হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে হাসপাতালের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম, ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব।
ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াদের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে গত ১৫ জুলাই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে (মূল ভবনের বাইরে স্থাপিত) আগুন লাগে। এ ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খাদেজা বেগম (৭০), ভের্নন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।
এ ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করলেও আগুনে নিহত ভের্নন এন্থনি পলের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে একটি ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ মামলা করা হয়। মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, সিইও, পরিচালক, করোনা ইউনিটে সে সময় কর্মরত চিকিৎসক-নার্স, সেফটি ও সিকিউরিটি কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভেতর দুটি কক্ষ ছিল। তার মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সদের যে কক্ষ সেখানকার এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনে হাসপাতালে মারা যাওয়া পাঁচ রোগীর চারজনই বেডে নিথর হয়ে পড়েছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ হাইকোর্টে রিট করেন। পরে এই রিটে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবার পক্ষভুক্ত হয়।