বাংলাদেশ
পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির উপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এর চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর বারবার আঘাত করেছে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল, আর এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে; আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আমদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন; সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। এখন সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সম্মান দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিলনা।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও যেমন- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির, সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আইনটি পর্যালোচনা ও সংস্কারে গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তার বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছে।’
একইসঙ্গে এই বক্তব্যের কার্যকর বাস্তবায়ন দেখতে আইনটি মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুধু সাংবাদিক নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকদেরকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার দাবিও জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, ‘আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বিশ্বের সেরা চর্চাসমূহ অনুসরণ করে আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমন ধারাগুলো পর্যালোচনা করে আইনটি সংশোধনের জন্য আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে সরকারের সদিচ্ছা ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই এই আইনটির বেশ কিছু ধারা বিশেষ করে ২৫ ও ৩১ নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিলো। মুক্ত চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এটি খড়গহস্ত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু সরকার কর্নপাত করেনি। এটির অপব্যবহার রোধে আইনমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটিরও বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি, বরং অল্প দিনেই আইনটি ভিন্নমত দমন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরির কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের কাছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আইনটির অপব্যবহার রোধে যে কোনো ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সকল অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগটিও ভেস্তে যাবার শঙ্কা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না- এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্যানুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের এগারো মাসে মামলা হয়েছে ২২৫টি, যেখানে ৪শ’র বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬ জনকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার এসব মামলার বড় অংশই হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তির জন্য। অর্থাৎ আইনটি শুধু গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই নয়, সাধারণ নাগরিকের ভিন্নচিন্তা ও সরকারের সমালোচনা রোধে ব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির তৈরি করেছে। যার বড় উদহারণ এই আইনের করা মামলায় কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু। সুতরাং শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’
একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করার যে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর মৌখিকভাবে থানাগুলোতে জানানো হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে, তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ও সকলের জন্য সমানভাবে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
গীতিকার রাসেল ও’নিলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর নিজ বাসা থেকে রাসেল ও'নিল নামে পরিচিত বিশিষ্ট গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪৭ বছর।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগানের নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার খেয়ে রাসেল তার রুমে যায় এবং পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে ফোন করে জানায় রাসেল দরজা খুলছে না। পরে পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসায় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে যাতে বোঝা যায় এটি আত্মহত্যা। তবে পুলিশ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে। শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল এবং সফল গীতিকার রাসেল ও'নিল দলছুট ব্যান্ডের অনেক জনপ্রিয় গান এবং গায়ক বাপ্পা মজুমদারের জন্যও গান লিখেছেন। যেমন 'মন ছুঁয়েছো', 'জোছনাবিহা‘, 'দিন বাড়ি যায়, 'সুর্য স্নানে চল' ইত্যাদি।
উল্লেখ্য সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন রাসেল। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপন শিল্পে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ২৬ হলে মুক্তি পেল ‘রাত জাগা ফুল’
সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী বেগম রাশিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন!
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ছলিমপুর এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত শাহনাজ বেগম (৩০) ও অভিযুক্ত সুলতানার (২৭) স্বামী মোহাম্মদ আজিম। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৬ বারখাইন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানায়, জুমার নামাজের সময় ছলিমপুর কালুশাহ মাজার সংলগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতাল কলোনীর দ্বিতীয় তলায় চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে দেখতে পায় বাসার ছাদে আজিমের বড় স্ত্রীর জবাই করা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে নিজ ঘরে। এর আগে দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধারালো বটি দিয়ে শাহনাজকে হত্যা করে ছোট সতীন সুলতানা। পরে এলাকাবাসী সুলতানাকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) তৌহিদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত নারীর ছোট সতীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মাস্টাররমাইন্ড গ্রেপ্তার
করোনায় শনাক্ত ৫১২, মৃত্যু ২
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৫১২ জন।দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭২ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৯ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৬৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৪ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ১২৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ছয় হাজার ৭৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ২৪ হাজার ৩০১ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ২৪৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯২৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ এক হাজার ৭৯১ জন পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ৪০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার ৮৬০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ শুরু
শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে হত্যা!
প্রেমিকের সহযোগীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় জবা (১৭) নামের এক কিশোরীকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে ও পরে গলায় ব্লেড চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে এ মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি খলিল উদ্দিন (২০)।
হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মোক্তাদির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা হকের আদালতে খলিল উদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তার স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার খলিল উদ্দিনের সঙ্গে একই উপজেলার বাসিন্দা জবার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে খলিল ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় খলিল তাঁর বন্ধু গোলাম হোসেনকেও তাঁর সঙ্গে সেখানে নিয়ে যান। এরপর প্রেমিকের বন্ধু গোলাম হোসেন ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন চাইলে, তার সঙ্গে ওই কিশোরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খলিলও তাঁর বন্ধু গোলাম হোসেনের পক্ষ নেন। খলিল ও গোলাম হোসেনের প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে ওই কিশোরীর ওড়না দিয়েই তার হাত বেঁধে ফেলে। এরপর জবাকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে চা দোকানিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
পিবিআই আরও জানায়, ঘটনার পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইও তদন্ত শুরু করে।
পিবিআই পরিদর্শক মোক্তাদির হোসেন বলেন, অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খলিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার খলিলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গোলাম হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত ব্লেড,ওড়নাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে নবীগঞ্জের খাগাউড়া গ্রামের একটি জমিতে কিশোরীর লাশ পাওয়ার পর রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পিবিআই।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
খুলনায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে ছাত্রীর আত্মহত্যা!
আবারও হাব সভাপতি তসলিম
হজ এজেন্সিস এসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (হাব) এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেল প্রধান এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান খন্দকার শামসুল আলম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
বিজয়ী সভাপতি তসলিম ভোট পেয়েছেন ৬৫০। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের প্যানেল প্রধান আবদুস ছোবহান ভূইয়া পেয়েছেন ৭৯ ভোট। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একযোগে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ক্র্যাবের নতুন কমিটির সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বিকু
নির্বাচনে একই প্যানেল থেকে ২৭ জন কেন্দ্রীয় সদস্য ও ১৩ জন ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কমিটিরে ৭জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সিলেট আঞ্চলিক কমিটিতে ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। বিজয়ী নেতারা পরবর্তীতে তাদের মহাসচিব নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আমাদের অতীত কার্যক্রম দেখে তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দেবো। সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং এজেন্সির সুখে দুখে পাশে থাকবো। তাদের কল্যাণে যখন যা করা দরকার আমি সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করবো।’
‘করোনায় আর্থিক সঙ্কট দূরীকরণে হজ এজেন্সির মালিকদের সরকারি প্রণোদনা ব্যবস্থার সহযোগিতা, এজেন্সির জামানত থেকে দশ লাখ টাকা করে অর্থযোগান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলোকে সরকারি রাজস্ববাবদ পাঁচ কোটি টাকা মওকুফ, বিশেষ করে এজেন্সি মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাদের উত্তরাধীকারীগণকে তিন লাখ টাকা প্রদাণে সিদ্ধান্তসহ নানা ইতিবাচক কাজকর্মের কারণে’ ভোটাররা এবার হাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেলকে নির্বাচিত করেছেন বলেও জানান হাবের নতুন সভাপতি তসলিম।নির্বাচনে মোট ৭২৮ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন চার জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৫৯ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ৩১ জন ও ঢাকার বাইরে ২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু!
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮ হাজার ২৬৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৫ জন মারা গেছেন।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরে হবিগঞ্জ সিভিল সার্জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
মহেশপুরে চা দোকানিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এক চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার উপজেলার পৌরসভা এলাকায় সকাল ৮ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইনানুর রহমান (৪০) উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
মহেশপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মিন্টু হোসেন জানান, পৌরসভার কুলতলা বাজারে ইনানুরের একটি চায়ের দোকান আছে। রাতে দোকানে সে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে কে বা কারা তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮৪ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই: মেঘলার বাবা