%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, বহিরাগত।
ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক সাত্তার এ কথা বলেন।
ভিসি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির সময় শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির জানান যে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের গুলি করতে বলেনি।’
ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার রাতে একদল যুবক রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপার আব্দুল করিম জানান, এদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কাছে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে আগুন দেয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
শনিবার স্থানীয়রা ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে এবং ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে স্লোগান দেন, বিচারের দাবি জানান।
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও পুলিশের হামলার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত করা এবং আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এসব দাবির মধ্যে ছিল।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
কুমিল্লায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
কুমিল্লায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখা।
সোমবার সকালে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষকরা।
এতে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জহিরুল আলম,সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা ছারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মজুমদার, অধ্যক্ষ তপন চন্দ্র সাহা, মো. হাফেজ আহমেদ, মো. আব্দুল মোমেন, মো. আইয়ূব আলী, এস এম শেখ কামাল, ওয়ালীউল্লাহসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
মানববন্ধনে বক্তারা , মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, সরকারি-বেসরকারি বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেড প্রদান, সরকারি শিক্ষদের ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে জেলার ১৭ উপজেলার শিক্ষক নেতারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা মীম ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন!
তিনি বলেন, সারাদেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আসন আছে চার হাজার ৩৫০টি। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথম চার হাজার ৩৫০ জন এসব কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। উত্তীর্ণ বাকি শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মোট আসন রাখা হয়েছে ছয় হাজার ৭৭২টি।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: মানতে হবে যেসব শর্ত
এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ: সিলেট বোর্ডে পরিবর্তন হয়েছে ৫১ শিক্ষার্থীর
এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে সিলেট বোর্ডে ৫১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ২৩ জন। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩ জন পরীক্ষার্থী।
বাকি ১৫ জনের গ্রেড পরিবর্তন হলেও পরিবর্তিত ফলাফলে কোনো শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ-৫ পায়নি।
শুক্রবার (১০ মার্চ) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীকক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫০ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় মোট ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। মোট ১১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডের চার হাজার ৮৭১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। এ বছর বোর্ডের ৮১ দশমিক চার শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বলেন, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীকক্ষায় ৫১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ১৩ জন জিপিএ-৫ পেলেও ফেল থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২: ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হবে ১২ মার্চ
করোনাকালীন দুই বছর বন্ধ থাকার পর ১২ মার্চ (রবিবার) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।
রবিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’।
আরও পড়ুন: এবছর ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না: প্রতিমন্ত্রী
শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশব্যাপি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা, শিক্ষা মেলাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ঢাকার জাতীয় অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হবে।
২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জন এবং ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জনকে পদক দেয়া হবে।
এ ছাড়া ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেয়া হবে।
পদকপ্রাপ্তরা ২০১৩ এর পদক নীতিমালা অনুযায়ী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী শিশুরা যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পাবেন। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ২৫ হাজার টাকা, একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পাবেন।
শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আগামীদিনের সুনাগরিক গড়ে তুলতে শিশুদের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকার সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে ০২ বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিকবৃত্তি প্রদানসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধিকল্পে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দীক্ষা, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা’।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও হচ্ছে না
কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি’র ১৭১ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ১৭১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
তিনি জানান, এবার পুনর্নিরীক্ষণের জন্য ছয় হাজার ৭৭৫জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। অনেক শিক্ষার্থী একাধিক পত্রে আবেদন করে। বিষয়ভিত্তিক আবেদন পড়ে ২১ হাজার ৮৫৪টি। সবগুলো খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ১৭১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন। ফেল থেকে পাস করেছে ৪৪ জন। এছাড়া পূর্বে পাস করা ১৩৬ জনের জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে।
২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক সাত দুই শতাংশ।
৮৫ হাজার ৮৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে পাস করেছে ৭৭ হাজার ৯০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৯৯১ জন।
পুনর্নিরীক্ষণে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজারে।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফল: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ
কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.২৭ শতাংশ
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আজ
এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ (১০ মার্চ)।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে সকাল ১০টায় এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা শুরু হবে।
এ বছর মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ১১ হাজার ১২২টি আসনের জন্য মোট এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন এবং ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ জন।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৫৫ শতাংশের বেশি উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
এছাড়া পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস বহন করতে পারবে না।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য স্বনামধন্য শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সবার ওপরে খুলনার মীম
জাবির ফার্মেসি বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট, দায় নিতে রাজি নয় কেউ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট চলছে কিন্তু এর দায় নিতে চায় না বিভাগ কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউ।ভর্তির পর ছয় বছর পার হয়ে গেলেও এখনও তৃতীয়বর্ষ পার হতে পারেননি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের(৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবে এখনও ফল প্রকাশিত হয়নি। এরমধ্যে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষাও নিয়ে নিয়েছে বিভাগ।
যদিও আগের বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার কোন নজির বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবুও নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেয়া ও ফল প্রকাশ করতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই বিভাগের শিক্ষকরা নিয়মের সব বিধি উপেক্ষা করেই ’সেশনজট কমাতে’ চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষও করে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
কিন্তু তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ না করে কীভাবে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসানো হলো তার কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কারও কাছে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলছেন, দীর্ঘ সেশনজটের কবল থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পাশাপাশি উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলার বিষয়টিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে থাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মাধ্যমে। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি তৃতীয় বর্ষে অকৃতকার্য হয় তাহলে সে কী করবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দুই বিষয়ে কেউ অকৃতকার্য হলে সে একই ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। আর অকৃতকার্য হওয়া ওই দুই বিষয় তাকে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হবে। যেটা ‘ইমপ্রুভমেন্ট’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার ‘ইয়ার ড্রপ’ হবে না। আর তিন বা তারও বেশি কোর্সে অকৃতকার্য হলে নীচের কোন ব্যাচের সঙ্গে তাকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। যেটি ‘ইয়ার ড্রপ’ হবে। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা তো থাকছেই।
ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভাগের শিক্ষকরা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছেন যে, যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ তো থাকছে।
এরমধ্যে কিন্তু ৪৭ ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেছে। এখন ৪৬ ব্যাচের কেউ যদি তিন বিষয় বা তারও বেশি কোর্সে অকৃতকার্য হয় তাহলে তিনি দুই বছর পিছিয়ে পড়বেন। অর্থাৎ তাকে ৪৮ ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা চালাতে হবে, অথবা দ্রুত বসতে হবে বিশেষ পরীক্ষায়। এমন অবস্থায় ৪৬ ব্যাচের সব শিক্ষার্থী হতাশা ও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফার্মেসি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৯ সালে হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয় আড়াই বছর পর ২০২১ সালে। করোনার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে ২০২১ সালের ২১ আগস্ট শুরু হয়ে ১০ অক্টোবর (তত্ত্বীয়) শেষ হয়। এর ৭ মাস পর শুরু হয় ব্যবহারিক (ল্যাব) পরীক্ষা। ২০২২ সালের ১৮ মে থেকে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলে ল্যাব পরীক্ষা।
পরীক্ষার ৯ মাস পার হয়ে গেলেও ফল প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাও (তত্ত্বীয় ও ল্যাব) সম্পন্ন হয়ে গেছে। যেটি ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় নভেম্বরের শেষে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভুগছেন চরম অস্থিরতায়। তারা আদৌ জানেন না তারা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন কী না। আর যদি উত্তীর্ণ না হন তাহলে তাদের শিক্ষাজীবন আরও অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে। এদিকে, ৪৬ ব্যাচের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন।
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন তানিয়া বিনতে ওয়াহিদ, আর সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক সোহেল রানা এবং সহযোগী অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে চলে যান সভাপতি তানিয়া। এরপরই পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। এরপরও পেরিয়ে গেছে ৫ মাস। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ করতে পারেননি কমিটির সদস্যরা। আর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে গাড়ি থামানোয় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর শিক্ষার্থীর
এদিকে আগের বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা নেয়া যায় কী না- জানতে চাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ডিন ও অধ্যাপক পদমর্যার এক শিক্ষকের কাছে। তারা জানান, এমন কোন নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে উপাচার্যের বিশেষ অনুমতিতে হতে পারে অথবা বিভাগের শিক্ষকদের চাপে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় পরীক্ষা নিয়ে থাকতে পারে। অথবা বিভাগ আবেদন করার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খেয়ালই করেননি যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল আটকে আছে; তাদের চোখের ফাঁক গলে বিষয়টি সংঘটিত হয়ে গেছে।
তবে, উপাচার্যের বিশেষ কোন অনুমতি নেই এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কেউ সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বুঝা গেছে, বিভাগের শিক্ষকদের চাপ থাকলে সেখানে তাদেরও খুব একটা কিছু করার থাকে না। ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেও এই কথার সত্যতা আঁচ করা গেছে।
আর যে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অধীনে ফার্মেসী বিভাগের পরীক্ষা হয়েছে তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম। নিয়মিত অফিস করলেও খুব একটা কথা বলতে পারেন না। ফলে তার কাছ থেকেও ঘটনার বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে তৎকালীন সময়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও বর্তমান গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.ফরিদ আহমেদও এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হননি।
