������������������������������
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি, যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাফায়েত উল্লাহ সাগর (২২) নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই রায় দেন।
দণ্ডিত সাফায়েত উল্যাহ সাগর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের জাফর উল্যাহ’র ছেলে। ঘটনার সময় তিনি সন্দ্বীপের হাজী আব্দুল বাতেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পাঁচজনের সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আসামি সাফায়েত উল্লাহ সাগরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯ (১) ধারায় এক বছর করে এবং ৩১ (২) ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথক তিনটি ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলেও কারাদণ্ডসমূহ একসঙ্গে চলবে। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলেও তাকে ভোগ করতে হবে তিন বছর।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়েই আনসার আইন করা হবে: আনিসুল হক
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর সুপারিশ এবং বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়েই আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩ পাস হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আনসারদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, ‘এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছে যে এ ধরনের কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এই আইন নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেসব ব্যাপার যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর সুপারিশ ও ইনপুটের ওপর প্রাথমিকভাবে জোর দিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা হবে।’
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদে আনসার ব্যাটালিয়ন বিল- ২০২৩ উত্থাপন করেছিলেন।
বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের ধারা সংক্রান্ত যাবতীয় উদ্বেগ স্থায়ী কমিটিতে নিরসন করা হবে।
ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে রেল মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অডিট ও আইসিটি) হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্তদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনার পর রেলপথ মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির সদস্যরা আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা করে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুর্ঘটনার কারণ শনাক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) এ.এম সালাউদ্দিন, যুগ্ম মহাপরিচালক (মেকানিক্যাল) তাবাসসুম বিনতে ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হানিফ, মো. তৌফিক ইমাম, অতিরিক্ত সিএসটি (টেলিকম) মো. সাহাদুজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় মেকানিক্যাল অফিসার ডা. রিপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর গোধূলি এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামগামী কন্টেইনারবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মালবাহী ট্রেনের চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রী নজরুল ইসলামের ভাই বিল্লাহ হোসেন সাময়িক বরখাস্ত তিনজনের নামে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ২ দিন পর ফেরত
ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত নুরুজ্জামান (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ দুই দিন পর ফেরত দিয়েছে এ বাহিনী।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি বিওপি’র সীমান্ত ৩৮০ নাম্বার পিলার দিয়ে নিহতের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
নিহত নুরুজ্জামান উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে বলে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সোবহান নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ভারতের ১৫২ বিএসএফের সোনামতি কোম্পানি কমান্ডার টিসি রাজিব চন্দ্র রায় ও উত্তর দিনাজপুর ইসলামপুর থানার এসআই রায়মন এবং বাংলাদেশের বেউরঝাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শামসুল আলম ও আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডোঙ্গার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আব্দুস সোবহানকে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পরে এসআই আব্দুস সোবহান নিহতের বড় ভাই নবিরুলের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
নিহত নুরুজ্জামানসহ ১০/১২ জন গরু আনার জন্য গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ভারতীয় সীমান্তের ওপারে যায়। বিএসএফের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নুরুজ্জামান। ঘটনার দুই দিন পর বুধবার রাতে লাশ ফেরত দেয় তারা।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হোম বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে সরকার বাধা দেবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে সরকার কোনো ধরনের বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন কীভাবে করেছেন, তা আমাদের পুলিশ কমিশনার জানেন। তারা এত লোক, সারা বাংলাদেশের যারা বিএনপি করে, তাদের সবাইকে ঢাকায় আনবেন, কোথায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দিলে ভালো হবে, এত লোক ঢাকায় এলে একটা অন্য ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ জন্য তাদের কোথায় সমাবেশ করতে দেবেন, এটা পুলিশ কমিশনার বুঝবেন, সেইভাবে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
