%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
৩ দিনের ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালিতে ৩ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যেখানে তিনি জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট বুধবার দিবাগত রাত (২৭ জুলাই) ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে তিনি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ২৩ জুন ইউনাইটেড নেশনস ফুড সিস্টেম সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে (ইউএনএফএসএস+২) যোগ দিতে রোমে যান।
আরও পড়ুন: ইতালি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২৪-২৬ জুলাই ২০ টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার অংশগ্রহণকারী ইউএনএফএসএস+২ অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, 'ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন' শীর্ষক প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন এবং ২৪ জুলাই এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে নবনির্মিত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্রিজিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এফএও'র মহাপরিচালক কিউ ডংইউ, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেন্সলি ম্যাককেইন পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নয়, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বিএনপি: রোমে প্রধানমন্ত্রী
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে 'জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা' এবং 'সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি' শীর্ষক দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের ১৫টি দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত 'কনফারেন্স অব বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর ইন ইউরোপ'-এ যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ২৫ জুলাই ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি কমিউনিটি ইভেন্টেও অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ অভিবাসনে গুরুত্বারোপ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ অভিবাসনে গুরুত্বারোপ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ উপায়ে অভিবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠক শেষে তাকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখানে খুব ভালো কাজ করছেন। তাদের যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। আমি অবৈধ শ্রমিক চাই না।’
শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পালাজ্জো চিগিতে পৌঁছালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশি, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয় যে স্থানীয় জনগণ না চাওয়ায় তারা চায় না অবৈধ বাংলাদেশিরা ইতালিতে থাকুক। মোমেন বলেন, ‘তারা বৈধ উপায়ে জনশক্তি পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের দরজা খুলে দিয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নথিভুক্ত ও অনিবন্ধিত বাংলাদেশিরা দুই দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তিনি যেমনটা বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখি।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্যান্য দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে ইতালিতে পাড়ি জমানো বাংলাদেশিদের আটকানোর জন্য ইতালির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে যোগ্য, বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন: প্রধানমন্ত্রী
সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু করুন: জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু করুন: জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের দুই বিলিয়ন মানুষ এখনও খাদ্য নিরাপত্তার বাইরে রয়েছে উল্লেখ করে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য, সার, জ্বালানি এবং আর্থিক সংকট বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যাকে তীব্রতর করেছে। তবে পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহের অক্ষমতার জন্য কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দামই একমাত্র বাধা নয়। ফলে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন প্রয়োজন।’
সোমবার ইতালির রাজধানী রোমে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট (ইউএনএফএসএস+২) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্লানেট অ্যান্ড প্রসপারিটি: ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ার্ড জার্নি।’
এটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬৯ কোটি মানুষ এখনও অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় দুই বিলিয়ন খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে আর প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ সুষম খাদ্য থেকে বঞ্চিত।
তিনি সারা বিশ্বে টেকসই, নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রস্তাব রাখেন, যার মধ্যে আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিস্তৃত করা।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, ‘আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক সূচিত কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তির কার্যকারিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রপ্তানির
ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ যেকোনো বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তৃতীয় প্রস্তাবটি রেখে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক 'খাদ্য ব্যাংক' প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে আসতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যানো-টেকনোলজি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স এবং উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার জন্য সহজলভ্য করতে হবে।
তার পঞ্চম প্রস্তাব করে তিনি বলেন, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অপচয় রোধ করতে তরুণদের সম্পৃক্ত করে একটি ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমরা টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে পারব।’
আরও পড়ুন: দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বাংলাদেশের খাদ্য খাতের বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ২ দশমিক ৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি দিয়ে শুরু করে। তারপরে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ভর্তুকি প্রদান, ১০ টাকায় কৃষকদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, একটি সুশৃঙ্খল সার বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
তিনি বলেন, ‘এর ফলে, আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করিনি, বরং ২০১৩ সালের মধ্যে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছি।’
এফএও-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশটি খাদ্য উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ‘এখন ধান ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ।
বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কিন্তু দেশের প্রায় ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ শ্রমশক্তি কৃষিতে নিয়োজিত। জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যেখানে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার কৃষি গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে…। গত ১৪ বছরে ৬৯০টি উন্নত এবং উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা লবণাক্ততা-সহনশীল ধান উদ্ভাবন করেছেন এবং তারা খরা ও জলাবদ্ধতা-সহনশীল ধান উদ্ভাবনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের মজুদ ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ টনের বেশি, যা ২০০৭ সালে ছিল ১০ লাখ টন। দেশের ১৯টি দুর্যোগপ্রবণ জেলার অধীনে ৬৩টি উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ পারিবারিক খাদ্য গুদাম বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার কৃষি উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
২০টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সহ ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার অংশগ্রহণকারী শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন এফএও সদর দপ্তরের পূর্ণাঙ্গ কক্ষ এবং কয়েকটি হলরুমে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল, সামোয়া ফিয়ামের প্রধানমন্ত্রী নাওমি মাতাফা, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং এফএও মহাপরিচালক ডক্টর কু ডংইউ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪-২৬ জুলাই রোমে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ভোর ৫টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
'সাসটেইন্যাবল ফুড সিস্টেমস ফর পিপল, প্ল্যানেট অ্যান্ড প্রসপারিটি: ডাইভার্স পাথওয়েজ ইন আ শেয়ারড জার্নি' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে 'ইউনাইটেড ন্যাশনস ফুড সিস্টেমস+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট' (ইউএনএফএসএস+২) শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ইতালিতে অবস্থানকালে তিনি ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী এফএও সদর দপ্তরে ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন বিষয়ক প্লেনারি সেশনে যোগ দেবেন, এফএও মহাপরিচালক কিউ ডংইউ; ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও-এর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন, এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং একই দিন এফএও মহাপরিচালক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে যোগ্য, বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন: প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে দুই দেশের মধ্যে 'জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা' ও 'সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি' বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া ২৫ জুলাই ইউরোপে অবস্থানরত ১৫ জন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের অংশগ্রহণে একটি আঞ্চলিক দূত সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি ইভেন্টে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
শেখ হাসিনা ২৬ জুলাই দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনীতে যোগ্য, বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন: প্রধানমন্ত্রী
নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা বাছাই করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-এর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাগত দক্ষতা ও তুলনামূলক মূল্যায়ন করে এটা (সিদ্ধান্ত) আপনারা নেবেন। সেইসঙ্গে যুক্তিপূর্ণ ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেটা যেন হয়। অফিসারদের ভেতরে কমান্ড করার মতো ক্ষমতা আছে অথবা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে কি না- সেই বিষয়টার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেবেন। কাজে আমি আশা করি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচারের সঙ্গে এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে কাজ করা, তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়া, তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগানো -এই বিষয়গুলো আপনাদের বিবেচনায় রাখা দরকার।
আরও পড়ুন: দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি । কারণ শান্তিটা হচ্ছে আমাদের মূল কথা । একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হচ্ছে উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে থেকে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বাহিনী সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। তারা অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। কাজের মান ও নির্দিষ্ট সময়সীমা বজায় রেখে কাজ করছে।
যেকোনো সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া কোনো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ড. সুলতান আহমেদ আল জাবের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই)প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘তারা প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খুবই আগ্রহী।’
জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের চেয়ারম্যান এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ডক্টর আহমেদ। তিনি বলেন যে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে দুটি দল পাঠাবেন। এর মধ্যে এক দল নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আলোচনা করবে এবং আরেকটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবে।
বৈঠকে প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
সুলতান আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ দূত এবং ২৮তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৮)-এর প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এই বিষয়ে তার আরও সমর্থন আশা করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। ড. সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের ক্রীড়নক হতে চাই।’ তিনি বলেন আরও, তারা কপ-২৮ এর আগেই সমস্যা সমাধানের জন্য জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের উপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সবুজ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কপ-২৮ থেকে একটি ইতিবাচক প্রভাব পেতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কপ-২৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক হিসাব-নিকাশ জড়িত থাকবে।
আরও পড়ুন:কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিষয়ে অগ্রগতির ও ঘাটতির বাস্তব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। যা বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন,পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দেব না এবং বাধা দিচ্ছি না। তবে তারা যদি আবার রেলে আগুন দেয় বা জনগণের কোনো ক্ষতি করে তবে তারা রেহাই পাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটটি ডাবল লাইনে পরিণত হয়েছে। এতে, এই রুটে ভ্রমণের সময় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাশ্রয় হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রুটের সর্বত্র ক্যামেরা থাকবে এবং যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।
বিএনপি ও জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ধ্বংস করতে জানে, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে কিছু তৈরি করতে হয় বা জনগণের সেবা করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানে কীভাবে লুট করতে হয়, কীভাবে দুর্নীতি করতে হয় এবং নিজেদের লাভ করতে হয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক।’
লাকসাম থেকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম (লাকসাম-মনোহরগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য), আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (আখাউড়া-কাশবা আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য) এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বাংলাদেশে অফশোর উইন্ড এনার্জিতে উৎপাদনে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক।
দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বুধবার (১৯ জুলাই) একথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। যেখানে বিদেশি ও দেশীয় উভয় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সরকার দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা।
নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নারীদের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্রের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাতে ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিআই সেক্টরের প্রসারও খুব দ্রুত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, মানব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশে ভালো বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি ও হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
আজ (১৭ জুলাই) দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত ৩টি শাড়ি ও ২টি জুয়েলারি বাক্স এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু হতে মণিপুরী নকশার এই শাড়ি তৈরি করেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। আর প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়ি ৩টি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।
এছাড়া, পার্বত্য এলাকায় বাসোপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার এবং ব্র্যান্ড বুকও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
১০ দফা দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হলের ছাত্রীরা। শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।
অবশেষে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবস্থানস্থল থেকে হলে ফিরেন তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত থেকে নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন তারা। পরদিন সকালে সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ মিললেও আবার চলে যায়। এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে আবারো বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আর আসেনি। এতে লেখাপড়া খাওয়া-দাওয়াসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
সমস্যা সমাধানে ১০ দফা দাবি তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, রান্নার সুবিধার্থে প্রতিটি ব্লকে হিটার স্থাপন, প্রতিটি ফ্লোরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বিদ্যুতের লাইনে থ্রি-প্লাগ সুইচ , ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নতকরণ, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করা, হিটার চেকের নামে হেনস্তা বন্ধ করা, গেস্ট অ্যালাও, অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলা এবং লিফ্ট ও রিডিংরুমের ব্যবস্থাসহ বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষা পরিহার করা।
এছাড়াও নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলের স্থায়ী নামকরণের দাবি জানায়েছেন ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন জানান, ছাত্রীদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন তারা। যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যৌক্তিক দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তারা।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি