%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ৯৭ শতাংশের বেশি এলাকা এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন, যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও আধুনিক করে উন্নত করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাত একসঙ্গে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব।
বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) হলরুমে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পাওয়ার, এনার্জি অ্যান্ড ডিপ লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ফর ফোরআইআর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারটি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইই প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। আলোচক হিসেবে ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও আইইইই ডব্লিউআইই কমিটি চেয়ার-ইলেক্ট ও বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, আমাদের এখন টেকসই উন্নয়ন ও সমুদ্র অর্থনীতিতে জোর দিতে হবে। বঙ্গোপসাগরে ইউরেনিয়াম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নবাগত গবেষকরা গবেষণা করে বের করবে, আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো এই ইউরেনিয়াম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা তিনগুণ হয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেয়ার সময় বাংলাদেশ বিরাণ ভূমি ছিলো। সেখান থেকে তিনি দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম এ্যাক্ট করেন। তার সেই দূরদর্শিতা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন শেখ হাসিনা।
মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়নের সময় পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যন্ত্র ও মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে, অপচয় রোধ করতে হবে, ক্রস বর্ডার এনার্জি শেয়ারিং করতে হবে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তির ওপর জোর দিতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সুযোগও আছে। তথ্য-প্রযুক্তিতেও আমাদের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
দেশে নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় আট জন ও ঢাকার বাইরে তিনজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৫জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮ হাজার ২১৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৪ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: আরও ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৭ জন হাসপাতালে
দেশে করোনায় শনাক্ত বেড়ে প্রায় ৫শ’, মৃত্যু ১
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৩ জনে।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২০ হাজার ৯৭৪টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত বেড়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ৮২২ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৯১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৪২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ২০ হাজার ৭০৮ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৯৭৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার ২৯০ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৮ কোটি ছুঁইছুঁই
দেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ শুরু
ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সকলের নাম দেয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ডায়ালগ (সংলাপ) শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এটা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যে সব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন।
তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন- আপিল বিভাগের একজন জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির (সুশীল সমাজ) সদস্য।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
এখন মানুষের ক্রয় সক্ষমতা আছে: অর্থমন্ত্রী
সরকার বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ নেয়ায় দেশের জনগণ করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি (সিসিপিপি) এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির (সিসিইএ) বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুতের শুল্ক আরও বাড়ানো হলে জনগণ কীভাবে তা পরিশোধ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস মানুষ এখন ভালো আর্থিক অবস্থার মধ্যে আছে এবং তাদের অর্থ খরচের সামর্থ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি এই ধারণার সঙ্গে একমত না যে জনগণের বিদ্যুতের জন্য বর্ধিত শুল্ক পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই।
তিনি বলেন, তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব আপাতত আমাদের হাতে নেই। এমন কোনো প্রস্তাব এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আসেনি। প্রস্তাব এলে পরে এ ব্যাপারে জানাতে পারব। তখন এ বিষয়ে কথা বলব।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাঙালি জাতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
সৃজনশীল উদ্দীপনার নেপথ্যে পরিবেশের প্রভাব অনস্বীকার্য। সেই সূত্রে প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে জীবনযাপনের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনের মানোন্নয়নের নিমিত্তে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভিড় করে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়েতে। পূর্বে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা থাকলেও এখন আর সে সুবিধা নেই। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য এই দেশটি। চলুন, নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়গুলো জেনে নিই।
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপ
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপের জন্য গত কয়েক শিক্ষাবর্ষ ধরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি যে স্কলারশিপ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে তা হলো- ইরাসমাস মুন্ডাস। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথ প্রোগ্রামে মাস্টার্স বা ডক্টরেট প্রোগ্রামের সুবিধা দিয়ে থাকে।
গত বছর তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৪৫০টি বৃত্তি বরাদ্দ করেছিলো। চলতি বছর তারা ২ হাজার ৭৫৬টি স্কলারশিপ প্রদান করবে। প্রায় প্রতিটি বিষয়েই পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে ইউরোপের এই উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপটি।
মাস্টার্স প্রোগ্রামের ২ বছর বা ডক্টরাল প্রোগ্রামের ৩ বছরের পুরো অধ্যায়নকালের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে থাকে ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ। সম্পূর্ণ খরচটি পরিচালিত হয় ইউরোপীয় কমিশন দ্বারা।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা
ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য তিনটি ভিন্ন ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশে অধ্যয়ন করতে পারবে। অর্থাৎ প্রতিটি সেমিস্টার তারা কাটাতে পারবে আলাদা দেশে। প্রোগ্রাম শেষে তারা ইউরোপের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দ্বৈত ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে।
মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে প্রায় ১১০০ থেকে ১২০০ ইউরো, যার মূল্যমান ১২০০ থেকে ১৩০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি।
আন্তর্জাতিক বিমান ভাড়ার টিকিট ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিউশন ফি’র পাশাপাশি আছে অধ্যয়নকালীন যাতায়াত ভাতা। সেমিস্টার শেষ হলে দেশ থেকে দেশে ভ্রমণ খরচ দেয়া হয়। পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার জন্য কোন সীমাবদ্ধতা নেই। মাস্টার্স/পিএইচডি করার পর জব ভিসা দেয়া হয়। ডিগ্রির পর থাকছে ইউরোপে চাকরির সুযোগ।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতা
ব্যাচেলরে থাকা তৃতীয় বর্ষের বা ফলাফল প্রতীক্ষিত শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে এই স্কলারশিপের জন্য। কোন প্রফেসরের সাথে বা অন্য কোন যোগাযোগের প্রয়োজন নেই। ফলে বাদ থেকে যাচ্ছে জিআরই’র প্রয়োজনীয়তা।
আবেদনের সময় ব্যাচলরসহ ন্যূনতম ১৬ বছরের অধ্যয়নকাল দেখাতে হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাপার হলো, এখানে কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই এবং সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে বেশ শিথিলতা আছে। ২.৫ থেকে ৩ সিজিপিএ প্রাপ্তরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারছে। এছাড়া থাকছে না বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা।
তবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতায় প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য গড়ে আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৬.৫ চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে যে ইনস্টিটিউটে আবেদন করা হচ্ছে তার ওয়েবসাইটে ভালোভাবে খোঁজ করতে হবে ভাষাগত কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি না। সম্প্রতি আইইএলটিএস-এর বিকল্প হিসেবে ডুয়োলিঙ্গো নামে একটি ইংরেজি দক্ষতা টেস্ট চালু করা হয়েছে। এটাও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে থাকে। ডুয়োলিঙ্গো টেস্ট অনলাইনে ঘরে বসেই দেয়া যায়।
আরও পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
শিশুদের শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে কোনো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সব দিকই আছে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও দক্ষ হতেই হবে। যুগের চাহিদা ও আমাদের ভবিষ্যতের চাহিদা তাই। সেজন্যই আমাদের শিশুদের একদম শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, কম বয়স থেকেই শিশুদের কোডিং, প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে। তা না হলে এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তারাও টিকে থাকতে পারবে না। অথচ আমরা চাই- তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবে। সে কারণে অবশ্যই প্রযুক্তি লাগবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক,অভিভাবকসহ সবারই একটা নজরদারির ব্যাপার আছে। এটি তো থাকতেই হবে। আমরা যেমন পড়াশোনার ক্ষেত্রে নজরদারি করি,তেমনি করে তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে যখন পড়াশোনা করছে,সেখানেও একটা নজাদারির বিষয় আছে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতিমারি এমন একটি বাস্তবাতা যেটিকে আমাদের স্বীকার না করার কোনো সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। এখন সবারই চেষ্টা আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব হলে, যদি অতিমারির ছোবল সেখানেও না পড়ে, তাহলে আমরা সেখানে এ ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। সে রকম পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মাস্টাররমাইন্ড গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর ২নম্বর গেইট পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নব্য জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার মো. সেলিমকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন পোর্ট লিংক রোড বাংলাবাজার এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানায় সিএমপি।
গ্রেপ্তার মো.সেলিম জেলার লোহাগাড়া থানার জঙ্গল পদুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প তরুলতা এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহরণ করে মুক্তিপণ, ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
সিএমপি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুকুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেএমবির সামরিক কমান্ডার মো. সেলিমকে বাংলাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২নম্বর গেইট পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই সেলিম। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি ২নম্বর গেইট পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল নব্য জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার মো. সেলিম। এ ঘটনায় করা মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার ১২ জনের মধ্যে ৯জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আটজন আসামি সেলিমের নাম ও সংগঠনে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত ও এক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার দুই কিলো নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেএসএস (সন্তু লারমা) দলের সদস্য জানন চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য মনিময় চাকমা। এ ঘটনায় মো. মনু মিয়া নামে আহত ব্যক্তিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর শোনা গেলেও সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘জলদস্যু’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, নারীসহ আটক ২
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা থেকে মঙ্গলবার বিকালে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬’শ ২০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মো. ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪২) ও একই উপজেলার বানিয়াগাঁতী গ্রামের মো. আবু সাঈদের ছেলে মো. সুজন (২১)।
র্যাব-১২’র সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মি. জন রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬’শ ২০ পিস ইয়াবা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ৬ লাখ ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
কক্সবাজারে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ, নারী আটক