ষণিক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে এসে আদালত বসিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করায় মাহাতাব হোসেনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুর্তজা জানান, মাহাতাব হোসেন রুদ্র ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে দুটি ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪৬ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমায় ট্রাকে অগ্নিকাণ্ড ও মহানগরের আম্বরখানা এলাকায় বিএনপির ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে মামলাগুলো করা হয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা জামে মসজিদের সামন থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও মিছিল শুরু করেন।
এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সাপ্লাই এলাকায় গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। এ সময় ধাওয়া করে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক জালাল খাঁন, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আলী হায়দার মজনু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জেবুল আহমদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এসএমপি এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছে। আটক চারজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি আছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এছাড়া বিএনপির আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
এদিকে, শুক্রবার দিবাগত দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পের পাশে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
রাজধানীর গোপীবাগে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ঘটনার পর গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে যাত্রাবাড়ী থানার পুরনো এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার(৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় নবীকে আদালতে হাজির করে জিঞ্জাসার জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে নবীর আইনজীবী মো. সেলিম মিয়া রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন আদালতের কাছে।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নবী উল্লাহ নবী গত ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর বেআইনিভাবে দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল, বাঁশের লাঠি ও ককটেলসহ অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খসরু-জহিরের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তারা সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন।
সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে চরম জনভোগান্তি তৈরি হয়। নবীসহ অন্য আসামিরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ করে সড়কে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধায়। অগ্নিসংযোগে দুটি বাসের পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি নবী উল্লাহ নবীর নির্দেশ ও হুকুমে পলাতক নেতা-কর্মীরাসহ অজ্ঞাত বিএনপির দুষ্কৃতকারীরা নাম না জানা অনেকের প্ররোচনা, নির্দেশনা, যোগসাজস এবং সহযোগিতায় বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধাসহ আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে গত ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়।
আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী উল্লাহ নবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারা দেশে ৭০০ টহল দল মোতায়েন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছি। আগামীকাল র্যাবের ৭০০ টহল দল কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি কিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং বিশেষ প্রয়োজনে র্যাবের হেলিকপ্টার থাকবে। এর বাইরে আমাদের একটি নতুন ডিভাইস আছে যার নাম ওআইভিএস। এই ডিভাইস দিয়ে এলাকার বাইরের কেউ এলে শনাক্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মত বিনিময় সভা করা হয়েছে। তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সবার মধ্যে ভালো সমন্বয় রয়েছে।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কিছু দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের আগে যেমন নাশকতা দেখা গেছে তার তুলনায় বাংলাদেশে কিছুই হয়নি।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় দেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে বলে মন্তব্য করেন র্যাবের মহাপরিচালক।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে নাগরিক হিসেবে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব