%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামীকাল (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ফল প্রকাশ করবেন।
তথ্য সরবরাহ করে আবেদনকারীরা admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন। পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও জানতে পারবেন।
ঢাবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষা (অঙ্কন ও এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য জমা পড়েছে তিন লাখ আবেদন
ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞানের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান আর নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
শুক্রবার দিবাগত ভোররাত (২৩ মার্চ) সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আজ (২৩ মার্চ) ভোররাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তিনি মারা যান।’
জোহরের নামাজের পর ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অধ্যাপক জিয়া রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
ইবির মেগা প্রকল্পে অনিয়মের তদন্ত শুরু দুদকের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেগা প্রকল্পের ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও দুদকের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে বেনামি চিঠি পাঠানোর তিন মাস পর বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) রাতে দুদকের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এম সাইদুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া হয়।
ভুয়া দুটি বিল দাখিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারাসহ অজ্ঞাতনামা কিছু অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মেগা প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কাজ থেকে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তথ্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তথ্য চেয়েছে দুদক কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের সর্বশেষ বিলও চেয়েছেন।
রেকর্ডের মূল কাগজ দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
আরও পড়ুন: চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার সম্প্রসারণ কাজ, বরাদ্দপত্র ও ১০ তলা ভবনের অনুমোদন পত্র, অনুমোদিত প্রাক্কলনের অনুলিপি, তফসিল, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্রের তুলনামূলক বিবরণী, চুক্তির অনুলিপি, কার্যাদেশ, এমবির অনুলিপি ও চূড়ান্ত বিলের অনুলিপি।
দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রধান কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঠানো প্রকল্পসংক্রান্ত নথি তিনি হাতে পেলেও কাগজপত্র এখনো খোলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইবিতে ই-পেমেন্ট সেবা চালু
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি বেনামি চিঠি আসে। চিঠিতে বলা হয়, ঠিকাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম বিলে ৬ কোটি টাকার বেশি মিথ্যা বিল করেছেন। চিঠির সঙ্গে বিল ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওই চিঠিটি আমলে নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।
তিন মাস পর গত ৯ মার্চ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে এবং বেনামি চিঠিতে উল্লেখিত অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পায়।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সিন্ডিকেট বিষয়টি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত আর কোনো মন্তব্য করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতার অভিযোগে অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানান জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উপাচার্য বলেন, 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের দেওয়া প্রতিবেদনে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
এ বিষয়ে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি উপাচার্য হিসেবে এখানে আসার পর আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে গঠিত কমিটি সম্পর্কেও সিন্ডিকেট সদস্যদের জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে এমন স্কুলকে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ এর কম হলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সচিব বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রাঙ্গামাটির বিলায়ছড়ির একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আসে। সুতরাং এসব ভেবে আমরা বিবেচনায় নেব। আমরা একেবারে ঢালাওভাবে সিদ্ধান্ত নেব না।
তিনি বলেন, যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা একীভূত করে দেব, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: সাক্ষরতা ও উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬৮৯ জন শিক্ষার্থী। তবে মেধাক্রম অনুযায়ী বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাবেন মাত্র ১ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে প্রথম হয়েছে নটরডেম কলেজের ছাত্র আদনান আহমেদ তামিম এবং একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ হয়েছে।
তবে চূড়ান্ত মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত পোদ্দার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
মঙ্গলবার বুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তালিকা www.buet.ac.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১০ মার্চ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রধান ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তির মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: জেনেক্স’র কারিগরি সহায়তায় বুয়েটে চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মো. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
নতুন উপাচার্য মো. আবু তাহেরের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।
আরও পড়ুন: চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চবি সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী সম্পন্ন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও শোক র্যালি করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৮ মার্চ) বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোক র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা অবন্তিকার আত্মহত্যার কারণ উদঘাটন ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
অবন্তিকার সহপাঠী সেতু পাল বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবিনি ও এমন কাজ করবে। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তানিম বলেন, ‘আমি অবন্তিকার জন্য বিচার চাই। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যারাই দায়ী থাকুক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষক আহমেদ এহসানুল কবির বলেন, ‘সে একজন সক্রিয় এবং মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমরা একজন মেধাবী তরুণকে হারালাম। আমি তদন্ত কমিটির কাছে আমার বক্তব্য জানিয়েছি। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আক্কাস সরকার বলেন, ‘আমার ৩৪ বছরের শিক্ষকতা জীবনে অনেক ঘটনা দেখেছি কিন্তু অবন্তিকার মৃত্যু খুবই কষ্ট দিয়েছে। সে তার অনার্স সম্পন্ন করেছিল। বিচারক হতে পারত। আমরা তার আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির মতো অভিশাপ থেকে দূরে রাখতে শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পিতা-মাতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। এতে তারা (শিশুরা) বিপথগামী হতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে তাদের ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে।
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ক্লাসের পাশাপাশি খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ধর্মীয় শিক্ষার মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কাজে নিয়োজিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনুরোধ জানাব, আপনারা খেয়াল রাখবেন যাতে শিশুরা একদিকে মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়, অন্যদিকে তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়।’
শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে শিক্ষার নামে শিশুদের ওপর কোনো ধরনের অন্যায্য চাপ সৃষ্টি না করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা নিতে হবে, যাতে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমরা সে অনুযায়ী কারিকুলাম প্রণয়নে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে শিশুরা এখন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখতে পারছে।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি আরও বলেন, ‘তাই তারা শুধু পাঠ্যবই পড়ে নয়, চোখ দিয়ে দেখেও শিখতে পারে। আর তখন তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন। আমরা এটাই চাই।’
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং শিশু তৈয়বা তাসমিন।
শিশু পিয়াশা জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দুই শিশু আব্দুর রহমান ও লামিয়াতুল বারী।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত কুইজ, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে ১০৪ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজের সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিবৃতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে লেখা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেন। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
তার দেওয়া ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
‘আসসালামু আলাইকুম,
আমি দ্বীন ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক,
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমত আমি একজন মানুষ, দ্বিতীয়ত আমি একজন শিক্ষক, তৃতীয়ত আমি দুইজন কন্যা সন্তানের বাবা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং প্রকৃত ঘটনা জানুন। দয়া করে আমার জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে আমার সন্তানদের এতিম করবেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। অবন্তিকার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আমাদের ছাত্রী অবন্তিকা ও তার সহপাঠীদের নিয়ে প্রকৃত ঘটনা নিচে তুলে ধরলাম:
ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেইসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাদের হয়রানি করে। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেবে। এই কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, আইডিগুলো (ফেইক একাউন্টসগুলো) সে নিজেই চালায়।তখন তার বন্ধুরা তাকেসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ ইং তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা (গণিত বিভাগ) স্যারকে গত ১১.০৮.২০২২ তারিখে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১৬.০৮.২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা এবং অবন্তিকার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিং এ আসে এবং এখানে অবন্তিকার ক্লাসমেইটস সহ (অভিযোগ কারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল। তখন অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেইট (যারা এ অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলে যে, আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে, ঘটনার জন্য অভিযোগকারী সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আর এই ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বলে, যদি করে তার দ্বায় আমরা নেব। এবারের মতো বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওষুধ খাচ্ছে।
তখন তার ব্যাচমেইটরা বিষয়টা মানবিক এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মিমাংসা করা হয়। মিমাংসার পরে অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীদের বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে।
তখন আর জিডিটা সাথে সাথেই তোলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা তাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি অবন্তিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা ৩ মাস পরে জিডিটা তুলে নেব। ঝামেলা এখানেই প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরে অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। যেহেতু আমার এলাকার আমি তাদের আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। যেহেতু তিনি আমার এলাকার এবং তিনি একজন অভিভাবক আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আপ্যায়ন করি। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সাথে ভালো ব্যবহার করছে না, এতে অবন্তিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
তখন আমি তাদের প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। তখন অবন্তিকার মা বলে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না এবং বলেন আমি আমার মেয়েকে হলে রাখবো না, এতে করে তার পড়াশুনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পরে অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসে কিন্তু তার ব্যাচমেইটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।তখন অবন্তিকার মা-বাবা ও অবন্তিকা আবার আমাকে ফোন করে আমার বিভাগে দেখা করতে আসে।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
আমি তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম এবং পরে ক্লাস থেকে বের তাদের আমার রুম এ নিয়ে আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। তখন তারা জিডি তুলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করে। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেই।
তৎক্ষনাৎ অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা এবং ওর বাবা) ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছি।এবং বলেন আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপরে অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সাথে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এ ছাড়া মৃত্যুর আগে ফেইসবুকে দেওয়া অবন্তিকার স্ট্যাটাস নিয়ে তিনি লেখেন:
‘প্রথমত আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, আম্মানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা, যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ঘটনা নিস্পত্তি হয় ১৬-০৮-২০২২ সালে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর কারো সাথে কোনো আলোচনা হয়নি কখনোই।
প্রক্টর অফিসে অবন্তিকা ও তার মাকে একবারই ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার সহকারী প্রক্টর গৌতম সাহা স্যার এবং অভিযোগকারী তার বন্ধুরা উপস্তিত ছিলেন। একাধিকবার ডেকে হেনস্তা করার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ বিষয়টি ওইদিনই মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল।
সুইসাইড নোটে প্রক্টর অফিসে আম্মানের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার ভালো বলতে পারবেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।
সুইসাইড নোটে আনিত অভিযোগ অবন্তিকাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে পরবর্তীতে আমি কখনো কিছুই বলিনি। কারণ বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পরে অবন্তিকার সাথে বিগত দেড় বছরে একবারের জন্যেও অবন্তিকা বা তার পরিবারের সাথে আমার কোনো কথা বা যোগাযোগ হয়নি।’
এ বিষয়ে তিনি আরও কিছু কথা বলেন।
তিনি লেখেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দীর্ঘ ১১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।’
‘শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা