%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১ মার্চ থেকে
আগামী ১ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। শুক্রবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, দেশের সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
এছাড়া আরও দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় চালুর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,আরও ১০-১৪ দিনের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকবে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী আরও জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি সরকার এক ঘোষণায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বৃদ্ধির কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিধিনিষেধ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও ২ সপ্তাহ বাড়ল
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
স্কলারশিপের জন্য ৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন চেয়েছে দ.কোরিয়া
স্কলারশিপের জন্য ৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন চেয়েছে দ.কোরিয়া
গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (জিকেএস), ২০২২-এর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ৫ মার্চের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কোরিয়ায় স্নাতক অধ্যয়নের জন্য ১৪ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তির সুযোগ দেবে।
বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুণ জোর দিয়ে বলেছেন, তরুণরা হচ্ছে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ভবিষ্যত সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও উপাদান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে হয়ত আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কোরিয়ায় পড়ার সুযোগ পাবেন।
ঢাকায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস সম্প্রতি কোরিয়ান সরকার দ্বারা স্পনসর করা স্নাতক অধ্যয়নের জন্য ২০২২ গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (জি কে এস) প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২ জি কে এস গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের জন্য আবেদন দুটি ভিন্নভাবে গ্রহণ করা হবে; দূতাবাস ট্র্যাকের জন্য পাঁচজন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্র্যাকের জন্য ৯ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
দূতাবাস ট্র্যাকের জন্য আবেদনগুলি ঢাকায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্র্যাকের আবেদন সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জমা দিতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য বৃত্তি হবে কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রামের এক বছর সহ তিন বছরের জন্য এবং কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রামের এক বছরের সহ চার বছরের জন্য ডক্টরাল ডিগ্রি বৃত্তি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ২৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি কে এস প্রোগ্রামে অধ্যয়নের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন যার মধ্যে ১৩৭ জন স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে এবং ৩৫ জন আন্ডারগ্রাজুয়েট ছিল। ২০২১ সালে ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জিকেএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়ায় গিয়েছিল যার মধ্যে ১৪ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং তিনজন আন্ডারগ্রাজুয়েট ছিল। ১৪ টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে সাতটি ডক্টরাল এবং অন্য সাতটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হবে।‘
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
তবে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই তারা তাদের ক্লাস শুরু করতে পারবেন। সকল ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের যেহতু টিকা নেয়া হয় নি। আমাদের পরামর্শকরা যেটা বলেছেন যে সংক্রমণ দ্রুত নামছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
২২ তারিখের পর থেকে ১০ দিন থেকে ২ সপ্তাহ পর আমরা আশা করছি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও আমরা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারবো। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে ২২ তারিখে প্রাথমিককে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসছি না। আমরা সপ্তাহ দুয়েক দেখবো।
তিনি বলেন, ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকা দানের বিষয়েও একটি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেই কাজটিও আমরা যত দ্রুত পারি এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয় আছে সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তারা দেখছে।
পড়ুন: চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল খুললেও ক্লাস সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে অবস্থায় আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ করেছিলাম ঠিক সেই জায়গা থেকে আমরা শুরু করবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে সংক্রমণ যত নামতে থাকবে আমাদের ক্লাসের সংখ্যাও তত বাড়বে।
এর আগে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছিল।
তারও আগে করোনা সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দেয়।
এসএসসি-এইচএসসি হতে পারে জুন-আগস্টে
করোনা মহামারির মধ্যে এবারের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘জুন থেকে আগস্টের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা, পরীক্ষার কাছাকাছি গিয়ে বলতে পারব।’
পড়ুন: শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই বছর ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়: ঢাবি উপাচার্য
‘ঘ’ ইউনিট ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের তাদের বিভাগ পরিবর্তনের একটা সুযোগ দেয়।
ভবিষ্যতে এই ইউনিট বাদ দেয়া হতে পারে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমাদের আজকের সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের বিষয়টি ছিল।”
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত তিন উপজেলার নবনির্বাচিত ২৯জন চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে রাতে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সঙ্গে সভা আছে। আমরা করোনার অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। তারপরে খুব শিগগিরই আমরা মনে করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। নির্ধারিত তারিখ বলতে না পারলেও আমরা আশা করছি চলতি মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যেভাবে যতটুকু ক্লাস নেয়া সম্ভব আমরা ততটুকু করবো। যতদ্রুত করোনা পরিস্থিতি থেকে আমরা স্বাভাবিকে যেতে পারবো তত দ্রুত আমাদের সকল ক্লাস স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য ড. মহিউদ্দীন খাল আলমগীর ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ৩১ জন চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
চাঁদপুর স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক আখতার জাহান সাথীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান।
এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন চার সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক অফিস আদেশে বলা হয়, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাভেদ কায়সার ইবনে রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহেলী পারভীন দিপাকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁরা বিধি মোতাবেক দায়িত্বভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার দপ্তর।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্যএদিকে, ব্যক্তিগত কারণে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিয়া মিজান চৌধুরীকে সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন প্রক্টর হিসেবে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইলের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। ইশরাত ইবনে ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত।
গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং একইসঙ্গে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোনের আওতায় আনার পরিকল্পনা ইউজিসির
ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন, ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।
প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এর বোর্ড অব ট্রাস্টি ড. রুবানা হককে বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি মেম্বার ছিলেন এবং সম্প্রতি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সহ-সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন।
ড. হক বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর প্রথম নারী সভাপতি হিসাবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
তিনি এইউডব্লিউ -এর পাথওয়েজ ফর প্রমিজ প্রোগ্রাম চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘বিবিসি ১০০ নারী’ নিবন্ধে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার স্থান পেয়েছিলেন।
ড. হক বর্তমানে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া সেন্টারে ভিজিটিং ফেলো।
ড. হকের নিয়োগের ঘোষণা দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং এইউডব্লিউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ডা. দীপু মনি রুবানা হক সম্পর্কে বলেছেন, ট্রাস্টিরা এইউডব্লিউকে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন অনুকরণীয় নেতা ও প্রশাসক খুঁজে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীন
রাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাবি জনসংযোগ অফিসের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বর্ষের ক্লাস ও অফিসসমূহ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি , মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যথারীতি চালু থাকবে। অফিসগুলো আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রাবির আবাসিক হল খোলা রেখে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন আসার পর ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
রাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ, খোলা থাকবে আবাসিক হল
শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শাবিপ্রবিকে শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে একসঙ্গে হয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করবো শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার।’
শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন।
পহেলা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে সকাল ১০টার দিকে ‘জাতীয় সংগীত’পরিবেশনের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির হল খুলছে সোমবার, অনলাইন ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
এরপরে ১০টা ১০মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়৷ পরবর্তীতে ১০টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য ‘শোভাযাত্রা’বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে গোল চত্বরে মিলিত হয়৷ সেখানে কেক কাটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়।