������������������������
দেশে করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত ১২ হাজার ছাড়াল
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০৩ জনের। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬,৮৪২ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংকটে মানবিক উদ্যোগ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৭৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৯.২১শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬১ শতাংশ।
এর আগে সোমবার দেশে সর্বোচ্চ ১৩,৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং রবিবার সর্বোচ্চ ২৩০ জন মৃত্যুবরণ করেন। দেশে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে আট লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৯১ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার চার হাসপাতালে ১৯ মৃত্যু
মঙ্গলবার ঢাকায় ৬১ জন, খুলনায় ৫৩ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া রংপুরে ১৫ জন, ময়মনসিংহে সাতজন এবং বরিশাল এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন করে মারা গেছেন।
লকডাউন
এদিকে ইদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত লকডাউন তুলে নেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৯ মৃত্যু
তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কার্যকর হবে।
এদিকে জুলাইয়ের ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।
এছাড়া গণপরিবহন এবং ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
দেশব্যাপী ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) ডিভিশন ও ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই অনলাইন হাট পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইন আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
রেজাউল করিম এমপি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ মাথা উচু করে দাঁড়াবে। এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে একদিকে বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য পাবেন অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন সঠিক পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা। হাটে না গিয়ে নিজেকে নিরাপদ রেখে ঘরে বসে কোরবানি পশু পাওয়ার এই সুবিধা আমরা পাচ্ছি কারণ বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। আজ আমরা যদি ডিজিটালি সক্ষম না হতাম তাহলে এই হাটের মাধ্যমে মানুষকে আজ এতটা সুরক্ষা দেয়ার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়তো কঠিন হয়ে যেত।‘
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার এই কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা নিরলসভাবে কাজ করছে। কৃষক এবং খামারিরা খাদ্য ও পশু উৎপাদন করে দেশকে খাদ্য ও পশু উৎপাদনে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের ১৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে। এতে ই-ক্যাব ও একশপ সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি ডিজিটাল হাটকে নিরাপদ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব বলে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী স্ক্রো সেবার মাধ্যমে একটি গরু ক্রয় করেন এবং এটি মানবসেবায় দান করেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় ও সহযোগিতায় দেশ গবাদি পশুর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত বছর আমাদের এক কোটি ১৮ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল,কিন্তু করোনার কারণে বিক্রি হয়েছে ৯৪ লাখ পশু। চলতি বছর এক কোটি ১৯ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এ বছর ১৮৪৩টি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা রেকর্ড সংখ্যক পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারব।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
অনুষ্ঠানে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান পিএএ বলেন, সরকারি সেবাগুলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে কল্যাণময় করে তুলেছে। ডিজিটাল হাটের ধারণা এখন উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সকল প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে এই ডিজিটাল হাট প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন জাতিসত্ত্বা উপহার দিয়েছেন এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিতে কাজ করছেন। কোনোদিন হয়তো কেউ চিন্তা করেনি তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আজ এই অবস্থানে থাকবে। কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে আজকের ডিজিটাল হাট যুগপৎ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, সম্পদের সুষম বন্টনে আমরা যদি তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এর সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ই-ক্যাব পেন্ডামিকের শুরু থেকে ডিজিটাল হাট, লকডাউন ম্যানেজমেন্ট, টিসিবি’র পণ্য বিক্রি সব বিষয়ে সরকার এবং জনগণের পাশে রয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণলায় অনলাইনে পশু বিক্রি সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন প্রকাশ করে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে গত ৪ জুলাই চালু হওয়া ঢাকা মহানগরী কেন্দ্রীক ডিজিটাল হাটকে মুলত দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হলো।
এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এমওইউ স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভার্চুয়ালি এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
মালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (অর্থনীতি) মন্ত্রী দাতো শ্রী মোস্তফা মোহাম্মদ এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। এই ভার্চুয়াল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয়ই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পডুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
উভয় মন্ত্রীই এই সমঝোতা স্মারকের সইকে দুই পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু দেশের ৫০ বছরের দীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ যাত্রায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই এমওইউ স্বাক্ষর দুই দেশের বিরজমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দান করবে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রশস্ত করবে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মিস হাজনাহ মো. হাশিম এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী মালয়েশিয়ার পক্ষে পেট্রোনাস এলএনজি লিমিটেড এবং গ্লোবাল এলএনজি এসডিএন বিএইচডি এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, পেট্রোনাসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের প্রতিনিধিরা এবং উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই দেশের গনমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
মন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এর সাথে মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। তাই বিভিন্ন প্রতিকূলতা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও এগুলোকে পরিহার করা সম্ভব হয় না। গত বছর করোনা মহামারির মধ্যেও সরকার থেকে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বছর করোনার প্রাদূর্ভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কুরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমনের পৃথক করতে হবে। পাশাপাশি হাটে আগত সকলে যাতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং জীবাণুনাশক সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাটএছাড়া, পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহী করার আহবান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে অনলাইনের পাশাপাশি স্বশরীরে পশুর হাট যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতিনি বলেন, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি জানতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করার জন্য টিভিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা, কোরবানি এবং বর্জ্য অপসারণের বিষয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গাইড লাইন যথাযথ অনুসরণ করে এই কাজগুলো নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্বশরীরে পশুর হাটগুলোতে সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সাধারণ মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকে। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করার আহ্ববান জানান।
