খুলনায় গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে সব নিত্যপণ্যর দাম বেড়েছে। শাকসবজি দাম জনগণের নাগালের বাইরে। মাছের বাজার ও আকাশছোঁয়া।
পেঁয়াজের পর এবার চোখ রাঙাচ্ছে চালের বাজার। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। চালের দাম বৃদ্ধিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার ঘাটতির অভাব রয়েছে বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি মোটা চাল খুচরা বিক্রি করছেন ৫২ টাকায়। মিনিকেট ৭০ টাকায়, নাজিরশাল ৮০ টাকায়, ২৮ সিদ্ধ ৬২ টাকায়, ২৮ আতপ চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
অথচ গেল সপ্তাহে একই চাল ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেছেন মোটা ৫০ টাকা। মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজিরশাল ৭৫ টাকায়, ২৮ সিদ্ধ ৫৫ টাকা ও ২৮ আতপ ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
খুলনার বড় বাজার এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা আশরাফ ভাণ্ডারের মালিক আশরাফ বলেন, ধানের মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হাটে ধানের দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, উত্তরবঙ্গ ও খুলনার কিছু মিল থেকে তিনি চাল কিনেন। এসব এলাকায় ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন আগের অতিবৃষ্টির কারণে ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। ধানের উৎপাদন নিয়ে তিনি খুব শঙ্কিত। চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আমঙ্কা করছেন তিনি।
ওই বাজারের অপর ব্যবসায় ফারুখ আহমেদ চালের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, ধানের সংকট থাকায় চালের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে এ মূল্যবৃদ্ধি। সরবরাহ বেশি হলে চালের দাম কমবে বলে তিনি।
দোলখোল ইসলামপুর মোড়ের বাজারের চাল বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, গেল একসপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে তাই তিনি এ দরে বিক্রি করছেন।