বাংলাদেশ
নাজিরাবাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: আহত ৩
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার এলাকায় সোমবার রাতে রান্নার গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। রাত পৌনে ১টার দিকে ওসমান গণি রোডের (আলুবাজার) পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,কমল (৩৫), সেলিনা (৩০) ও বন্যা (৭)। তারা নিচতলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার (মিডিয়া), রাফি আল ফারুক জানান, দমকলকর্মীরা আহতদের উদ্ধারের পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ১১
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ভোর ৩টা ৫৭ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিউটি অফিসার আরও জানান, বিস্ফোরণের সময় ওই তলার একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভবনের অন্য বাসিন্দারা নিরাপদে আছেন এবং ভবনেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আরকে টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৩
নটরডেম শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ডিএসসিসির ৯ চালক সাময়িক বরখাস্ত
রাজধানীর গুলিস্তানে ডিএসসিসির (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) ময়লাবাহী ট্রাকের চাকায় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাইম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসসিসির নয় চালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অবৈধভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও চালকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অসদাচরণ ও অযোগ্যতার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তবে ডিএসসিসির চালকরা সাময়িক বরখাস্তের সময় খাদ্য ভাতা পাবেন।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের ট্রাকের ধাক্কায় নটরডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের সোমবার জানান, ডিএসসিসির বরখাস্ত হওয়া নয়জন কর্মীর মধ্যে সাতজন ময়লাবাহী ট্রাক চালান। তারা হলেন- কাওসার আলী, বেলায়েত হোসেন, ফরিদ আহমেদ, মো. আবদুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, কবির হোসেন এবং রবিউল আলম। অন্যরা হলেন হালকা যানবাহন চালক আজিম উদ্দিন ও নুর জালাল শিকদার।
ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গাড়িগুলো ডিএসসিসির নিবন্ধিত চালকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল যারা অবৈধভাবে অন্য চালকদের গাড়িগুলো চালাতে দিতো। এ কারণেই প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের জীবন নষ্ট হয় এবং সম্পদের ক্ষতি হয়।
২৪ নভেম্বর ডিএসসিসির ময়লাবাহী ট্রাকের চাপায় নাইমের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসসিসির পরিবহণ বিভাগের কর্মকর্তারা অনিয়মের বিষয়ে সজাগ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: নটর ডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু: ময়লার গাড়ির মূল চালক গ্রেপ্তার
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে পরিকল্পিতভাবে প্রাণ হারানো বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে জাতি আজ মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপ্রতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই রাতে স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকার শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা চালানো হয়।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে দেশ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে দেশ
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
১৯৭১ সালের এ দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠাণ্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
আরও পড়ুন: শাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন।
বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য। সোমবার বিকালে যুক্তরাজ্য থেকে এই টিকার প্রথম চালান দেশে এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন,‘যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৪ মিলিয়ন আর্থাৎ ৪০ লাখ ডোজ আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ অতিমারির কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই অতিমারি থেকে আরও উত্তম, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধবভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই এক সঙ্গে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অর্ধ বিলিয়নের বেশি ডোজ অলাভজনক মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছে।
২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ১৫২ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে। প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এক দশমিক আট বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকর
প্রসঙ্গত, এই বছর জি-৭ এ যুক্তরাজ্য জুন ২০২২ এর মধ্যে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশকে প্রদানকৃত এই ভ্যাকসিন অনুদানটি জি-৭ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ এসেছে। যুক্তরাজ্যের অনুদানের ভ্যাকসিন ডোজগুলির শতকরা ৮০ ভাগ কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
রোহিঙ্গারা নিরাপদে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না: জাতিসংঘ
বাংলাদেশে আগত জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন, রোহিঙ্গারা নিরাপদে সসম্মানে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায়না।
সোমবার বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী সফর শুরু করা অ্যান্ড্রুস বলেন, বিশ্ববাসীর ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে মিয়ানমারের প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশের সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষ এই প্রতিনিধি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং ভাসানচর পরিদর্শন করবেন - যেখানে ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে অ্যান্ড্রুস সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের বোঝা ভাগ করে নেয়ার আহ্বান ঢাকার
অ্যান্ড্রুস বলেছেন, মিয়ানমারের জান্তা পরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারের জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। প্রাণের ভয়ে যারা মিয়ানমার ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, বিশ্ববাসী তাদের সমর্থন করছে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাকে এই পরিদর্শনের যে বিশেষ প্রবেশাধিকার দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই সফরের মাধ্যমে মিয়ানমার সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ পাবো।
অ্যান্ড্রুস বলেন, বিশেষ করে তিনি রোহিঙ্গাদের কথা শোনার জন্য, তাদের প্রতি নিজের সমর্থন জানাতে এবং তাদের সঙ্গে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ।
আরও পড়ুন: ফেসবুকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মামলা, ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০টি স্কলারশিপ দিবে তুরস্ক
তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একশ’টি স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গেছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এবং তাঁর স্ত্রীর সম্মানে রবিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন, আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক সরকারের দেয়া স্কলারশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি করে একশ’টি করার জন্য অনুরোধ জানালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা
ড. মোমেন তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকায় পার্ক উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সাদরে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এছাড়া আগামী বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা করেন।
বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. মোমেনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলো আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন এসময় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এবিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান।
আরও পড়ুন: সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত
তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর ডাকটিকেট অবমুক্ত
বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা বিখ্যাত সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু বুলেভার্ড’ এ বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছে।
সোমবার ভাস্কর্যটি উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে নিরন্তর সম্প্রসারিত বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে আজ এখানে উপস্থিত হওয়া আমার জন্য পরম সম্মান ও সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অসাধারণ কীর্তিটি স্থাপনের জন্য, আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে তুরস্কের জনগণ ও সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে আমার ভাই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মেভলুত কাভাসোগলু, আঙ্কারার জনগণ ও আঙ্কারা সিটি মেয়রকে আমার ও আমার প্রতিনিধি দলের প্রতি উষ্ণতা ও আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত
মোমেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্ক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং ধর্মীয় নৈকট্যে আবদ্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচনের এই তাৎপর্যপূর্ণ উপলক্ষ আমরা এমন এক মাসে উদ্যাপন করছি যাকে আমরা বিজয়ের মাস হিসেবে অভিহিত করি। এটি কেবল সম্পর্ককে সুসংহত করতে সাহায্য করবে না বরং এতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসোগলু, আঙ্কারার গভর্নর ভাসিপ শাহিন, আঙ্কারা মেট্রোপলিটন পৌরসভার মেয়র মনসুর ইয়াভাস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ- তুরস্ক পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা
লঞ্চের কেবিন থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কেবিনে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মাসুদকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে র্যাবের একটি দল কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ.ন.ম. খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
নিহত শারমিন আক্তার (২৭) ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার এনায়েত হোসেনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মো. মাসুদের সঙ্গে ২০১৯ সালে শারমিনের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। পরে তারা দৈহিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর শারমিন বিয়ের জন্য চাপ দিলে মাসুদ বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে শারমিন মাসুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলা থেকে রক্ষা পেতে ২০১৯ সালে শারমিনকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন মাসুদ। বিয়ের পর মাসুদ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারমিনকে এড়িয়ে চলতে থাকে। মাসুদ সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে শারমিন তার কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা চায়। তাই শারমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে মাসুদ। এরপর শারমিনের কাশি হলে হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদ ঢাকা থেকে কাশির ওষুধ, বিষ ও ঘুমের ওষুধ কেনেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কথা বলে পরিকল্পনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার শারমিনকে নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা-২ লঞ্চে বরিশাল রওনা দেন। নির্বিঘ্নে খুন করতে লঞ্চের লস্কর কেবিন ভাড়া করেন মাসুদ। লঞ্চে বসে রাত ১২টার দিকে শারমিনের কাশি আসলে মাসুদ তাকে বিষমিশ্রিত কাশির ওষুধ খেতে দেন। ওষুধ খেয়ে অসুস্থবোধ করলে শারমিনকে বাকি বিষও জোর করে খাইয়ে দেন মাসুদ। তারপর তিনি কেবিনের দরজা বন্ধ করে বাইরে এসে লঞ্চের রেস্টুরেন্টে ভাত খান। ভাত খেয়ে ফের কেবিনের সামনে গিয়ে বিষ মিশ্রিত কাশির ওষুধের বোতল পরে থাকতে দেখে তা নদীতে ফেলে দেন। কেবিনে প্রবেশ করে শারমিনকে তখনও জীবিত দেখতে পেয়ে ব্যাগ থেকে শার্ট বের করে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। লঞ্চ থামলে দ্রুত নেমে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি চলে যান অভিযুক্ত মাসুদ।
র্যাব আরও জানায়, এই ঘটনার পর র্যাব লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযানে নামে। র্যাবের হাত থেকে বাঁচতে মাসুদ বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় আত্মগোপন করেন। রবিবার রাতে তাকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বরিশালে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
প্রবাসীর স্ত্রীকে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার