বাংলাদেশ
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ফেরির মাস্টার সাময়িক বরখাস্ত
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি শাহজালালের মাস্টার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার বিকেলে জানিয়েছে, সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় ওই ফেরির মাস্টার আব্দুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার পথে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর খুঁটির সঙ্গে রো রো ফেরি শাহজালালের প্রচন্ড ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির সমানের অংশে বড় ধরনের ছিদ্র হয়েছে। ফেরিতে থাকা ৩৩ যান একটি আরেকটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ফেরির প্রায় দুই হাজার যাত্রীর অনেকেই ফেরির ওপর পড়ে যায়। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তছনছ হয়ে গেছে ফেরির ভেতরের কেন্টিন।
আরও পড়ুনঃ ২০ বছর পর আরিচা কাজীরহাটে ফেরি সার্ভিস চালু
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কাছে পদ্মা সেতুর খুঁটির সঙ্গে শাহজালালের এই ধাক্কার ঘটনা ঘটে।এতে খুঁটির বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সেতু কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে। এই ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
বরখাস্ত হওয়া শাহজালালের মাস্টার আব্দুর রহমান দুর্ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, ফেরির ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্রেকার পড়ে যাওয়ায় স্টেয়ারিং বিকল হয়ে যায়। তবে দ্রুত ঠিক হলেও এর আগেই প্রবল স্রোতে ফেরিটির সমানের অংশ পদ্মা সেতুর খুঁটির সাথে ধাক্কা লাগে। ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যায় যাত্রীরা। আঘাতটি পানির লেভেলের নিচে হলে ফেরিটি ডুবে যেতে পারতো।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসেই এই নিয়ে তিনটি ফেরি সেতুর ঘুঁটিতে আঘাত করেছে। পদ্মা সেতুর মত জাতীয় সম্পদটির রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
করোনায় প্রবীণ সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। বুধবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও আত্বীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে নিজ বাড়ি থেকে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
রুহুল কুদ্দুস সর্বশেষ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কমর্রত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি ১৯৮০ সালে সাপ্তাহিক পাবনা বার্তায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকায় এসে দৈনিক বাংলা, বাসস সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন।
এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে নদী ও পানি বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘সুখ দুঃখের নদী’ এবং ‘দৈনন্দিন খাবার ও পুষ্টি’ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনা করতেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ -দক্ষিণ আফ্রিকা মৈত্রী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে ঝিনাইদহে শোক
বৃহস্পতিবার পাবনার বেড়ায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক বিবৃতিতে ক্লাব সদস্য রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের মত গুরত্বপূর্ণ বন্ধুদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
তিনি বলেন, ‘ভারতে ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে। আশা করছি, উৎপাদন বাড়লে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। তবে আমি এ ব্যপারে নির্দিষ্ট কোন দিন তারিখ বলতে পারছি না। উৎপাদন বাড়ছে এটা ইতিবাচক দিক।‘
আরও পড়ুনঃ কোভিশিল্ডের রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় কোভ্যাক্সিন প্রদানে আগ্রহী দোরাইস্বামী
শুক্রবার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে আখাউড়া চেকপোস্টের শূণ্য রেখায় এসব কথা বলেন তিনি।
দোরাইস্বামী আরও বলেন, ‘কোভিডের মধ্যে গত এক বছরে ব্যবসা বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাংলাদেশেও ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকে তাহলে কোভিড অতিমারির মধ্যে আমরা ব্যবসা বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে পারব। বাংলাদেশও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারলে আমরা খুশি হব।'
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি: দোরাইস্বামী
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো. মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৮ জুলাই বিক্রম দোরাইস্বামী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে সস্ত্রীক দেশে যান।
আরও প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসছে
জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ আসছে বাংলাদেশে। শনিবার পররষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এই টিকা গ্রহণ করবেন। কোভেক্সের আওতায় এই টিকা পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে শনিবার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই টিকার চালানটি এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
কয়েক দফায় জাপান বাংলাদেশকে ২৯ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিবে বলে জানিয়েছে। জাপান জানিয়েছে, করোনা-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে তারা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুনঃ দেশে এলো মডার্নার আরও ৩০ লাখ টিকা
এর আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি এক ঘোষণায় বলেছেন, তারা এই অঞ্চলের ১৫ টি দেশকে কোভেক্সের আওতায় ১১০ কোটি টিকা দিবে।
পুনরায় লকডাউনে রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
সরকারের পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন কার্যকর হওয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে আগের চেয়ে নিস্তব্ধতা বেড়েছে।
করোনার সাম্প্রতিক ছোবল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতেই গত বৃহস্পতিবার টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
ঈদ উপলক্ষে প্রায় আট দিন লকডাউন শিথিল থাকার পর আবারও শুক্রবার থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। তাই শুক্রবার রাজধানীর সড়কগুলো গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন একটা যান চলাচল করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
যান চলাচল বন্ধ থাকায়, শুক্রবার সকালে ঈদ শেষে ঢাকামুখী মানুষদের পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
সরকারের সাম্প্রতিক লকডাউনের বিধিনিষেধে সকল পেশার মানুষই নিজ কর্মস্থল এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কেননা, বর্তমান লকডাউনে সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কোর্ট, কারখানাসহ সকল প্রকার রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব ও সেনাবাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ ও যানবাহনের চালকদের।
তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে যাত্রীবাহী যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, রাস্তায় আটকা পড়া যানবাহনগুলোকেই উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনও গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
এক প্রশ্নের জবাবে এই ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আমরা কঠোরভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি। শুধুমাত্র জরুরি সেবার গাড়িগুলোই লকডাউনে চলাচল করতে পারবে।’
তবে শুক্রবার সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলার মানুষদের রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখ যেমন, টঙ্গী ব্রিজ, আমিনবাজার ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ এবং পোস্তগলা ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ঢাকায় প্রবেশের মুখে বাসযাত্রী এসব মানুষদের বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই রাজধানীতে প্রবেশ করতে হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা জটিলতায় আরও ১৭ মৃত্যু
এসময় মানুষদের মাস্ক পড়া ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই লকডাউন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’
লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য দেশের মধ্যে পরিচালিত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলবে।
শুক্রবার থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া লকডাউনে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট থাকা যাত্রীদের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ফের কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকবে সব কারখানা
বৃহস্পতিবার ক্যাব জানায়, বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট থাকা যাত্রীদের কাঙ্খিত ফ্লাইট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত এবং যাত্রীদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকেট যাচাই করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ৩,৬৯৭
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দেউবার নতুন নেতৃত্ব দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এক অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, ‘পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরে আসা এবং ১৮ জুলাই নেপালের পার্লামেন্ট যে অপ্রতিরোধ্য সমর্থন দিয়েছে তা আপনার নেতৃত্বের ওপর দেশটির জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিশ্বাস ও আস্থারই সাক্ষ্য দেয়।’
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জিতব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ ও নেপাল অভিন্ন স্বার্থ এবং অশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুর্দান্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে।’
দেউবার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাব্য সুযোগগুলো অন্বেষণের মাধ্যমে আরও গভীরতর হবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-এই দুটি যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়ে আমাদের উদযাপনকে আরও মূল্যবান করে তুলেছেন।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে সাংবাদিকরা: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল অর্থনীতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত অর্থনীতির ‘সোনার বাংলা’ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার পথে রয়েছে। এসময় তিনি বলেন, নেপাল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লাভবান হতে পারে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী বছরগুলোতে আরও প্রসারিত ও গভীরতর হবে। তিনি দেউবাকে তাঁর সুবিধা মতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকছে পোশাক কারখানা
ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে সাংবাদিকরা : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকরা ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে, যে অব্যক্তদের পক্ষে আমাদের কথা বলা দরকার, সাংবাদিকরাই পারে তাদের কথা ব্যক্ত করতে, সমাজ যেদিকে তাকায়না সেদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
বর্তমানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো সাংবাদিক মারা গেলে তাঁর পরিবার তিন লাখ টাকা পাচ্ছে, কেউ অসুস্থ হলেও টাকা পাচ্ছে। সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের পড়ালেখার ক্ষেত্রেও অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন করোনাকালীন সহায়তার জন্য। ঈদুল আজহার আগেই সেগুলোর বিতরণ শুরু হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশটা যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটাও মানুষকে আমাদের জানাতে হবে। তাহলে মানুষ আরো স্বপ্ন দেখবে। দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম 'মাদার অব হিউম্যানিটি' আখ্যা দিয়েছে, তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। অথচ এটার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোন জোরালো দাবি ছিল না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক বিষয় আছে সমাজ সেদিকে তাকায়না। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো পাগলেরও একটা গল্প আছে, ফ্যালফ্যাল করে তাকানো মানুষটার কিছু বেদনা আছে, সেই বেদনা শোনার সময় সমাজের নেই, সমাজ তাকে জিজ্ঞেস করেনা। কিন্তু একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেটি অনুসন্ধান করে সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারে।
তিনি বলেন, লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক হিসেবে কাজ করে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয় এবং সমাজকে সঠিক পথে প্রবাহিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে তথ্যমন্ত্রী: ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের আলোচনা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বহুমাত্রিক সমাজে বিতর্ক থাকবে, সমালোচনা থাকবে, কিন্তু এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও হতে হয়, নইলে যারা ভালো কাজ করে তারা কখনো উৎসাহ পাবে না' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপিসহ কেউ কেউ মনে করে, তারা সরকারে থাকলে সব ভাল, আমরা সরকারে থাকলে সব খারাপ, এটা ঠিক নয়। দেশটা কি এমনি এমনিতে এগিয়ে গেল ? গত সাড়ে বারো বছরে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনাতীত, আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
চট্টগ্রামের অন্যতম নান্দনিক ও ঐতিহাসিক স্থান সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং-সিআরবি'র পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিআরবি পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ‘চ্যাম্পিয়ন অভ দ্যা আর্থ’ পদকে ভূষিত বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোন কাজ হবেনা। সিআরবিতে পরিবেশ নষ্ট হোক, গাছপালা কাটা হোক সেটি আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাইনা। সরকার জনগণের বিপক্ষে কোন কাজ করবেনা। আমি বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করবো।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে বড় কাজের পরিকল্পনা ছিল সাইমনের
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে একটি বড় কাজের পরিকল্পনা ছিল সদ্য প্রয়াত ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিংয়ের। সাইমনের জীবনের শেষ ২৬ বছরের সঙ্গী ফিয়োনা ম্যাকফারসন ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এই পোস্টে সেই পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়নি।
গত শুক্রবার রোমানিয়ায় ৭৭ বছর বয়সী প্রখ্যাত এই সাংবাদিকের মৃত্য হয়।
ওই পোস্টে প্রিয় সঙ্গীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিয়োনা লিখেছেন: হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে মৃত্যুর সময় সাইমনের গায়ে বাংলাদেশের একুশে টিভির লোগো সংবলিত পোলো টি-শার্ট ছিল। তাদের জমজ কন্যা ইন্ডিয়া ও আভা তাদের বাবার মূল্যবান স্মৃতি হিসেবে এই টি-শার্টটি সংরক্ষণ করেছে।
বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সাইমনের যোগাযোগ ও গভীর বন্ধনের কথা ফিয়োনা তাঁর এই পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
ফিয়োনা তাঁর পোস্টে আরও লিখেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমি আমার ২৬ বছরের প্রিয়তম সঙ্গী ও আমাদের আশীর্বাদপুষ্ট যমজ কন্যাদের বাবা সাইমন ড্রিংয়ের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত মৃতুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে জরুরি একটি রুটিন অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হলেও ১৬ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ২.৩০ মিনিটে সাইমন মারা যান। রোমানিয়ায় আমরা ২০২০ এর প্রথম দিক থেকে বাস করছি। সাইমন তাঁর আত্মজীবনী লেখার জন্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমাদের খুব শিগগিরই ফ্রান্সে পাড়ি জমানোর কথা ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্ধু সাইমন ড্রিং আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
একজন খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক সাংবাদিক হিসেবে তাঁর জীবনের সাফল্য ও অর্জনগুলো খুব সুপরিচিত। তিনি খুব কৌতূহলী ছিলেন এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরার ব্যাপারে খুব আগ্রহ ছিল তাঁর। এক্ষেত্রে যতই ব্যয় হোক না কেন, সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করতেন, সেখানেই যেতেন।
প্রকৃতপক্ষে তাঁর বিস্ময়কর সাহসিকতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়ার জন্য আমাদের যমজ কন্যারা অনেকদিন নাওয়া, ঘুম পর্যন্ত বাদ দিয়েছে! এটি আমাকে ও কন্যাদের তাঁর সঙ্গে ভ্রমণের সময় রাস্তায় ঘুমানোর অভিজ্ঞতা অর্জনের ব্যাপারেও সীমাহীন অনুপ্রেরণা এবং সুদূরপ্রসারী সাহস দিয়েছে।
সাইমন বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েকটি ছোট সিরিজ লিখতে শুরু করেছিলেন এবং অদূর ভবিষ্যতে সেগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন।
সাইমন তার প্রিয় বাংলাদেশের জন্য এই বছরের শেষের দিকে একটি বড় কাজের পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার আশা করেছিলেন। দেশটি স্বাধীনতার ৫০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করছে। ইতিহাসের এমন একটি সময়কালের সঙ্গে সাইমন জড়িত যা তাঁর আত্মার সঙ্গে যুক্ত। যেন এই মাইলফলকটি মিস হলে তাঁর হৃদয় ভেঙ্গে যেত।
ফিয়োনা আরও লেখেন, আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে, বিশ্বজুড়ে তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মীদের কাছে; যাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর অনন্য ইতিহাসের অংশ, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা এত বছর ধরে প্রায় সময়ই আমাদের চিন্তাভাবনা এবং কথোপকথনের অংশ ছিলেন। টিম পেইজ, ফরহাদ মাহমুদ, বার্নার্ড, আবু আলম, এমা, ঝর্ণা, দেবেন এবং আরও অনেকেই।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফিয়োনা সাইমনের প্রথম স্ত্রী হেলেনে ও প্রিয় কন্যা তানিয়ার কথাও স্মরণ করেন। তিনি লিখেন, হেলেনেই প্রথম তাঁর (সাইমন) উত্থানকে মহান উচ্চতায় উন্নীত করেছিলেন। তাঁর বোন সু-কে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি টম, ড্যান, মিশেল, সোফি, ক্রিস, জেরেমি এবং সমস্ত ভাগ্নি, ভাগ্নে, চাচাত ভাই এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি ফিয়োনা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, তাঁর (সাইমন) অবদানকে মনে রেখে তাঁর উত্তরাধিকারীরা তাদের নিজস্ব অনন্য যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে থাকবে, কারণ আমরা তাদের ম্লান হতে দেব না।
আরও পড়ুন: মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা কার্টুনিস্ট ওয়েস্টারগার্ডের মৃত্যু
প্রিয়তম সাইমনের উদ্দেশ্যে ফিয়োনা লিখেন, ইন্ডিয়া ও আভা আজ তোমার শীতল শরীরকে জড়িয়ে ধরেছে। তারা তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো তোমার কানে ফিসফিস করে বলছে এবং তোমার অত্যন্ত শান্ত মুখটিতে চুমু দিয়েছে। তুমি ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া কীভাবে সম্ভব হবে তা ভেবে আমি চিন্তিত হচ্ছি। তুমি আমার সেরা বন্ধু ছিলে। তোমার ভালবাসা এবং আমাদের দেয়া সময়ের জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ওহ ড্রিংগো, আমরা সবসময় ভেবেছি তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে। আমরা কখনো তোমাকে ভুলবো না। শাশ্বত শান্তিতে এখন বিশ্রাম নাও। এটাই সময়।
আরও পড়ুন: আততায়ীর গুলিতে হাইতির প্রেসিডেন্ট নিহত
শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ জুলাইয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাংলা অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ১৩ জুলাই নৌযান পরিচালনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান হলো, লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য। অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভার, স্টাফ, যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।