বিশ্ব
বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ১৮ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনি মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ৯১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩২২ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫৬৭ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্তেও রেকর্ড
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ১১২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯২ হাজার ৫১১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ২২৯ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ২৭৮ জনে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, অক্সিজেন সংকট
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর আগে রবিবার (৪ জুলাই) দেশে ১৫৩ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ৩০ জুন ৮ হাজার ৮২২ আক্রান্ত হয়েছিল। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্তের হার ২৯.৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। মৃতদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৮৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
ফ্লোরিডায় ভবন ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে ঘূর্ণিঝড় এলসা ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ামি অগ্নিনির্বাপক দলের সহকারী ফায়ার চিফ রেইড জাদাল্লাহ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যাবেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় ১২ তলা ভবন ধসে বহু হতাহতের আশঙ্কা
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবন ধসের ১২ দিন পরও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে বরে তারা জানিয়েছেন।
মিয়ামির অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্য ম্যাগি কাস্ত্রো বলেন, ‘আমরা জানি দিন যত যাচ্ছে মানুষগুলোর বাঁচার সম্ভাবনা কমে আসছে।’
আরও পড়ুন: কানাডার আরেকটি আদিবাসী স্কুলে গণকবরের সন্ধান
২৪ জুন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনটি ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
ওই সময় ভবনটির বেশিরভাগ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনটি ধসে পড়ায় ওই কমপ্লেক্সের ১৩০টি ইউনিটের অর্ধেক তছনছ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ করলেন অ্যান্টিভাইরাস গুরু জন ম্যাকাফি
ইন্দোনেশিয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, অক্সিজেন সংকট
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইন্দোনেশিয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিযেছে।
দেশটির সামুদ্রিক বিষয় ও বিনিয়োগ সমন্বয়মন্ত্রী লুহুত বিনসর পাণ্ডজায়ান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের চাহিদা তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্তেও রেকর্ড
এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকার অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে অক্সিজেন আমদানি করা হবে।’
শনিবার দেশটির ইয়গ্যাকার্তা শহরের ড. সার্দজিতো জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের ইউনিটে তরল অক্সিজেন সরবরাহের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবার পর ৬৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বিমান বিধ্বস্ত, ৪২ সেনাসদস্য নিহত
বিশ্বের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়া গত দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, একদিনে ৫৫৫ জন নিহতের পাশাপাশি নতুন ২৭ হাজার ২৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির অত্যন্ত বিপজ্জনক সময় পার করছে বিশ্ব : ডব্লিউএইচও
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মোট মারা গেছেন ৬০ হাজার ৫৮২ জন।
ফিলিপাইনে বিমান বিধ্বস্ত, ৪২ সেনাসদস্য নিহত
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সুলু প্রদেশে সামরিক বাহিনীর একটি বিমান অবতরণ করার সময় বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৪৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪২ জনই সেনাসদস্য।
দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেনজানা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বিমানটিতে তিনজন পাইলট এবং পাঁচজন ক্রুসহ মোট ৯৬ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের পর পাওয়া গেল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ধ্বংসাবশেষ
সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল সিরিলিটো সোবেজানা বলেছেন, বিধ্বস্ত হওয়া লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর অন্যতম বিমান ছিল। এ বছর সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে বিমানটি ফিলিপাইনকে দেয়া হয়। রবিবার দুপুরের আগে সুলু প্রদেশের পাটিকুলের পাহাড়ি শহর বঙ্ককাল এলাকায় অবতরণের সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ছাগলের সাথে বসবাস আম্পানে বিধ্বস্ত খাদিজার
সোবেজানা বলেন, এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক যে বিমানটি ল্যান্ডিংয়ের সময় রানওয়ে মিস করে এবং পুনরায় উড্ডয়নের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনি মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৫ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৯৫ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৭২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৯৩ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় টানা সাতদিন শতাধিক মৃত্যু
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৮৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজার ৪২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ২ হাজার ৩৬২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫০ জনে।
আরও পড়ুন: ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ খ্যাত ফজল-এ-খোদার ইন্তেকাল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
গত মার্চে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে। দেশে এক সপ্তাহ ধরে করোনায় একশো'র বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরও ১৩৪ জন এবং এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬,২১৪ জনের।
নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ৯১২ জন এবং করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনে।
আরও পড়ুন: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ২৭.৩৯ শতাংশ যা শুক্রবারে ছিল ২৮ শতাংশ।
এই সময়ে দেশে মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
জাপানে কাদার স্রোতে ২ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০
জাপানের রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে আতামি শহরে প্রবল বৃষ্টির ফলে কাদার স্রোতে ঘরবাড়ি ও গাড়ি ভেসে গেছে। ভূমিধস ও কাদার স্রোতের কারণে কমপক্ষে দু'জন মারা গেছেন এবং প্রায় ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এপি রবিবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শনিবার এই ভূমিধসের ঘটানাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ইকিগাই: জাপানিদের সুস্থ জীবনের রহস্য!
আতামি শহরের এই ঘটনায় শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত দশ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শতাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী, সামরিক বাহিনী এবং তিনটি কোস্টগার্ড জাহাজ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকায় অন্তত ৮০টির মতো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কাদামাটিতে আটকা পড়ে গাড়ি ও বাড়িগুলোতে মানুষের খোঁজে এখনও অভিযান চলছে।
কয়েক দিন আগে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ে ভূমিধসের কারণেই পাহাড় থেকে এমন কাদারস্রোত নেমে এস ঘর-বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: জাপানে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা, তাদের মোবাইলে এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। তারা জানান, হঠাৎ করেই তারা প্রবল শব্দ শুনতে পান। এরপর কাদামাটির স্রোতে ওই এলাকার বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
করোনা মহামারির অত্যন্ত বিপজ্জনক সময় পার করছে বিশ্ব : ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক সময়ের’ মধ্যে রয়েছে বিশ্ব। প্রায় ১০০টি দেশে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান এই সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ভারতে প্রথম ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়। এরপর থেকে এটি রূপান্তরিত হচ্ছে এবং অনেক দেশে করোনা একটি অতি সংক্রামক ধরণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ১৩২ প্রাণহানি, শনাক্ত ২৮.২৭ শতাংশ
টেড্রস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আগামী বছরের মধ্যে তাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাদান নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছি। লক্ষ্য করেছি, ইতিমধ্যে টিকার তিন বিলিয়ন ডোজ বিতরণ হয়েছে। কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই টিকা বন্টন নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বিশ্বব্যাপী যে টিকা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুই শতাংশেরও কম পেয়েছে দরিদ্র দেশগুলো। যদিও ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডাসহ ধনী দেশগুলো এক বিলিয়ন টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, সারা বিশ্বের জন্য ১১ বিলিয়ন ডোজ টিকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ব্যাপক ভ্যাকসিনেশনের হার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকি কমাতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
চীনা শাসন ব্যবস্থা একটি অনন্য মডেল: ইমরান খান
চীনা শাসন ব্যবস্থাকে একটি অনন্য মডেল হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নেতৃত্বে চীন দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চীনা গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, চীনে দরিদ্রতা নির্মূলে কমিউনিস্ট পার্টির চেষ্টা পুরোপুরি সফল হয়েছে।
ইমরান বলেন, 'আমি মনে করি যে কোনো মানব সভ্যতার জন্য এটা অন্যতম একটা অর্জন। আগে কোনো সমাজ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি না।'
আরও পড়ুন: চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে: জিনপিং
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চীনা শাসন ব্যবস্থাকে অনন্য মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন।
গত কয়েকবছরে কয়েকবার চীন সফর করা তেহরিক- ই- ইনসাফ পার্টির এই নেতা বলেন, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অংশ হিসেবে চীন যেভাবে মেধা যাচাই ও পরিচর্যা করছে সেটা তাকে খুব আকৃষ্ট করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে ইমরান বলেন, মানবসভ্যতা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক নিয়ে ইমরান বলেন, কূটনীতিক সম্পর্ক তৈরির পর থেকে কঠিন সময়ে দুই দেশ পরস্পর পরস্পরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছে। এই গভীর, শক্তিশালী সম্পর্ক শুধু দুই দেশের সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যেও বিদ্যমান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান যখনি কোনো বিপদে পড়েছে চীন তখনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের জনগণের মনে চীনের জনগণের জন্য বিশেষ এক জায়গা রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলায় চীন দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকায় রাখার পাশাপাশি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন চীন টিকা দেওয়ার কারণে পাকিস্তান দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পেরেছে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
চীন- পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের আওতায় পাকিস্থানের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর এবং পরিবহন ব্যবস্থায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খান।
ভবিষ্যতে চীনের সাথে শিল্প, কৃষি এবং দক্ষতা উন্নয়নের ব্যাপারে একসাথে কাজ করবেন উল্লেখ করে ইমরান বলেন, সিপিইসি প্রকল্প আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি যেমনই হউক চীনের সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতিতে পাকিস্তান কাজ করে যাবে। চীন- পাকিস্তান সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী বছর পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই রদবদল হতে চলেছে।
যদিও এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির পাওয়া তথ্য অনুসারে, মন্ত্রিসভায় কমবেশি নতুন ২৮ মুখ দেখা যাবে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও উপস্থিতি থাকছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
বর্তমানে মোদির মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। ২০১৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর এটাই মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায বর্ধনের উদ্যোগ হতে চলেছে।ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের তিন বিজেপি নেতা, জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং এন প্রামাণিকের নাম নতুন মন্ত্রীসভায় যুক্ত হবার কথা শোনা যাচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গে গত এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধরনের পরাজয়ের শিকার হয় মোদির বিজেপির। কেন্দ্রীয় অনেক নেতাসহ স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার পরও বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় বিজেপি।
আরও পড়ুন: চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে: জিনপিং
পশ্চিমবঙ্গের পরাজয়ের কথা মাথায় রেখেই আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বচান ও সাধারণ নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনা করছে বিজেপি।ইউএনবি’র পাওয়া তথ্যমতে, সাবেক কংগ্রেস সাংসদ জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের নাম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারে।
এছাড়া, মন্ত্রিসভায় বর্ধনের লক্ষ্যে বর্তমান মন্ত্রিসভাযর পিয়ুস গোয়াল, স্মৃতি ইরানি সহ প্রায় নয়জন মন্ত্রীকে তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষক রামা শার্মা বর্তমান গুঞ্জন সম্পর্কে ইউএনবিকে বলেন, ‘আগামী বছর উত্তর প্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এক্ষেত্রে যেকোনও দলের জন্যই উত্তর প্রদেশ জয় করা জরুরি।’‘উত্তর প্রদেশ যার, ভারত তার।’- এমন কথার প্রচলন আছে উল্লেখ করে রামা শার্মা আরও বলেন, ‘যেহেতু উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ ৮০টি সংসদীয় আসন আছে, তাই সকলেই উত্তর প্রদেশের ওপর নজর রাখবে।’
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬২১ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ২৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে সরকার
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩০৮ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫১ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৫ হাজার ১২ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার ৩০৪ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৭ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৭১ জনে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে ১৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে, যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আরও ৮ হাজার ৩০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: সিলেটে হাসপাতালে শয্যা সংকট, খালি নেই আইসিইউ
এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভাইরাসে একদিনে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৮২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৫টি। মৃতদের মধ্যে ৯০ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন। সুস্থতার হার ৮৯.০৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।