আরও পড়ুনঃ যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গতবছরও করোনা মহাসংকটে পশুর হাট বসানো হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও কিন্তু পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে। কোরবানি যতটা সম্ভব নির্বিঘ্নে করা যায় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে সভায় জানান মো. তাজুল ইসলাম।
অনলাইন সভায়, সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয় এবং আয়হীন মানুষের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আহসানুল করিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের চলমান সংক্রমণ এড়াতে আরোপ করা লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় এই অর্থ প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুনঃ অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
পুরো অর্থের ৪৫০ কোটি দেওয়া হবে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, দুই লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং এক হাজার ৬০৩ জন জাহাজ শ্রমিককে। এছাড়া ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৪০ জনকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে।
গ্রাম পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তার জন্য ৮১৩ টি কেন্দ্রে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসুচি পালন করবে সরকার।
আরও পড়ুনঃ প্রণোদনা পেলেন খুলনার ৩ হাজার ৬০০ কৃষক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন ময়দা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে দরিদ্র জনগণকে খাদ্য সহায়তা দিতে ডেপুটি কমিশনারের আওতায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মৌসুম শেষ হলেও প্রণোদনা পায়নি ফরিদপুরে পাট চাষিরা
এছাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং পিকেএসএফ এর মাধ্যমে গ্রামীন এলাকায় কর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে সরকার এক লাখ ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ৪ শতাংশ সুদে এই অর্থ প্রদান করা হবে।
পর্যটন খাতের হোটেল, মোটেল এবং থিম পার্কের কর্মীদের বেতন, ভাতা দেয়ার জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধার জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মান্নানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মঙ্গলবার সকালে ৭৫ বছর বয়সী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র এবং আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন ।
আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৩৬ রোগী চিকিৎসাধীন
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এসব রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩৫ এবং ঢাকার বাইরে একজন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৮৪৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬০৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে কেউ এখনও মারা যাননি।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনক মাত্রায় কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৭০
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত
নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও বাংলাদেশে আশ্রিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত পুনর্বাসনের মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সকল সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে `রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস বেইজিংয়ের
মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। অবশেষে, নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো।
প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, `মানবিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমানা উন্মুক্ত করে দেন। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গত চার বছরেও মিয়ানমারের অসহযোগিতা ও অনীহার কারণে অদ্যাবধি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘের আলোচ্যসূচিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি সক্রিয় আলোচনায় রাখা প্রয়োজন। কেবল মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গাদের প্রতি মনোযোগ হারানো উচিত হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে নিজেদের আবাসস্থলে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, তাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত এ গুরুভার বহনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর রোহিঙ্গাদের টিকাদান
গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সকল প্রকার নির্যাতন, মানবতা-বিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়। এছাড়া, প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সকল প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
প্রস্তাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমার বিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন’ র সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতির উপর মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ’ বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পর জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এই প্রথম কোন প্রস্তাব বিনা ভোটে জাতিসংঘে গৃহীত হলো। সেই বিবেচনায় এবারের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মাইলফলক।
বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি
আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের অর্থ-সামাজিবক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো।
তবে এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্ক অবস্থায় থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল, ঈদের পর ফের কঠোর
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে চলবে ট্রেন
এর আগে সোমবার রেলমন্ত্রী মো. নরুল ইসলাম সুজন বলেন, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে আগামী ১৫ জুলাই থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। আসন্ন ঈদুল আজহায় মানুষের চলাচলের জন্য আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২জুলাই পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত জানানো হবে। এক্ষেত্রে টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোন টিকেট দেয়া হবে না। মঙ্গলবার বিকেল থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৯ মৃত্যু
টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কয়েকটি দেশ ও সংস্থা থেকে শিগগিরই বিপুল পরিমাণ টিকার চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
'সুখবর' শিরোনামে মন্ত্রী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেন, আমাদের জেনেভা মিশন জানিয়েছে যে, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও তিন মিলিয়ন (ইতোমধ্যে ২৫ লাখ এসেছে।) মডার্নার ভ্যাকসিন পাচ্ছি, শিপমেন্ট রেডি আছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, জাপানিরা ২৫ লাখের পরিবর্তে ২৯ লাখ এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সের আওতায় দেবে।
মোমেন বলেন, চায়নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার ১৫ তারিখে তাসখন্দে সাক্ষাৎ হবে এবং চায়নিজ সরকার আরও এক মিলিয়ন সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে।
মন্ত্রী বলেন, ইইউ থেকে দশ লাখ এবং কোভ্যাক্সের অধীনে আরও ছয় লাখ ২০ হাজার টিকা আগস্টে আসবে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। একটি লাইনআপ তৈরি করেছি। আমি মনে করি, এখন আর টিকার সংকট থাকবে না এবং কোনো বাধা ছাড়াই টিকা দেয়ার কর্মসূচি চলবে।
মোমেন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার ডোজ দেশে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আরও টিকা পাওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘এই তিন মাসের পর চুক্তি সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং চীনা পক্ষ জানতে চেয়ে বাংলাদেশের কতটুকু লাগবে। আমরা চুক্তিটি প্রসারিত করব। পরিমাণ সম্পর্কে তাদের জানাতে তারা একটি তারিখ দিয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী।