���������������������
বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
নোয়াখালী হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাহাজের ১২ নাবিক সবাই নদীতে ভাসছে বলে জানা যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। পরে ৯৯৯ থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়।
এদিকে দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।
নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকরা সবাই ডুবে যাওয়া জাহাজের ওপরের অংশ ধরে ভাসছে।
এদিকে নৌ-পুলিশের পরপরই হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি টিম ঘাটের একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। কোস্টগার্ড জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
জাহাজের মালিক পক্ষের মোহাম্মদ ওয়াহেদুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ডুবে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক রয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোস্টগার্ড ভাসমান নাবিকদের উদ্ধারের কাজ করছে।
আরও পড়ুন: শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে বলে দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিমের বাস্তবায়নাধীন ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপির কর্মকর্তাদের ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক এই দুই দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি।
শামসুন নাহার বলেন, নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে উদ্বেগ রয়েছে। সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করতে হবে।
কর্মশালা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থসংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, আগামীতে আরও বাড়বে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিমের পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।
৪২২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু ইউএস বাংলার নতুন এয়ারবাসের
প্রথমবারের মতো ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে এয়ারবাসটি।
এর আগে গতকাল স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টায় ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে।
এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০সহ ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবি, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে রুহুল আমিন (৪২) নামে এক ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু হয়েছে।
সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পরিদর্শক রুহুল আমিন। তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার কোরবান আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনামসজিদ পোর্টের ভেতরে দায়িত্বপালন করার সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার সহকর্মীরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আল-আকসা মহল জানান, মৃত অবস্থায় রুহুল আমিনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে ইসিজি করে দেখা গেছে তিনি স্ট্রোকজনিত কারণে মারা গেছেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের অধীনে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাফিক পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন রুহুল আমিন।
তীব্র তাপপ্রবাহ: খুলনার হাসপাতালগুলোয় রোগীর বাড়তি চাপ, ব্যাহত চিকিৎসা
তীব্র তাপদাহের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সদর হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রোগীর ঠাঁই হচ্ছে না।
রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালগুলোর মেঝে, বারান্দা এমনকি সিড়িতেও অবস্থান নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় সঠিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না তারা।
একই অবস্থা খুলনা সিটি হাসপাতাল, গাজী হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও।
খানজাহান আলী থানার মীরের ডাঙ্গায় অবস্থিত সরকারি খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। হাসপাতালটিতে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ বা শিশু কনসালটেন্ট না থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন স্বজনদের।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ
অন্যদিকে, হাসপাতালটিতে ওষুধ ও স্যালাইনের পর্যাপ্ততা থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ জনবল সংকট এবং জরাজীর্ণতার কারণে বিভাগীয় এ সংক্রামণ ব্যাধি হাসপাতালটি থেকে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র তাপদাহের কারণে চলতি মাসের শুরু থেকেই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি বমি, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
চলতি মাসের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভর্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৩ শতাধিক। ভর্তি রোগী ছাড়াও প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতালে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক এসব রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র ২০টি শয্যা। এর মধ্যে ১০টি শয্যা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য বরাদ্দ থাকলেও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিজস্ব উদ্যোগে ১৪টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি শয্যাগুলো অন্যান্য সংক্রামক রোগীর জন্য বরাদ্দ।
পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড নেই। নেই কোনো ক্যাবিন ব্যবস্থা। একই ওয়ার্ডে পুরুষ ও নারীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগীর চাপ বেশি হলে ভর্তি ১৫ নম্বর রোগী থেকে পরবর্তী রোগীগুলোকে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু
প্রতিদিন শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সী ৪-৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এ জাতীয় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও শিশু বিশেষজ্ঞ বা শিশু কনসালর্টেন্ট না থাকায় এ সব শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা বা পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বেড কিংবা কেবিনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরাও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালটি থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের স্বজনদের। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদেরকে শিশু হাসপাতাল কিংবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুঁটতে হচ্ছে।
খুলনা শিশু হাসপাতালে অবস্থা আরও করুণ। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রকীব ইউএনবিকে জানান, আগে প্রতিদিন বহিঃবিভাগে যেখানে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো এখন সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে ৭-৮ শত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশু হাসপাতালে ২৭৫টি শয্যা থাকলেও এখন রোগী রয়েছে দ্বিগুণ।
খুলনা শিশু হাসপাতালে বটিয়াঘাটা থেকে ৩ বছরের শিশু আনিকাকে নিয়ে আসা তার বাবা রহিম শেখ বলেন, ‘গরমে তার সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। সকাল ৮টায় এসেছি। এখনও ডাক্তার দেখাতে পারি নাই। বেশির ভাগ শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।’
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে। এদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
নাটোরে বাসের চাপায় ভ্যানচালক নিহত
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাসের চাপায় মোজাহার আলী (৩৬) নামে এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন একজন।
বৃহস্পতিবার (২৫) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিমুল আল রাজি বলেন, বেলা ১১টার দিকে ভ্যান চালক মোজাহার যাত্রী নিয়ে আগ্রান রোড ক্রসিংয়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল টোল মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি বাস ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যান চালকের।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহত যাত্রী নিমাজমকে (৪০) উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালক নিহত
নাটোরে ট্রাক ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে একজন নিহত
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা: মৃত্যু বেড়ে ৯
রাঙ্গামাটি জেলার সাজেকের উদয়পুরে ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে ঘটনাস্থলে ৫ জনসহ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৩ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল চৌধুরী দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে বুধবার এই ঘটনা ঘটে। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেলে এটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে- কিশোরগঞ্জের আব্দুল মোহন (১৬), গাজীপুরের টঙ্গীর সাগর (২২), কিশোরগঞ্জের বাবু (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ার অলিউল্লাহ (৩৫)।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
আহতরা হলেন- মো. লালন (১৮), আহির উদ্দিন (৪০) ও তার ছেলে সামিউল (১৯), মোবারক হোসেন (৩২), লালন (১৮) ও জাহিদ হাসান (২৪)।
আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাগর দেব।
আহত মো. লালন জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার উদয়পুরে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য একটি ডাম্প ট্রাকে করে তারা যাচ্ছিলেন। বড় একটি পাহাড় নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পরে যায়। গাড়িটিতে পাইলিং মেশিনসহ ১৫ জন ছিলেন।
খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আত্মীয়রা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাজেকের সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি-ভাঙচুর
বিজিপিসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠনের সংঘাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, ৪ জন সেনাসদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
পরে কোস্ট গার্ডদের একটি জাহাজে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন এর উদ্দেশে।
এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করেন।
সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
খাগড়াছড়িতে তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ
তীব্র তাপদাহে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নিম্নআয়ের যেসব মানুষকে বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে-সেখানে পানি, শরবত ইত্যাদি পান করে অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীও বেড়েছে খাগড়াছড়িতে।
বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ মৌসুমি রোগবালাই। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা মেলে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মেঝেতে রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে বহিঃবিভাগেও।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে একটি বেডে বিপরীতে ২ জনেরও বেশি শিশু। ইদানীং প্রতিনিয়ত জেলা আধুনিক হাসপাতালে ১৫ বেড থাকলেও চিকিৎসাধীন ৪০ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি বেডের বিপরীতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ২০২ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১ ২৯ জন রোগী আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ মাসে নিউমোনিয়ায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, আউটডোর ও ইনডোরে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছেও বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পোর্টালে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালনের জন্য এই প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে মনোযোগী হলে হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত; এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্ছনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।’
ধর্মমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান অনেকে। অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।’
সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনোরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদের অনুরোধ জানান ধর্মমন্ত্রী।
সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।