শিক্ষা
৪৭১ জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের সুপারিশ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের(এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর পদে প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৭১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ফল ঘোষণা করা হয়।
৪৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ২৬টি পদ বাদ দেয়ার জন্য সেসিপের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৪৫২টি প্রতিষ্ঠানের ৬৬২টি পদের আবেদন বিবেচনা করা হয়। মোট আবেদন পাওয়া যায় ১৫১৯৮টি। ১০টি ট্রেডের মধ্যে প্লাম্বিং নামের একটি ট্রেডে কোনো আবেদন পাওয়া যায় নি। মোট ৬৬২টি পদের মধ্যে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭১টি পদে একজন করে প্রার্থীকে টেলিটকের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
১৯১টি পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি৷ নির্বাচিত প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর নিয়োগ প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
ঢাবির হল খুলবে ৫ অক্টোবর
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে সীমিত আকারে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
শুরুতে স্নাতক শেষ বর্ষের ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষর্থীরা যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারাই হলগুলোতে উঠতে পারবেন।
স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাংলোতে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেয়া হয়।’
বৃহস্পতিবার ডিন কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, টিকা নেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, বিভাগের সেমিনার কক্ষগুলো ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়া হবে।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্নাতক শেষ বর্ষের ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে থাকার অনুমতি দেয়া হবে। তাদের পরীক্ষা শেষ হলে আগের সেশনের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে হলগুলোতে উঠতে পারবে।’
টিকা সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘স্নাতক শেষ বর্ষের ও স্নাতকোত্তরের মোট ৯ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।’
ঢাবির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘টিকা নেয়া ছাড়া শিক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তথ্য দেয়ার আহ্বান
মহামারিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে ঢাবি?
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির বিভাজন আর থাকছে না। তাদের কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার কারণে ২১ সালের পাইলটিং সম্ভব হয়নি। ২৩ সালে শুরু হলেও ২৫ সালের মধ্যে সব ক্লাসে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৬ বছর অর্থাৎ ১০ শ্রেণি পর্যন্ত বিভাজন আর থাকছে না। ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম প্রয়োগ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা কিছুটা বিলম্বে হলেও চূড়ান্ত হয়েছে। এবার প্রাকপ্রাথমিক থেকে শুরু করে সব উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।পুরো শিক্ষাক্রম হবে শিক্ষাকেন্দ্রীক।
পাবলিক পরীক্ষা হবে তিনটি একটি দশম, এসএসসি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলে হবে এইচএসসি। একাদশে একটি ও দ্বাদশে আরেকটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। দুটি মিলে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, কোথাও যদি কোনো নিয়মের ব্যত্যয় দেখি, তাহলে সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন শিক্ষক কর্মকর্তা বা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হোন যাদের এটি দেখভাল করার কথা ছিল কিংবা যারা এটা দেখছেন তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, এক সপ্তাহে সংক্রমণ সাতে নেমে এসেছে। আমরা গত ২৬ আগস্ট যখন বৈঠক করেছি, তখনই সংক্রমণের হারে যে নিম্নগামী ট্রেন্ড দেখেছিলাম, তার উপর ভিত্তি করে আমরা ধরে নিয়েছিলাম ১১ সেপ্টেম্বরে মধ্যে সংক্রমণের হারটি পাঁচ না হোক কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেই। এটাও ঠিক যে করোনার সাথে আমাদের অনেক দিন বসবাস করতে হবে। সেই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা এই সময়টাকে যথার্থ সময় মনে করেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনও আশঙ্কা দেখা যায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে আমাদের তো সুযোগ রয়েছে শ্রেণি কক্ষে না রাখার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন শুধু করোনা নয়, এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই থাকবে। এই সময় ডেঙ্গু মশার কামড় ভয়াবহ। সে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছে পুরো হাতা জামা, ফুল প্যান্ট বা পায়জামা পরলে ভালো। অভিভাবকদের সেটা বলবো। যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে, ততদনি ডেঙ্গু থেকেও শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর এই সময় কড়াকড়ি না করাই ভালো। আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা গত দেড় বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সব অভিভাবকের পক্ষে স্কুল ইউনিফর্ম হয়ত এখনই তৈরি করে দেয়া নাও হতে পারে। সে কারণে আমাদের প্রথমে কিছুটা ছাড় দিতেই হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিদিনের চেকলিস্ট করে দিয়েছি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চেকলিস্ট করে প্রতিবেদন বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের কাছে পাঠাবে। এটি বাধ্যতামূলক। আমাদের জন প্রতিনিধিরা আছেন, সুশীল সমাজের লোকজন, গণ্যমান্য লোকজন আছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বিঘ্ন না করে সবাই মিলে যদি তদারকি করেন, অভিভাবকরা যাতে ভিড় না করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় আমাদের একটি কন্টোল রুম আছে। এগুলো প্রচারও করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালযয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যলয়ের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। মধ্য অক্টোবরে খোলার কথা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠক করবো। আমরা করতে পারিনি। এই সপ্তাহের মধ্যে করে ফেলবো।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
টিউশন ফি আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাসিক বেতন তারা নিতে পারবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেয়া আছে কী কী নেয়া যাবে। তারা নিতে পারবে। যদি কোনও শিক্ষার্থীর পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা বা অন্যকোনোভাবে ছাড় দেয়া যায়। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তাদের ওপর তো প্রতিষ্ঠান অবমানবিক হতে পারে না। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান চলে। কাজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছুটা হলেও আদায় করতে হবে।
সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মাত্র একদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।
জামালপুর সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে শিক্ষামন্ত্রী আজ জামালপুল সফর করেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭-মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলতে যাচ্ছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এরপরও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মন্ত্রী কোভিড -১৯ সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
কোনো শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানোর অনুরোধ জানান দীপু মনি।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি মাসের শুরুতে ক্লাসরুমে পাঠদান পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনা সংক্রমণের বেশ কিছু নিয়ম মেনে প্রায় ১৮ মাস পর আগামীকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে চালু হতে চলেছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি মাসের শুরুতে ক্লাসরুমের পাঠদান পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল প্রাঙ্গণে স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করা ছাড়াও ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসের রুটিন ও অন্যান্য নির্দেশনাবলী অনলাইনে প্রকাশ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
দীপু মনি বলেন, শুরুতে ২০২১ সাল এবং পরের বছর ২০২২ সালের যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এবং মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে একদিন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
এসএসসি, এইচএসসি ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন, অন্যদের একদিন
মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির ক্লাস একদিন থেকে ২-৩ দিনে নেয়া হবে। পরে প্রতিদিন ক্লাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের সাথে আমিও বসবো। টিকার বিষয় আছে, হয়তো অক্টোবরে তারা শুরু করতে পারে।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। কিন্তু সৃষ্টিশীল তেমন কিছু বেরিয়ে আসছে না। পাশ্চাত্যে শিক্ষার্থীদের বড় বড় আবিষ্কার পৃথিবীকে অবাক করে দিচ্ছে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীরাও আমাদের চাইতে আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে। বাংলাদেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী কেন গড়ে উঠছে না সেই কারণ খুঁজতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের প্রতিকারমূলক পাঠদান করা হবে: মন্ত্রী
শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমীতে এইচএসসি-আলিম ২০২০ পরীক্ষায় জিপি-এ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ বরাবরই বেশি। শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ দেন। বাঙ্গালি জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী দিনে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রানপ্রণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় তিনি আগামী দিনে সারা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, যোগেশ্বর দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী পরে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
রাবি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের হলের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সকল শিক্ষার্থীর নিকট ইতোমধ্যে এ দু’টি খাতে অর্থ আদায় করা হয়েছে তা যথাসময়ে সমন্বয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্য ভবনের লাউঞ্জে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাবি উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫০৬তম সভায় শিক্ষার্থীদের উপরোল্লিখিত ফি-সমূহ মওকুফ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
এ বিষয়ে রাবি জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের লিখিত আবেদন বিবেচনা করে বুধবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স কমিটির ৫৪৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এপ্রিল ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত হলের ১৮ মাসের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে ভিসি সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে চার হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার পিএসসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের মধ্যে সব মিলিয়ে সহকারী সার্জন পদে চার হাজার প্রার্থীর সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী নন-ক্যাডার হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পদ স্বল্পতার কারণে তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.bpsc.gov.bd. এছাড়া পিএসসি ৪২ রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ এ পাঠিয়েে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে।
করোনা সংকটের মধ্যে সহকারী সার্জনের দুই হাজার শূন্য পদ পূরণের জন্য পিএসসি ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। পরে পিএসসি আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সহকারী সার্জনের আরও দুই হাজার পদ যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে তার এক নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে এক পক্ষের শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সব কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘নব্য জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে খুবির ২ ছাত্র আটক
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি করেন। পরে ঘটনার জন্য ছোটন দেবনাথ ওই নারী শিক্ষকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সম্প্রতি ঘটনাটি নিয়ে ছোটন ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টা করলে ওই নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ওই অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক করে ব্যাপারটি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছোটন দেবনাথকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই নারী শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে শিক্ষক ছোটন দেবনাথ দাবি করেন, ‘কী নিয়ে এবং কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তা এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। আমাকে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।’