%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এর আগে ২০১৯ সালে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ ১৯৫৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাটহাজারীর নুর আলী মিয়ার হাট ফরহাদাবাদ গ্রামের হিম্মত মুহুরী বাড়ীর মরহুম বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চতর হিসাব কর্মকর্তা নুর হোসেনের ছেলে।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুছ। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি অবস্থায় চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বি.কম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধা ফোরাম ‘৭৫ এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী
পাট শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো সমাধানে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক বলেন, পাটবীজের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশে তৈরি হয়। বাকি তিন- চতুর্থাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা দুঃখজনক। এছাড়াও পাট গবেষণা কেন্দ্র পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান নয়। এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, হাজারো সমস্যার কারণে পাট শিল্পে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। জুট কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এ সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। জুট কাউন্সিল গঠন করা হলে পাট উন্নয়নের সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করাও সহজ হবে বলে আশা করি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিকের তৈরি ৫০ কেজি চালের বস্তা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বিজিএমের সদস্যরা। শুধু ৫০ কেজির বস্তা নয় সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ডিসি কনফারেন্সে রমজান মাসের পর প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করে পাটের ব্যাগ কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য তৈরির করতে এর মধ্যেই ১০০ কোটি টাকার তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এ খাতে আরও বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।
নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাবাহক উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘আমি আপনাদের বার্তা তার কাছে পৌঁছে দিব। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বার বার বলেছেন, পাট ও চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে পোশাক শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে।’
আগে পাট থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসত জানিয়ে পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাট ও পাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগণের উন্নতি চেয়েছিলেন, তিনি পাটের উন্নতির জন্য পাট মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছেন। ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করেছেন। পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করেছেন।’
সরকার পাটের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, পাটশিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গার্মেন্টসশিল্পের মতো পাটশিল্পের উন্নয়ন চান এবং এজন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর কাছে পাটশিল্প খাতের কিছু সমস্যা তুলে ধরেন বিজেএমএর চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যরা।
সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৮২টি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে করে রপ্তানিকারকরা বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে।
পাটশিল্পের বকেয়া ঋণ সুদ-আসলসহ একটি হালনাগাদ তারিখভিত্তিক ব্লক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে ২ বছরের মরাটোরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধ এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের পরিবর্তে ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা পাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর, প্রতিবেশী দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানির ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপ রহিতকরণ, ২ শতাংশ সরল সুদে পাটশিল্পের কাঁচামাল ক্রয় করার জন্য দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটি জুট সেক্টর উন্নয়ন তহবিল গঠন, কাঁচাপাটের পাশাপাশি পাটজাতপণ্যকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাটির প্রজ্ঞাপন জারি, পাটমিলগুলোর পুরাতন মেশিনারি স্থানান্তরের জন্য সরকারিভাবে অন্তত ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে পাট পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। বিদেশের বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, বিদেশের বিভিন্ন মেলা এবং বাজারে যাতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মানোন্নয়নের জন্য এর ডিজাইন, কালারিং, নকশা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাটশিল্প খাতকে গার্মেন্টসশিল্পের মতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
বিজেএমএর চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী নাবিল আহমেদ, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার, বিজেএমএর প্রাক্তন ও নবনির্বাচিত পর্ষদ পরিচালকরা এবং পাট ও পাট পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
রাঙামাটিতে ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদয়পুর সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছিল শ্রমিকরা। কাজ শেষে সীমান্ত থেকে ফেরার পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ছয় শ্রমিক নিহত ও আটজন আহত হন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাজেক থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ন্যাপ এক্সপোর তৃতীয় দিনে 'ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল গাইডলাইন্স ইন আরবান লোকাল গভর্মেন্ট কনটেক্সট উইথ ইফেক্টিভ পার্টিসিপেশন: লার্নিং ফ্রম প্রাকটিসেস' শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান প্যানেলিস্টের বক্তব্য দেন সচিব ফারহিনা।
অভিযোজন সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ সচিব আরও বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ।
ড. ফারহিনা আরও বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে নগর ও শহরে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সরকার প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগাচ্ছে। জনগণকেও প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। রাজধানীতে মাটি ও পানির জলাশয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পরিবেশ সচিব বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন। এটি হ্রাসের লক্ষ্যে হালনাগাদ হওয়া এনডিসির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনা। আন্তর্জাতিক সহায়তায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ হতে পারে।
জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. সারোয়ার বারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জিআই লয়েডের জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই নগর উন্নয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার সমন্বয়কারী ডানা দে লা ফন্টেইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এম. মেহেদী আহসান।
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরে সহযোগী হতে চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করতে যুক্তরাজ্য সহযোগীর ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এভিয়েশন শিল্পের নানা খাতে একসঙ্গে কাজ করেছে দুটি দেশ।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও উন্নতি আনাসহ সম্ভাব্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান সারাহ কুক।
বৈঠকে বাংলাদেশকে সফলভাবে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। এভিয়েশন শিল্পে কোন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সকল বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আরও অধিকতর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পর তা বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) রেকর্ডে দেখা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যা মঙ্গলবারে ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
কিন্তু আবারও লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় এবং বুধবার বিকাল ৩টায় তা বেড়ে ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিকাল ৫টায় দেশে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ডেঙ্গুতে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ২০ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১৩ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৮৪ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২৮৩ জন ও নারী ৮০১ জন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জাপান আইটি উইকে বেসিসের অংশগ্রহণ
এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত জাপানের টোকিও বিগসাইটে অনুষ্ঠিত জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২১টি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) এটি শুরু হয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন।
বিনিয়োগকারী তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মিলনমেলা।
জাপানের এই ট্রেড শোতে অংশগ্রহণকারী বেসিস সদস্যরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিটুবি মিটিং, সেমিনার এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোতে বেসিস সদস্যদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে জানানো এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে।
মেলার অংশ হিসেবে বুধবার জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংকের সিওও রেজওয়ানুর কবির। এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হলো বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী পরিচিতি সভা
সেমিনারে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য পরবর্তী গন্তব্য হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যেকোনো আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা প্রদানে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়।
এবারের জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ১৬টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- ন্যাসেনিয়া লিমিটেড, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, কাওয়াই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ড্রিমঅনলাইন লিমিটেড, এট্রাবিট আইসিটি সলিউশন, এডুসফট কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাইনেট সলিউশন্স লিমিটেড, ফ্রনচার টেকনোলজিস লিমিটেড, এসটিআইটিবিডি, পেন্টা গ্লোবাল লিমিটেড, ন্যানোসফট সিস্টেম, হ্যালো ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড, ইন্টেলিয়ার লিমিটেড এবং রেভো ইন্টারেক্টিভ।
প্রথম দিনে ‘ভিজিটর’ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বেসিসের পাঁচটি সদস্য প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো- প্রাইডসিস আইটি লিমিটেড, দেশলিংক লিমিটেড, কিউ এ হার্বার লিমিটেড, বিটেক্স টেকনোলজিস লিমিটেড ও হাইপার ট্যাগ সলিউশন্স লিমিটেড।
বাংলাদেশ থেকে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন বেসিস পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পর্দা নামলো বেসিস সফটএক্সপোর
মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে বন্দী থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের বিশেষ উদ্যোগে দেশে ফেরেন তারা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন তাদের নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
কমল জেটিঘাটে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার।
অন্যদিকে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষকালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যরা আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শেষে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এরপর দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মিয়ানমারে বন্দী বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
প্রথমে মিয়ানমার কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে রাজি হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাই করা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হয় দেশটি। পরে আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী