খুলনায় পণ্য মূল্য জনগণের নাগালের মধ্যে রাখতে মহানগরীতে নায্যমূল্যে সবজিসহ কৃষি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
নগরীর ১০টি স্থানে প্রতিদিন এই পণ্য বিক্রি চলবে।
এর আগে ২৮ অক্টোবর খুলনায় ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম। তবে সেসময় সপ্তাহের একদিন এ কার্যক্রম চলত। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের সাত দিনই ন্যায্যমূল্যে নির্ধারিত স্থানে এসব পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
পণ্য কিনতে আসা তাহমিনা বলেন, আমরা কম দামে এই পণ্য পেয়ে খুশি।
আকবর আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমাদের উপকার হচ্ছে। তবে অনেকে এখান থেকে পণ্য কিনে অনত্র বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে। এগুলোর তদারকি হওয়া দরকার।
নিম্নআয়ের মানুষের জন্য নগরীর ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে সবজিসহ কৃষিপণ্য বিক্রির এ উদ্যোগ নেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বিক্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে একজন ক্রেতা ৩৯০ টাকা মূল্য পরিশোধ করে মোট তিন কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, ১২টি ডিম, একটি লাউ ও এক কেজি কচুর মুখি কিনতে পারছেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় নগরীরতে এই কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম একযোগে শুরু হয়।
নির্ধারতি স্থানগুলো হলো: শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা সংলগ্ন স্থান, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড, খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনের স্থান, গল্লামারির কাঁঠালতলা, লবণচরা, মুজগুন্নী বাস্তুহারা, রেলিগেট ও শান্তিধাম মোড়ের জাতিসংঘ পার্ক।
উদ্বোধনের সময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য স্বাচ্ছন্দ্যে ও সাশ্রয়ীমূল্যে কিনতে পারে সেজন্য এই ভর্তুকিমূল্যে পণ্যবিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের ওপর কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আশা করা যায়। সপ্তাহে সাতদিনই এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।