২৮ অক্টোবর নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। এদিন কি আপনারা প্রবেশ বন্ধ করে দেবেন- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঢাকায় প্রবেশপথ আমরা কেন বন্ধ করব? ব্যবসায়িক, চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে লোকজন ঢাকায় আসেন। পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে অফিস-আদালত করা লোকজনও ঢাকায় আসেন। কাজেই ঢাকার পথ কেন আমরা বন্ধ করব? ঢাকার পথ আমরা বন্ধ করব না। তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করে চলে যায়, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা সেখানে কোনো বাধা দেব না।’
সরকারের পতনের দাবিতে ২৮ অক্টেবর সমাবেশ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখেন, সরকার এমন কিছু না, যে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। এটা গণতান্ত্রিক সরকার, কাজেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে। ধাক্কা দিলে সরকার পড়ে যাবে এমন কথা সংবিধানে লেখা নেই।
মহান বজয় দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মহান বিজয় দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারা দেশে প্রয়োজনীয় স্থানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। সারা দেশে জেলাখানা, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধারে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও জাতীয় শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়াও ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন থাকায় জাতীয় মূল অনুষ্ঠানটি হয়তো প্যারেড স্কোয়ারে হবে না। এটা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে যে সিদ্ধান্তটি এসেছে, সেটি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চিন্তা করেন যে প্যারেড হবে, তাহলে হবে। এটা পরিবর্তন হবে কি না; আমি জানি না। তবে এটির সঠিক ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। এ নিয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমি পরে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দিয়েছি। তার সঙ্গে চারটি বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরে বিরোধী দল বিএনপি যে লাখো মানুষের সমাবেশ করবে, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে যে কেউ সমাবেশ করতে পারে, যে কেউ তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে, কিন্তু সেটার একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। জনগণের সম্পত্তি, যানবাহন কিংবা বাধাসৃষ্টি না করতে তাদের প্রতি অনুরোধ করব।
মন্ত্রী বলেন, দূর্গাপূজা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভবে হচ্ছে, শান্তি বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি। রোহিঙ্গা বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। তারা বলেছে, কিছু রোহিঙ্গা আমরা নিতে চাই। জবাবে বলেছি, আপনারা যা নিতে চান, তা তো খুবই অল্পসংখ্যক। বেশি করে নিয়ে গেলে আমরাও একটু স্বস্তি পেতাম। তারা বলেছে ছোট ছোট সংখ্যায় আমরা শুরু করতে চাই।
রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নাশকতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: র্যাব
রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নৈরাজ্য বা নাশকতার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বুধবার(২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট
কমান্ডার মঈন বলেন, 'স্বার্থান্বেষী কিছু গোষ্ঠীর রাষ্ট্রবিরোধী, নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ করতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে।
নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলছে এবং ২৮ অক্টোবরকে সামনে রেখে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সাইবার নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।
খন্দকার মঈন আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি র্যাবের কাজ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব: কমান্ডার মঈন
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০২৩ এর চূড়ান্ত অনুমোদন
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০২৩ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন অনুসারে, তিনটি কারণে কাউকে ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে গণ্য করা যাবে।
দুই মাসের মধ্যে অর্থপরিশোধ না করলে ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। এছাড়া, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, ট্রেড লাইসেন্স নিষেধাজ্ঞাও থাকবে।
যে তিনটি কারণে কাউকে ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করা যাবে সেগুলো হলো-
· সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যদি ঋণ সময়মতো পরিশোধ না করেন।
· যে কারণে দেখিয়ে ঋণ দিয়েছেন সেই কারণে ব্যবহার না করে যদি অন্য কারণে ব্যবহার করেন।
· যেসব কাগজপত্র জমা দিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন পরে সেগুলো যদি ভুয়া বলে চিহ্নিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যমান আইনে একজন ব্যক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কত শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবেন এটি বেঁধে দেওয়া ছিল না। এখন বলা হচ্ছে, একই পরিবার থেকে ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান আইনে পরিচালকদের সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল না। এখন এটিকে দুইজন স্বতন্ত্র এবং সব মিলিয়ে ১৫ জন পরিচালক থাকতে পারবেন। তবে একটি পরিবার থেকে শেয়ারের পরিমাণ ৫ শতাংশের কম হলে একজন পরিচালক থাকবেন। পাঁচ শতাংশের বেশি হলে সর্বোচ্চ দুজন থাকতে পারবেন। এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান আইনে পরিচালকের কোনো মেয়াদ বেধে দেওয়া ছিল না। এখন পরিচালকের মেয়াদ তিন বছর করা হচ্ছে। পর পর তিন মেয়াদে পরিচালক থাকতে পারবেন।
ব্যাংক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি তৈরি করতে পারে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাবসিডিয়ারি কোম্পানি করতে পারবে না।
সুদ মওকুফের বিষয়ে বিদ্যমান আইনে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এখন বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া সুদ মওকুফ করা যাবে না। সম্পূর্ণ সুদ কখনো মওকুফ করা যাবে না। কস্ট অব ফান্ড অবশ্যই আদায় করতে হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা ও শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। লাইসেন্সের শর্ত না মানার শাস্তি ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। বিধিবিধান লংঘন করে ঋণ দিলে বিদ্যমান আইনে প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এটিকে সংশোধন করে বলা হয়েছে, ১০ লাখ টাকা বা ছাড়কৃত ঋণের বিদ্যমান স্থিতির মধ্যে যেটি বেশি সেটি প্রত্যেক পরিচালক ও কর্মকর্তাকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
যখন একজন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হবেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের একটা তালিকা রাখবে। তালিকা হওয়ার পর যখন তারা নোটিশ পাবেন, সেই নোটিশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঋণগ্রহীতার কাছে তার প্রাপ্য অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি ক্ষেত্রমতে তার পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে এবং এই রূপ মামলা সংশ্লিষ্ট ঋণ বা অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থ ঋণ আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না। মানে তার বিরুদ্ধে সহসা মামলা করা যাবে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, যখন তিনি ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপির তালিকাভুক্ত থাকবেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা প্রস্তুত করতে পারবে এবং বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্সে নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের (আরজেএসসি) কাছ থেকে কোম্পানি নিবন্ধনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। মানে যখন সে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন পরবর্তী কোনো বিজনেস করার ক্ষেত্রে অথবা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
দুই মাসের মধ্যে যদি উনি শোধ না করেন সরাসরি ফৌজদারি মামলা করা যাবে।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী গ্রেপ্তার
নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার উত্তরা ১৮নং সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা, জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ বর্তমান সরকার বিরোধী কার্যকলাপ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার (২২ অক্টোবর) সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকা থেকে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, ইকবাল হোসেন ও আবু ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ১৮টি ককটেল, ১টি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ, ১৭টি বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ, ২৫টি ছোট-বড় কাঠের লাঠি, ৫টি ইটের টুকরা জব্দ করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলায় ৫নং আসামি মঞ্জুর এলাহী।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র সরকার জানান, তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নরসিংদীতে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি হওয়া ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ৮ বছরের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বাবা নজরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার রাজনগর আদর্শগ্রামের নিজাম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে নজরুল ইসলাম লিটন তার ৮ বছরের ছেলে রানাকে কাজ করতে বললে সে অপারগতা স্বীকার করে। এসময় লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এরপর রানাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করালে তার অবস্থা আরও অবনতি হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বুলি আরা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নতুন কলেবরে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করলো আইন মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন একত্র করে ‘বাংলাদেশ কোড’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে ৪৭টি খণ্ডে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শুরুর আগে বাংলাদেশ কোড বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরও উপস্থিত ছিলেন।
লাল-সবুজের প্রচ্ছদে ‘বাংলাদেশ কোড’ এবার ৪৭ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সব আইন নিয়ে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল।
এবার প্রকাশিত বাংলাদেশ কোডে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রণয়ন হওয়া ১ হাজার ১৭৭টি আইন যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লেয়ারেশন) অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী দেশে প্রচলিত সব আইন একত্র করে বই আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বইটিই ‘বাংলাদেশ কোড’।
এই আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এযাবৎকালের সব প্রচলিত আইন একত্রিত করে হালনাগাদ বাংলাদেশ কোড প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম বাংলাদেশ কোড প্রকাশের কাজ সম্প্রতি শেষ করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে ওই বছর ১১ খণ্ডে প্রকাশ করা ওই বইয়ে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত আইনসমূহ ছিল।
এরপর ২০০৬ সালে ৩৮ খণ্ডে এবং ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশ কোড। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম প্রচলিত সব আইন হালনাগাদসহ বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত