������������������
জবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার আরেক শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংগীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমীম সানজানা সৃষ্টিকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
তাকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনা সত্য প্রমাণ হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী রবিবার তাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে।
১১ তলার হলের দায়িত্বে থাকা হাউস টিউটর নিপা দেবনাথ বলেন, 'বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আসনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
এর আগে হলের রান্নাঘরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে মারধর করেন সংগীত বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। পরে ভুক্তভোগী হলের হাউস টিউটর ও প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
তাসমীম সানজানাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।
ইতি বলেন, 'আমি রান্না করছিলাম। সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার রান্না বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার ক্লাস থাকায় আমি তাকে তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করতে বললাম, তখন তিনি গালিগালাজ করতে লাগলেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মারেন। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং আর কিছু আমার মনে নেই।’
ঘটনার পর এক সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৃষ্টি তার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ইশতিয়াককে দিয়ে হুমকি দেন।
অভিযুক্ত সৃষ্টি বলেন, ‘জুনিয়র ওই শিক্ষার্থীও গালিগালাজ করেছেন। তিনি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কারণে তাকে মারধর করেছি। আমাকেও আঘাত করেছেন তিনি।’
বাকৃবিতে তিন দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ, নেপাল ও মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার, শিল্প, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)। এ আয়োজনে অংশ নেন তিন দেশের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ৯টায় লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ময়মনসিংহ হেরিটেজের অর্থায়নে ও বাকৃবি লিও ক্লাবের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাষি ভবনে এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
এদিন বিকেল ৩টায় তিন দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার, শিল্প, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
এ সময় বাকৃবির লিও ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কে.এইচ.এম নাজমুল হুসাইন নাজির বলেন, ব্যাপক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে প্রচারের উদ্দেশ্যেই আয়োজনটি করা হয়েছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরের দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে ও শ্রদ্ধাশীল হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশই চায় তাদের সংস্কৃতি অন্যান্য দেশে প্রচার হোক। বাকৃবিতে প্রতি বছরই বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসে। ৩০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী আমাদের লিও ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছে। তাদের মাধ্যমে দেশকে বহির্বিশ্বে ভালোভাবে প্রচার করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ময়মনসিংহ হেরিটেজের সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম এনামুল বলেন, ক্ষুধা, দৃষ্টিশক্তি, শিশু ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও পরিবেশ নিয়ে লায়ন্স ক্লাব সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে। এসব কাজের পাশাপাশি লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, গরু ছাগলের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন প্রদান, বয়স্কদের বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও পথশিশুদের চিকিৎসা, খাবার ও সাহায্য করা হয়। এছাড়া গর্ভবতী মা ও কিশোরীদের জন্যও সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
তিনি আরও বলেন, দেশের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লিও ক্লাবেই একমাত্র বিদেশিদের অংশগ্রহণ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই লিও ক্লাব ও লায়ন্স ক্লাবের মানব কল্যাণমূলক কার্যক্রম সহজেই আন্তর্জাতিক আঙিনায় ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ , অধ্যাপক ড. বাপন দে, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন।
আরও পড়ুন: কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
শাবিপ্রবির যে অধ্যাপক ‘মাদার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক’ হিসেবে পরিচিত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন। বিভাগটিতে প্রবেশ করলেই শিক্ষার্থীদের কাছে মাদার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামে যিনি বেশি পরিচিত। তবে নিজ বিভাগেই কেবল নয়, এই নামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কাছেও বেশ পরিচিত।
বর্তমানে অধ্যাপক আমিনা পারভীন শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার(৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশের "নারীর ক্ষমতায়নে সফলতার অগ্রসর" হিসেবে শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীনের গল্প উঠে এসেছে।
আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউএনবিকে নিজের গল্প বলেছেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
জন্মের সাতদিন বয়সেই বাবাকে হারান অধ্যাপক আমিনা পারভীন। আমিনা পারভীনের পিতা ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে অধ্যাপক আমিনা পারভীন ছোট এবং বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগ হতে কৃতিত্ত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার বায়োসায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
আরও পড়ুন: ৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা আমিনা পারভীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
এছাড়া, ২০০৭ সালে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স অফ সাইন্স ইন সোশাল ওয়ার্ক (আইএমএসএসডব্লিও) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
অধ্যাপক আমিনা পারভীন শাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধানসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বকালেই রাষ্ট্রীয়ভাবে আরেকটি নতুন দায়িত্ব চলে আসে। তিনি শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে চেয়ারটির দায়িত্ব সফলভাবেই পালন করছেন।
শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ১৩-১৪ সেশনের ফাহমিদা খান ঊর্মি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর প্রথম যেদিন ওরিয়েন্টেশন হয় সেদিন সকল শিক্ষকদের মধ্যে একজন শিক্ষকের কথাগুলো বেশ মনোযোগ কাড়ল। খুবই মিষ্টি করে, আদর করে কথা বলছিলেন। তার কিছুদিন পরেই আমি একটি দূর্ঘটনায় পতিত হই। রাতে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকাল হতে না হতেই দেখি সেই মমতাময়ী চাহনির মানুষটা আমাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, তিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন। কারোর কোনো অসুবিধা বা সমস্যায় যিনি মাতৃরূপে আবির্ভূত হতেন তিনি আমাদের আমিনা পারভীন। আমাদের অধ্যয়নের সময় থেকেই দেখে এসেছি বিভাগের পাশাপাশি নানা দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন সময় তিনি ব্যস্ত থাকতেন। তারপরও তার সর্বোচ্চ প্রাধান্য তার শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকেন 'মাদার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক' বলে। আদতে তিনি শুধু সমাজকর্মের না, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর ভরসার এবং আস্থার জায়গা।
সাবেক এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কোনো প্রয়োজনে তার কাছে গিয়ে কেউ কখনও অখুশি হয়ে ফিরেছেন বলে আমার মনে পড়ে না। তার দৃঢ় চিত্ত, আপসহীনতা, অটল বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কেবল শিক্ষকই না, আমাদের 'মা' যেনো আমাদের মাথার উপরে তার স্নেহের পরশ রেখে যান। আলো জ্বালিয়ে যান।’
বিভাগটির আরেক সাবেক শিক্ষার্থী কয়েস মিয়া বলেন, ‘অধ্যাপক আমিনা পারভীন; সাহসিকতা, স্থিরতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার এক অপূর্ব সম্মেলন। অধ্যাপক আমিনা পারভীন ম্যাম একসময় সমাজকর্ম বিভাগের একান্ত নিজস্ব আলোকবর্তিকা হিসেবে গণ্য হলেও একসময় সেই আলো উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছে ৩২০ একরের প্রতিটি ইঞ্চিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজকর্ম বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক হাবিবুর রহমান স্যারের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে সমাজকর্ম বিভাগের মুখপাত্র হয়ে ম্যাম পালন করে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সব দ্বায়িত্ব। বর্তমানে দ্বায়িত্ব পালন করছেন শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এবং গড়েছেন এক অনন্য নজির।’
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
কয়েস মিয়া বলেন, ‘এই প্রশাসনিক পরিচয়ের বাইরেও সমাজকর্ম বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে আমরা ম্যামের কোমল, মমতাময়ী মাতৃরুপের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ম্যাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের সন্তানতুল্য স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছেন সবসময়। আমরা ম্যামকে চিনি 'সমাজকর্ম বিভাগের মা' হিসেবে।’
বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২০-২০২১ সেশনের আয়াছ চৌধুরী বলেন, আমিনা পারভীন ম্যাম একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক। আমি ২০২২ সালে সমাজ কর্ম বিভাগে ভর্তি হই এরপর থেকে ম্যামকে খুব কাছ থেকে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুদায়িত্বে ম্যাম অনেক বেশি ব্যস্ত থাকলেও সবসময় ছাত্র -ছাত্রীদের সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখেন। আমাদের কিভাবে ভালো হয় সেসব বিষয়ে চিন্তা করেন। ম্যাম এর ছোট ছোট পরামর্শ, স্নেহ - ভালোবাসা আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা, নিজের দায়িত্ব পালন এবং সফল নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ- বিষয়ে অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, ‘সফলতা একটি আপেক্ষিক বিষয়। আমি কতটা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি তার মূল্যায়ন আমার ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, তথা কর্তৃপক্ষ করবেন। তবে এটুকু বলবো আজ আমি যেখানে অবস্থা করছি, সেখানে আসার পেছনে আমার ‘মা’ এর অবদান অপরিসীম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছোটোবেলা থেকে শিক্ষাজীবনের সব গন্ডি পেরিয়ে বর্তমান সময়ে পৌঁছাতে চারপাশের নানা প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছে। আমার মা এর যোগানো সাহসই সেসব প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিকট আমার মা এর দেখানো পথকেই অনুসরণ করেছি। একইসঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার মনে হয় নারীর ক্ষমতায়ন নিজের ঘর থেকেই শুরু হয় এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রথম সোপান আমরা নারীরা কেবল আমাদের মায়ের হাত ধরেই শিখে থাকি।’
তিনি বলেন, নিজেকে তখন সফল মনে হয় যখন নিজের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠিত হিসেবে সামনে পাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূরত্ব নয়, শেষ সময় পর্যন্ত নিজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি: সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ক্লাসরুমে ছাত্রকে গুলিকরার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্তের পর বুধবার ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে শিক্ষার্থীরা।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সভা, সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বলে তা জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে ক্লাস বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা।পরে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা কর্মসূচি থেকে সরে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: শ্রেণিকক্ষে গুলি: সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বরখাস্ত
শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, কলেজ প্রশাসনের আশ্বাসে এবং অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্তের পর ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা বৃহস্পতিবার যথারীতি ক্লাস শুরু করবে।
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করায় শিক্ষার্থীরাও তাদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
ঢাকায় শুরু হয়েছে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ডিগ্রিতে ইউসিবি’র আর্লি এনরোলমেন্ট গ্র্যান্ট
দেশের শিক্ষার্থীদের ঢাকায় বসেই লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনে উৎসাহিত করতে সম্প্রতি ‘আর্লি এনরোলমেন্ট গ্র্যান্ট’-এর ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)।
এই গ্র্যান্ট বা অনুদান প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ৩ বছরের প্রোগ্রামে ৩ হাজার ৩৯৫ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ পাবেন।
এই প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা হিসেবে ও/এএস/এ লেভেলস/এইচএসসি-পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। ইউসিবি’র ইউওএল–এলএসই (ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন – লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস) ‘এর ইএমএফএসএস (ইকোনমিকস, ম্যানেজমেন্ট, ফাইন্যান্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস) বিষয়ে আর্লি বার্ড অফারটি পেতে শিক্ষার্থীদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ভিজিট করে আবেদন করতে পারবেন।
চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হবে প্রোগ্রামটি।
সফলভাবে প্রোগ্রামটি সম্পন্নকারী স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মর্যাদাপূর্ণ সনদ এবং লন্ডনে সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার অনন্য সুযোগ। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স ও শুধু ফাইন্যান্স বিষয়ে বিএসসি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস (আইসিএ), চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস (সিআইএমএ), ও অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টস’এর (এসিসিএ) মতো স্বনামধন্য প্ল্যাটফর্মে পেশাগত স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।
এ বিষয়ে ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট প্রফেসর হিউ গিল বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মেধা ও সম্ভাবনার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থী যেন মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, কোনো ধরনের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়া বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে, এবং অ্যাকাউন্টেন্সি, কনসাল্টিং, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকিং, সেলস অ্যান্ড ট্রেডিং বা ইনভেস্টমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এই আর্লি এনরোলমেন্ট গ্র্যান্ট’এর ব্যবস্থা করেছি।
ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান। দেশে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস (এলএসই) ও মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের একক অংশীদার হিসেবে ও/এএস/এ লেভেলস/এইচএসসি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে ইউসিবি।
উল্লেখ্য, শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় বিশ্বে ৪৫তম অবস্থান অর্জন করেছে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস। ইউসিবি’র তত্ত্বাবধনে ইউওএল – এলএসই প্রোগ্রাম সম্পর্কে - বিস্তারিত জানার সুযোগ পাবে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে।
সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
সিরাজগঞ্জের শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে গুলি করেছেন এক শিক্ষক।
আরাফাত আশিক তমাল (২৩) নামে ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বগুড়া জেলার ধানসিঁড়ি নাটাইপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর শিক্ষক ড. রায়হান সাদিককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল।
এই ক্লাসে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করেন তিনি।
এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আমিরুল হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ২টি কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের জন্য ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয় এবং একই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাডেমিক অসদাচরণের আরেকটি অভিযোগ তদন্তে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিববার(৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব কমিটি গঠন করা হয়।
যৌন হয়রানি তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে সদস্য করা হয়েছে।
একাডেমিক অসদাচরণের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত অন্য কমিটিতে রয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছাড়, সিন্ডিকেট সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী।
পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন সাবেক এক শিক্ষার্থী।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও একাডেমিক অসদাচরণের বশবর্তী হয়ে অধ্যাপক নাদির ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের একটি কোর্সে অস্বাভাবিক কম নম্বর দিয়েছেন।
অভিযোগ দায়েরের পরপরই শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাময়িক বরখাস্ত ও বিচারের দাবিতে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
তবে আন্দোলনের মধ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি নাদিরকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য জমা পড়েছে তিন লাখ আবেদন
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জেএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাসিম আখতার এ তথ্য জানান।
উপাচার্য নাসিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জেএসটি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক অনুষদের ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, “আবেদনকারীদের মধ্যে ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, ‘সি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। যা মোট আবেদনকারীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।”
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবেদনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। এখন আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করব।’
ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে না বলেও কমিটি জানিয়েছে।
যে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জেএসটি-তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
আরও পড়ুন: বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
আগা খান একাডেমির মানসম্মত শিক্ষার প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এবং পরিবর্তনশীল বিশ্বে ইতিবাচক অবদান রাখতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা দিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠনের বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে আগা খান একাডেমি ঢাকা অবদান রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান প্রধান সুভিনা শুংলু।
তিনি বলেন, ' একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্যের জন্য এবং আমাদের জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
সম্প্রতি তার কার্যালয়ে ইউএনবিকে এসব কথা বলেন আগা খান একাডেমি ঢাকার নতুন প্রধান।
সুভিনা বলেন, একাডেমি এখন দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষে রয়েছে, এবং তার একটি স্বপ্ন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মানসম্পন্ন শিক্ষা, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতির প্রচার করে।
তিনি বলেন, ‘এই স্বপ্ন আমাদের কাছে এসেছে এর প্রতিষ্ঠাতা আগা খানের কাছ থেকে। আমরা এখানে এসেছি এবং স্কুলটি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এখানে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, একে অপরকে সম্মান করবে এমন প্রজন্ম গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন এবং যারা বহুত্ববাদ ও ভিন্নমত গ্রহণ করবে এবং সর্বজনীন লক্ষ্যের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
গত ৩০ বছর ধরে শিক্ষা ও স্কুল প্রশাসনে কাজ করা সুভিনা জানান, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে তাদের একাডেমি না থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের একাডেমি রয়েছে।
আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত আগা খান একাডেমির নেটওয়ার্কের মধ্যে চতুর্থ আগা খান একাডেমি ঢাকা।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
দেশের আটটি বিভাগে একযোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা।
চলতি বছর বিজ্ঞান অনুষদের ১ হাজার ৮৫১টি সিটের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
সাড়ে ১১টার দিকে, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে পরীক্ষা গ্রহণে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।