তিনি বলেন, ‘এখন দায়িত্বে নেই, ফলে সবকিছু মনেও নেই। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো মনে করছি।’
এরপর যোগাযোগ করা হয় তৎকালীন উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। বিষয়টি তার মনে নেই জানিয়ে বলেন, ‘সব ছেড়ে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাথা থেকে সব কাজ ফেলে দিয়েছি, সাত দিনও রাখিনি। ওই সময়ের কথা তেমন কিছুই মনে নেই। তাই কিছু বলতেও পারব না।’
এদিকে তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের আগেই চতুর্থ বর্ষের তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া হলেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের বিষয়ে বিভাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্থ বর্ষের ফলও কবে প্রকাশিত হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের অন্য বিভাগের বন্ধুরা অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্সে ক্লাস করছে। আর আমাদের তৃতীয় বর্ষের ফলাফলই প্রকাশিত হয়নি। ফলে বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ আমরা পাচ্ছি না, এমনিক আমাদের সেক্টরেও চাকরির বাজারেও আবেদন করতে পারছি না।’
বিভাগের অবহেলাকে পুরোপুরি দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সেশনজটের কবলে পড়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভাগে কিছু সেশনজট তৈরি হয়েছে। করোনার মধ্যে তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার অনুমতি থাকলেও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো নিতে পারিনি। এখন আমরা আগে তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়া সাপেক্ষে বিভিন্ন ব্যাচের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেব।’
‘আর চতুর্থ বর্ষের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করছি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের ট্রেনিং করছে। কিছু শিক্ষার্থীর বাকি আছে আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’
তবে তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঙ্গে কথা বলতে দুই দিন বিভাগে গিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে, মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ায় ব্যস্ত থাকেন। যার কারণে এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থী লাইফ সাপোর্টে
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার স্থগিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত ফলাফলে যে অসঙ্গতি ছিল নতুন ফলাফলে সেটা সংশোধন করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ফল প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় আশা করে যে নতুন প্রকাশিত ফলাফল সব বিভ্রান্তি দূর করবে।
২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
ফল যেভাবে জানা যাবে
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd), এছাড়া স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
ঘরে বসেও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানা যাবে ফল
এজন্য মোবাইলে DPE Thana/Upazila Code No. Roll Number Year লিখে 16222 এ সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে এক যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল দুই ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু
মালয়েশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু করেছে।
বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইউসিএসআই এর বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো- চ্যান্সেলর টুংকু জাইন আল-আবিদিন ও বাংলাদেশে মালয়েশিয়া দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হাজনা মো. হাশিম।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রথম শাখা ক্যাম্পাস হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস রাজধানীর বনানীতে স্থাপন করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ নরডিন কুয়ালামপুরের মূল ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিক্ষা হবে মূল চালিকাশক্তি। আর এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ইউসিএসআই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করবে। উচ্চ শিক্ষায় আন্তর্জাতিকতা ও শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন উপমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত ও কর্মমুখী কোর্স চালু করলে জব মার্কেটে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-চ্যান্সেলর টুংকু জাইন আল-আবিদিন বলেন, ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষিত ও দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার কাজে বড় ভূমিকা রাখবে।
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যে কোনো দেশে সহজেই কর্মের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা হাশিম বলেন, মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ক্যাম্পাস চালুর মধ্যদিয়ে দুদেশের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। মান সম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং সাফল্য ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী
ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে দরকার শিক্ষিত এবং স্মার্ট নাগরিক। উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমেই কেবল স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব।
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০২৩ এ ইউসিএসআই এর রেটিং ২৮৪। এটি মালয়েশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, কুচিং, এবং পোর্ট ডিকসনে তিনটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকার বনানীতে ৪৫ হাজার বর্গফুটের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪টি ডিগ্রি এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। এরমধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ডিজাইনের বিষয়গুলো অন্যতম। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কুয়ালালামপুর মূল ক্যাম্পাসে ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
ইউসিএসআই এর বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে আগামী সাত বছরের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির আশা প্রকাশ করছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি কমপক্ষে তিন একরের জমিতে নির্মিত নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে ২ লাখ বর্গফুটের বেশি আধুনিক স্থাপনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক নাজমুল হুদা, বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরিফুল বারী মজুমদার, পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, পরিচালক আনিজা পারভীন, উপ-উপাচার্য ড. সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির, বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট শাহীন রেজা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