বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদে খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজের পর মারা যাওয়া আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার (১৯) মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার অনিক আর হক এ রিট করেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। আদালতে অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল উপস্থিত ছিলেন।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
আইনজীবীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার ড্রেনে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানাতে বলা হয়েছে। ড্রেনে পড়ে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট বিবাদীরা তদন্ত করেছেন কি না, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কি না তারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলা হয়েছে রিটে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। বলা হয়েছিল, নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এর আইনি প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই রিটটি করা হয়।
উল্লেখ্য-গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরিন মাহবুব সাদিয়ার (২০)। নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। সাদিয়া চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর হালিশহর বড়পোল এলাকায়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামের মুরাদপুরে পানির নিচে ডুবে থাকা রাস্তায় হাঁটার সময় ড্রেনে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। নগরীর মুরাদপুর পুলিশ বক্সের কাছে শুলক বহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: পিবিআই’র প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কার্টুনিস্ট কিশোরের নারাজি আবেদন
এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের উত্তরণের ঐতিহাসিক রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেজুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।
এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একটি যুগান্তকারী অর্জন,যা এমন এক সময়ে অর্জিত হল যখন আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।
রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তার বক্তব্যে রাবাব ফাতিমা রেজুলেশনটি গ্রহণের ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য সকল সদস্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছেন। কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহতম সময়েও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার ফলে আজ রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল।’
স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত (স্নাতক) হওয়া কেবল সুনির্দিষ্ট একটি দেশেরই সাফল্য নয়, এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তির প্রমাণও উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘উত্তরণ কোনোভাবেই শাস্তি হতে পারে না, এটি হতে পারে পুরস্কার।’
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এই সময় হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে কার্যকারী পদক্ষেপে নেয়া না হলে সিটি করপোরেশনের সকল সেবামূলক কাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৬ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকদের মানববন্ধন
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র জমিরুদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান, সরকার মো. জাবেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুরে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেশী পাড়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে ২৫ বছরের নারী ও তার পাঁচ বছরের মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সুরমা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রিপন চন্দ্র জানান, নগরের দেশী পাড়া এলাকায় সড়কের পাশে মা-মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়ের গলা কেটে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
রিপন চন্দ্র জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
পাট থেকে স্যানিটারি প্যাড বানিয়ে পুরস্কার জিতলেন বিজ্ঞানী ফারহানা
নারী ও মেয়েদের মাসিক ব্যবস্থাপনাকে পরিবেশবান্ধব করার ক্ষেত্রে পাট থেকে প্রাপ্ত সেলুলোজ দিয়ে স্যানিটারি প্যাড তৈরির মেশিন বানিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন।
আইসিডিডিআরবি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতি জানিয়েছে, আইসিডিডিআরবি’র সহকারী বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা আমেরিকান সোসাইটি ফর ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (এএসটিএমএইচ) আয়োজিত ‘মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সম্মত বিশ্ব সম্প্রদায়’ শীর্ষক চতুর্থ ইনোভেশন পিস প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড পুরস্কার জিতেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমেদ খানের সঙ্গে সমন্বয় করে ফারহানা সুলতানা পাটের সেলুলোজভিত্তিক ডিসপোজেবল প্যাড তৈরি করে এর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
এই প্যাডটি বাংলাদেশের নারী ও মেয়েদের মাসিকের স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বিকল্প সমাধান। পাটের সেলুলোজ একটি নতুন উপাদান এবং দেশে বর্তমানে এমন প্যাড বানানোর কোন ধরনের মেশিন নেই, যা দিয়ে প্যাড উৎপাদন করা করবে।
এএসটিএমএইচের এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন ফারহানা। ২০২২ সালে এই প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসরে বিচারকের ভূমিকা পালন করবেন তিনি।
আইসিডিডিআরবি তাদের ফেসবুক পেজে আরও জানায়, বিজ্ঞানী ফারহানা পুরস্কারের টাকা দিয়ে আরও বেশিসংখ্যক প্যাড উৎপাদনের জন্য পরীক্ষা চালাবেন। একইসাথে বাণিজ্যিকভাবে এটি উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করবেন। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি।
পড়ুন: ভারতের ‘পদ্ম পুরস্কার’ পেলেন ৪ বাংলাদেশি
ঢাকা ডকল্যাবে কসমস ফাউন্ডেশন পুরস্কার
বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত। উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করে গেছেন এবং সে জন্যেই তিনি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেছেন— সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)- এর ইনোভেশন সেন্টার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, পিস ইজ ইম্পারেটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে এই পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন। তিনিও সবসময় শান্তির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ কমানোর জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটি হচ্ছে শান্তির সংস্কৃতি এবং এই প্রস্তাবটি পৃথিবীর সব দেশ গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে থেকে মানুষে মানুষে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ালে টেকসই শান্তি সারা পৃথিবীতে স্থাপিত হবে।’ বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর জন্য শান্তির একটি মডেল- এই সম্মেলনে সেটা তুলে ধরা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কুশলতায় বিশ্বনেতারা মুগ্ধ ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)- এর ইনোভেশন হাব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের মানবসম্পদ বিশেষ করে আমাদের সৃষ্টিশীল নতুন প্রজন্মকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইএটিএল যে ইনোভেশন হাব তৈরি করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এসময় তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ইএটিএল ইনোভেশন হাবের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিষ্ট এ কে এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিক্রম কুমার ঘোষ, ইএটিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বুধবার সফররত মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমের সাথে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পর্ক জোরদার হলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য আরও উন্নত হবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
বাংলাদেশ মানবসম্পদ ও স্বাস্থ্যসেবায় মালদ্বীপকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপের সাথে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি। বাংলাদেশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। তাই বাংলাদেশ এ ব্যাপারে মালদ্বীপকে সাহায্য করতে পারে।’
এসময় শেখ হাসিনা মালদ্বীপকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সেবা দেয়ার প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমকে জানান, প্রায়ই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মালদ্বীপকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরি এবং আমরা মালদ্বীপের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি।
আরও পড়ুন: সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
এসময় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, মালদ্বীপ যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, বাংলাদেশ তাকে সমর্থন করেছে।
ফয়সাল নাসিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ’র গভীর শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানান।
সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম তার এবারের সফরকে অত্যন্ত সফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ফয়সাল নাসিম বলেন, বৈঠকের ফলাফল খুবই ইতিবাচক।
এ সময় মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ড. ইব্রাহিম হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৌরবময় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের লক্ষ্যে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেশে স্বস্তি এনেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সনদ এবং সততা কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রতারণা এড়াতে আসল ওয়েবসাইট ভিজিটের আহ্বান দারাজের
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার তিনি কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারার অধীনে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি পাস করার আগে ট্রেজারি এবং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ‘উন্নয়ন বিস্ময়’।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান,৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ গণহত্যা, ২৬শে মার্চ ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা এসেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় আসে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়, বেআইনিভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সামরিক ডিক্রির মাধ্যমে সংবিধান ভেঙে দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করি। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা। দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ৯ লাখ গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্য এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স এবং রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতিতে ৪১তম অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেল এবং নিজস্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ এবং মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাংলাদেশের সাফল্যের ক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক যোগ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি হল জাতীয় সংসদ। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাপূর্ণ ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই হবে সবার অঙ্গিকার।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী