প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের নির্মাণকাজে গতি আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি (প্রথম পর্যায়) (১ম সংশোধিত) উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ২৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ বিমানের আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভালো পরিকল্পনা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: প্রধানমন্ত্রী
বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দেশের সকল অর্জনের মূলে থাকা ‘জয় বাংলা’কে সরকার জাতীয় স্লোগান ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছে যে, বাঙালি মাথা নিচু করে নয় বরং মাথা উঁচু করেই চলবে।
তিনি বলেন, ‘মাথা নত করে আমরা চলি না, চলব না। বিজয়ীর বেশে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে প্রতিটি বাঙালি যে যেখানে থাকে, সে মাথা উঁচু করে চলবে। বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান এই ‘জয় বাংলা’।’
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘জয় বাংলা উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
পড়ুন: এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের স্লোগান। জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। জয় বাংলা আত্মত্যাগের স্লোগান। যে স্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ছয় দফা দিলেন, তখনই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন জয় বাংলাকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তখন ছাত্রলীগের কর্মী। আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নির্দেশনার অন্তর্নীহিত কারণ ছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতর স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করা। উদ্বুদ্ধ করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ স্লোগানের মাধ্যমেই আমাদের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন। প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন সুপরিকল্পিতভাবে। যে কারণেই আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, মর্যাদা পেয়েছি। ‘জয় বাংলা’র মধ্য দিয়ে এটাই আমরা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে চাই, আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসকে দেশের প্রতিটি দুর্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগান উদযাপনের এ উৎসবটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেন।
পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
ভালো পরিকল্পনা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশ্বের বিখ্যাত ইনোভেশনস (প্রযুক্তি, গভর্ন্যান্স ও বিশ্বায়ন) সাময়িকীর সম্পাদক মার্কিন অর্থনীতিবিদ ফিলিপ অয়ারসওয়াল্ড ও ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
ইনোভেশনস সাময়িকীটি এমআইটি প্রেস থেকে প্রকাশিত এবং প্রতিষ্ঠানটি কেমব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধিভুক্ত।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী লেখক এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইনোভেশনস সাময়িকীর সম্পাদকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘৫০ এ বাংলাদেশ’ শিরোনামের দ্বাদশ ভলিউম, সংখ্যা ১-২ হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখে থাকতে দেখতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
ইনোভেশনস সাময়িকীর বর্তমান ভলিউমে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি প্রবন্ধ রয়েছে যার শিরোনাম ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়ালাইজ দ্য আইডিয়ালস অব মাই ফাদার’।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক কশিক বোস ও ইনভেশনস সাময়িকীর সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ সাতজন বিখ্যাত লেখকও এই সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন।
শেখ হাসিনা তার প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, তার প্রবাসের দিন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।
প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে দেশের প্রকৃত ইতিহাস, স্বাধীনতা, জাতির পিতার আত্মত্যাগ এবং লাখো শহীদের রক্তদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে তাদের (নতুন প্রজন্মকে) অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া সম্ভব হবে না।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পৃথিবী নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক উন্মুক্ত, তাই তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেছে।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখন এটা আর করা যাবে না,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দশকের পর দশক বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি স্মরণ করেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করে এমন ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই ভাষণ বাজানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দীর্ঘ ২১ বছরের শাসনে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লাখো শহীদের রক্তদান ও মানুষের সংগ্রামকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। এখন এটা প্রমাণিত যে কেউ সত্যকে মুছে ফেলতে পারে না।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হয়।
পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোমবার একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১০ টাকার একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার একটি ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন।
১৯৭১ সালের এ দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব রাজধানীর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল সমাবেশের সামনে স্বাধীনতার নবযুগ সৃষ্টিকারী ভাষণ দেন।
পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোমবার বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে দেশের স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হবে।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। সে দিনটি থেকে নতুন করে অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তানি শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন. যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করতেই হবে...প্রতিটি ঘরকে দুর্গে পরিণত করব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ২০২২’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল,রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতার যাত্রাকে বাস্তবায়িত করার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা। ‘আমাদের মহান নেতার সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি, আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গর্বের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর আমরা ৭ই মার্চের এই মহান ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’
তিনি জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার করারও আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, তাই দিবসটি এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
সরকার বাংলাদেশের বিহারীদের জীবনমান উন্নয়নে পরিকল্পনা করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মানবিক বিবেচনায় তার সরকার দেশে আটকে পড়া বিহারীদের উন্নত জীবন দেয়ার পরিকল্পনা করছে, যদিও তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বেছে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একজন মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। হয়তো তারা এখানে থাকতে চায়নি, কিন্তু তারা এখন কোথায় যাবে? তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে জন্ম নিয়েছে। আমাদেরই তাদের জন্য কিছু করতে হবে।’
রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্মিত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল এবং স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান কখনই তাদের গ্রহণ করেনি।’
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এখন তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তারা জেনেভা ক্যাম্পের ছোট জায়গায় অমানবিক জীবনযাপন করছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারীরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা কারুশিল্পে অনেক দক্ষ।
তিনি বলেন, এজন্য আমি তাদের জন্য উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম এবং যে কাজে তাদের দক্ষতা আছে,তাদেরকে সে কাজেই লাগাতে চেয়েছিলাম; যাতে তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকায় এটা করা যায় না, তার জন্য দরকার একটা সুবিধাজনক ভালো জায়গা। যেখানে শিল্প আছে বা তাদের চাকরির সুযোগ আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমি চাই, তারা যেন একটি সুন্দর মানবিক জীবন পায়।
রাজধানী ঢাকায় কারও জমি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন অর্থহীন বলে দেশের মানুষের মানসিকতারও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,এই ধরনের চিন্তাভাবনা অবশ্যই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘আমরা রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করছি। লোকজন তাদের কাজ শেষ করে সহজেই তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। আমরা পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুলশান এলাকায় ১০ বিঘা জমির একটি অংশ বের করেছেন, যেখানে একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবারও দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন, কারণ সরকার এই ইউটিলিটিগুলোতে ভর্তুকি হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশাল ভর্তুকি দিচ্ছি, এগুলো সব জনগণের ট্যাক্সের টাকা।
তিনি বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সরকারকে এসডিজি-১৪ অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে এসডিজি-১৪-এর লক্ষ্য অর্জনে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি আশা করি সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
রবিবার মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১তম ব্যাচের ‘মুজিববর্ষের পাসিং আউট প্যারেড’ অনুষ্ঠানে দেয়া ভার্চুয়াল এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান আপনাদের ভবিষ্যতের কাজে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এই নিরন্তর পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক আধুনিক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য আপনারা ইতোমধ্যে আপনাদের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির মূল ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ ও দেশ ও জাতির প্রতি নিষ্ঠা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনারা এই গুণাবলী অর্জন করে ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন।’
আরও পড়ুন: মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারত ও মিয়ানমার থেকে বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবং সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ আরও উন্নত হবে, যা সরকারের ‘ব্লু ইকোনমির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটি বহুমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ করে কৃষি, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে আরও বাড়বে।’
শনিবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭২ সালের এই দিনে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছর দুই প্রতিবেশি দক্ষিণ এশীয় দেশের অংশীদারিত্বের একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে।
আমি নিশ্চিত যে আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তারপরেও সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করব,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগণ গত ১৩ বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের অবিশ্বাস্য যাত্রায় আমরা শ্রীলঙ্কার অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি।
এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের বাংলাদেশ সফরের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর