রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (এসইজেড) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকালে কসোভোর বিদাইয়ী রাষ্ট্রদূত যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিচারকদের বলেন, ‘আপনারা আরও সতর্ক থাকবেন ন্যায়বিচারপ্রত্যাশীদের যাতে দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে না হয়।’
সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং এর আলোকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্বোধন করেন।
সুপ্রিম কোর্টকে জাতির গৌরবের প্রতীক এবং সব পেশার মানুষের আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার জন্য আসে।
আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার কার্যক্রম কোনোভাবেই অগ্রসর হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারিক কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, যখনই প্রয়োজন আইনজীবীরা আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আদালতকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধানের হেফাজতকারী এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রের অন্য দুটি অঙ্গকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তবে এই দায়িত্ব অবশ্যই অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গ-লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়ালের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকরা সফল হননি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা তাদের পতনের আগে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী পাস করার জন্য সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তাদের সব অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনকে খর্ব করতে সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিকভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কমিটির সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ: যুবাদের অভিনন্দন জানালেন রাষ্ট্রপতি
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সেনা মোতায়নে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনা মোতায়নের অনুরোধ জানালে তিনি সম্মতি দেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনা মোতায়েনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে সেনা মোতায়েনের তারিখ ও সময় জানানো হবে ।
এছাড়া সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন সকলের সহযোগিতায় দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন রাষ্ট্রপতির
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
এদিন বিকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সবুজ লনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের (সংসদ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেন।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিল্পীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্ব পদকপ্রাপ্তদের পরিবারবর্গ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও সেখানে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করলে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
'সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাজের পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কমিশন মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ হলো মানবাধিকার ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
তিনি বলেন, মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতিকারের পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শিক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধির সব কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশে কমিশনকে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সার্বক্ষণিক মনিটরিং বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশের যেখানেই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিশনকে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিপীড়কদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং শোষিত ও নিপীড়িতদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধ নয়, সংলাপের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিদ্যমান বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিতে যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি বিরক্ত বোধ করবে। যুদ্ধ, জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্নভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্বের নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক শক্তিশালী দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বৈত নীতিতে লিপ্ত।
মানবাধিকার ইসলামকে সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং কোনো বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিশ্বে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সব দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য সেলিম রেজা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোন ভুল পদক্ষেপে যেন কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাপী এটি উদযাপনের লক্ষ্য হলো দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
দুদকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে দুদককে একটি আধুনিক, পেশাদার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
একই সঙ্গে তিনি মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দুদককে জনগণের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অন্যান্য মেগা প্রকল্পসহ উল্লেখযোগ্য জাতীয় অর্জনের কথা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
দুর্নীতিকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করলে অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর এলিট স্যাটেলাইট ক্লাবে বাংলাদেশের সদস্যপদের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অগ্রসর ও উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে গৃহীত সব পদক্ষেপ দেশ ও জনগণের জন্য উপকারী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং বাংলাদেশের সহনীয় দুর্নীতির মাত্রা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দল বা নীতি নেই। এই জাতীয় কাজের জন্য দোষী যে কেউ হোক তাকে আইনের আওতায় জবাবদিহি করা উচিত।
'উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই' শীর্ষক দেশব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। রাষ্ট্র, কর্মকর্তা, বেসামরিক কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, গবেষক, জনসাধারণ এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার সর্বজনীন দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিন। এটি দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ এবং শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন অর্জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন আর্জেন্টিনার নতুন আবাসিক রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সিসা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে আর্জেন্টাইন আবাসিক মিশন চালু করায় দেশটির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের কাছে আর্জেন্টিনা অতি পরিচিত একটি নাম। তরুণ প্রজন্মসহ সব স্তরের জনগণের কাছে দিয়াগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মাঝে যথেষ্ট বিনিয়োগ সম্ভাবনাও রয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।
এছাড়া, দু'দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপরও জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমেও দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক জোরদার হতে পারে।
আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন তাদের খুব উৎসাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দেশ বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত কার্লোস।
পরিচয়পত্র পেশের সময় বঙ্গভবনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজার কাছে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের জনশক্তিকে দক্ষ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসের এনডিসিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ক্ষেত্রে বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল সার্ভিস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলোর মাধ্যমে আপনারা ব্যাপক উন্নয়ন লক্ষ্য করতে পারেন।’
এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া কারখানার মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রকৃত বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে 'সোনার বাংলা' হিসেবে গড়ে উঠতে অগ্রসর হচ্ছে, এসব উন্নয়নই তার ইঙ্গিত দেয়। যেখানে সামরিক বাহিনীসহ জাতীয় ক্ষমতার সব বিভাগের অবদান রয়েছে।
কোর্সে অংশগ্রহণকে তাদের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি জাতি গঠনে সহায়তা করার এবং নিজের দেশকে আরও উন্নত করার একটি সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই কোর্সগুলো আপনাদের পেশাগত আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে।’
তিনি বলেন, সংহতি, স্বচ্ছতা, অঙ্গীকার, নিষ্ঠা, জবাবদিহি, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা নিখুঁত দূরদর্শী নেতা, অগ্রদূত ও একজন ভালো কর্মকর্তা তৈরি করে।
তিনি বলেন, ' আপনার অর্জিত জ্ঞান নীতি নির্ধারণ, নিরাপত্তা, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়ন সম্পর্কে আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।’
তিনি বলেন, 'আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আপনারা সবসময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, এনডিসি আয়োজিত কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করবে।
তিনি মর্যাদাপূর্ণ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের সফল সমাপ্তির জন্য অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ৪৩ জন এবং বন্ধুপ্রতীম দেশের ২৯ জনসহ মোট ৮৫ জন প্রশিক্ষণার্থী এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