পরিবেশ-ও-কৃষি
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের কিছু অংশে মঙ্গলবার মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিএমডির প্রাত্যাহিক আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং দিনাজপুর, নীলফামারী, সিলেট, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাইজদিকোর্ট, ফেনী ও বান্দরবান অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা তৃতীয় দিনের মতো দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
টানা তৃতীয় দিনের মতো দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকা শীর্ষে রয়েছে। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৬ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৬১, ১৫৯ এবং ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু অংশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
এছাড়া সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিএমডির এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (এক থেকে দুই) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালের খেপুপাড়ায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সোমবার তেতুলিয়ায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার সকালে জনবহুল ঢাকার অবস্থান আবারও শীর্ষে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং চিলির সান্তিয়াগো যথাক্রমে ১৬৯, ১৬৩ এবং ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা শীর্ষে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা শীর্ষে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও কুয়েতের কুয়েত সিটি যথাক্রমে ১৫৯, ১৫৯ ও ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার পরবর্তী তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা শীর্ষে
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়- রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে
শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বগুড়ায় ২১ দশমিক সেলসিয়াস।
একই সময়ে তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে
শনিবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে ছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯২ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় রাজধানী ১২তম স্থানে জায়গা করে নেয়।
চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের লাহোর এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৬৯, ১৫৯ এবং ১৫২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
০ থেকে ৫০ এর মধ্যে একিউআই ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, একই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৪৪ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১৮ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ ৬ বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান ষষ্ঠ।
ইরাকের বাগদাদ, চীনের বেইজিং এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৫৪৭, ১৬১ এবং ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৬ বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১৮ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
চলতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা চার হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আজ ৪টি দেশে প্রায় ১০ টন আম রপ্তানি হচ্ছে।
২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ২৮টি দেশে ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিকটন আম রপ্তানি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব বলেন, সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈল মিষ্টি আলু চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২২ হতে ২০২৭ খ্রি. মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫ টি জেলার ৪৬ টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী- ৩৫০ টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন-৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা-২৪০ টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী ২০০ টি স্থাপন করা হয়েছে।
মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রদর্শনীসমূহ ক্লাস্টার আকারে স্থাপিত করা হচ্ছে; ইতোমধ্যে ৯ টি উপজেলাতে ৩৭১ জন আম চাষীকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে।
মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেন্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) সনদ প্রদানে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বিদ্যমান না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকার মূলধারার সুপারমার্কেটসমূহে আম রপ্তানি করা সম্ভব হয় না।
আমের গ্যাপ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করা গেলে বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশসমূহে আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি তরান্বিত করার লক্ষ্যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আমের পেস্টরিস্ক এ্যানালাইসিস (পিআরএ) ও উত্তম কৃষি চর্চা তৈরি এবং জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদর্শনী এবং কৃষি প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান আছে।
এছাড়া রপ্তানিযোগ্য ৫টি আমের জাতের প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
‘শাম্মাম’ চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক মণ্ডল