জীবনধারা
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাবান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) ৩য় অধিবেশন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সিআইএফএফ প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, উৎসবটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পরবর্তীতে সময় পরিবর্তন করা হয়।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতদেশের হাজার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করছে, ১০০০ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালককে ইতোমধ্যেই আমরা ইমেইলের মাধ্যমে সিলেকশনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
মেঘ আরও জানান, বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা এইবার অংশগ্রহণ করবে, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় উৎসবের পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আমাদের উৎসবে জমা পড়েছে, আমরা সে সব চলচ্চিত্র সেন্সর করে বাংলাদেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। এই অধিবেশনের আয়োজনটা বড়, এর আগে এশিয়া মহাদেশের কোন চলচ্চিত্র উৎসবে হাজার চলচ্চিত্র সিলেকশন হয়নি। আমরা এই রেকর্ড গড়তে চাই। তাই সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১২১টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো। সিআইএফএফ অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ায় অনুষ্ঠিত উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্র উৎসবের রেকর্ড গড়ে এবং বাংলাদেশে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাবপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করায় ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই উৎসবের মাধ্যমে শতাধিক দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের কাছে পদ্মা সেতু তুলে ধরা হবে। এইবার উৎসবের থিম সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু।
উৎসব পরিচালক জানান, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এইবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পাশাপাশি, মাস্টারক্লাস, ওপেন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাস থেকে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে আট বিভাগে আটটি বিভাগীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নিয়ে স্পেশাল উৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে পরিচিত করতে এবং বিভিন্নি দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে থেকে নিয়মিতো এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে ঢাকা ফেস্টিভাল।
১ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ বিশ্বের ১২১ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো, উৎসর্গ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
পোকেমনে আর দেখা যাবে না অ্যাশ-পিকাচুর বন্ধুত্ব
হাসিমুখে চার পায়ে দৌড়ে হলুদ রঙের ছোট্ট এক প্রাণী এক বালকের কাঁধে উঠে বসল। বালকটি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই বলে উঠল ‘পিকা, পিকা…’। আশা করি এরপর আর বর্ণনা দিতে হবে না। কার্টুন যারা ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই বুঝে নিয়েছেন পিকাচুর কথা বলা হচ্ছে। আর বালকটি হচ্ছে অ্যাশ কেচাম। নব্বইয়ের দশকের শিশুদের টেলিভিশন পর্দায় নিত্য সঙ্গী পোকেমন-এর মুখ্য দুই চরিত্র।
শুধু যে শিশুদের তা কিন্তু নয়, বড়রাও যারা অ্যানিমে পছন্দ করেন তারা দিব্বি দেখে চলেছেন পোকেমন। চলেছেন এ কারণে যে, এই কার্টুন সিরিজ বা অ্যানিমে সিরিজ এখনও চলছে। আরও অনেকদিন চলবে। তবে দুঃখ করেই বলতে হয় পোকেমনের প্রযোজকরা ঘোষণা দিয়েছেন যে অ্যাশ ও পিকাচুকে দেখা যাবে না নতুন পর্বগুলোতে। তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সিরিজটিকে নতুন আঙ্গিকে আনা হবে এবং সেখানে থাকবে না অ্যাশ-পিকাচু জুটি।
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকায় ৫ খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ডায়াবেটিস
২০০৬ সাল থেকে কেচামসহ বেশ কয়েকটি চরিত্রের ইংরেজি কণ্ঠ দেয়া অভিনেত্রী সারাহ নাটোচেনি বলেন, আমার জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ ছিল। শেষ অধ্যায়ে যাই থাকুক না কেন, অন্তত কয়েক প্রজন্ম ধরে বহু মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে অ্যাশ-পিকাচু।
জাপানি এই অ্যানিমে শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। যার কয়েকটি সিনেমাও রয়েছে। অ্যাশের স্বপ্ন সে হবে পোকেমন মাস্টার। পোকেমন মাস্টারদের কাজ হচ্ছে পিকাচুর মতো পোকেমন সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের দিয়ে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য মাস্টারদের পোকেমনের সঙ্গে লড়াই করা। ঠিকভাবেই বিশ্বজুড়ে পোকেমনের সেরা মাস্টার হওয়া যায়। সে লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার সময় মাত্র ১০ম জন্মদিনে তার দেখা হয় পিকাচুর সঙ্গে।
অ্যাশের স্বপ্ন গতমাসে পূরণ হয়েছে। ‘পোকেমন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর খেতাব তার দখলে চলে এসেছে।
আগামী বছরে অ্যানিমেটিতে প্রধান নতুন দুই চরিত্র দেখা যাবে। লিকো নামের ছোট্ট এক মেয়ে এবং রয় নামের এক ছেলে। সঙ্গে থাকবে তিনটি ‘পালডে স্টার্টার পোকেমন’।
প্রযোজকরা বলেছেন, ‘এতে অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, বন্ধুত্ব ও পোকেমন, অ্যানিমে অনুরাগীদের ভালবাসার সবকিছুই উপস্থাপন থাকবে।’
তার আগে, ১৩ জানুয়ারিতে দেখা যাবে ‘পোকেমন জার্নি ইন দ্য ওয়েস্ট’ শিরোনামে ১৩ পর্বের উপসংহার সিরিজ। যেখানে বলা হবে অ্যাশ ও পিকাচুর চূড়ান্ত অধ্যায়ের গল্প।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
লিওনেল মেসি: দরিদ্রতা, রোগ আর প্রতিকূলতা জয় করে আজ মহানায়ক
১৩ বছর বয়সী মেসি একটা ইউজ ন্যাপকিনে বার্সেলোনার সঙ্গে তার প্রথম কন্ট্রাক্ট সাইন করেন। কারণ তিনি এতটাই উৎসাহিত ছিলেন যে তিনি চেয়েছিলেন ডিনারটা শেষ হওয়ার আগেই যেন তাকে সাইন করিয়ে নেয়া হয়। যে কারণে স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লস রেসজ্যাগ তখনই সেস্টুর্যান্ট এর ওয়েটারকে ডাক দেন।
তার কাছ থেকে একটা ন্যাপকিন নিয়ে তাতে একটা কন্ট্রাক্ট লিখে ফেলেন। যে ন্যাপকিনটা এখন মেসির উকিলের অফিসে ঝোলানো রয়েছে। যেটাকে বর্তমানে মোস্ট সেলিব্রেটেড পেপার ন্যাপকিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ইতিহাস রচনার সূচনাটা হয়েছিল টিস্যু পেপারে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। কে জানত, ওই টিস্যু পেপারের মাধ্যমে হওয়া এক চুক্তি একদিন ফুটবল ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে।
ভিনগ্রহের প্লেয়ার বা রেকর্ড এর বরপুত্র যে নামেই ডাকুন না কেন, বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বিধ্বংসী ও ট্যালেন্টেড ফুটবলার – লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ত্রিশ বছর বয়সেই মেসি যে পরিমাণ এবং যে মাপের রেকর্ড এর মালিক তা কেবল ভিনগ্রহের কারও পক্ষেই সম্ভব।
নিজের শেষ বিশ্বকাপে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে শুরুতেই বড় হোঁচট। সৌদি আরবের বিপক্ষে অঘটনের হারের পর গ্রুপপর্বেই বিদায়ের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক বাঁচা-মরার লড়াই পেরিয়ে, এখন সোনালি ট্রফিটা থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে মেসির আর্জেন্টিনা।
আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই হয়তো এটা জানেন যে মাত্র ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি রোগ ধরা পড়ে। লোকাল পাওয়ার হাউস, রিভার প্লেট তার প্রগ্রেস এর প্রতি ইন্টারেস্টেড ছিল। কিন্তু তারা তার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে জরুরি ৯০০ ডলার খরচ করতে রাজি ছিল না। কার্লস রেসজ্যাগ যিনি সেই সময় এফ সি বার্সেলোনার স্পোটিং ডিরেক্টর ছিলেন। সৌভাগ্যবশত মেসির ট্যালেন্ট সম্পর্কে তিনি অবগত হন। কারণ ওয়েস্টার্ন ক্যাটালোনিয়া লিডাতে তার কয়েকজন আত্মীয় ছিলেন। যার ফলে মেসি ওতার বাবা এফ সি বার্সেলোনা টিমের সঙ্গে একটা ট্রায়াল অ্যারেঞ্জ করতে সফল হন।
আরও পড়ুন: মেসি-আলভারেজ জাদুতে ৩-০ গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এক সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, “টাকা আমার কাছে কোনদিনই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল না। টাকা আমাকে কোনদিনই অনুপ্রেরণা যোগায় না। আমাকে আরও ভালো খেলতে কোনোভাবেই উৎসাহিত করে না। আমি শুধুমাত্র আমার পায়ে একটা ফুটবল থাকলেই খুশি। আমার অনুপ্রেরণা আসে খেলাটা থেকে, যে খেলাটাকে আমি এতটা ভালবাসি। যদি আমি একজন প্রফেশনাল ফুটবলার নাও হতাম, তাও আমি কোন কিছু ছাড়াই সারা জীবন ফুটবল খেলে যেতাম।”
মেসি অন্যান্য গ্রেট ফুটবলারদের মত অতটা লম্বাও নন, অতটা স্বাস্থ্যও ভালো না। কিন্তু তবুও লিও মেসি সারাবিশ্বের সামনে একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে গিয়ে এসেছেন। প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য শরীরই না সেটা ছাড়াও যেটা অনেক বেশি জরুরি তা হল অদম্য মানসিক শক্তি।
মেসিকে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছিল যখন মেসি আর্জেন্টিনা ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে একটা নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মেসি যা কিছু করেছিলেন শুধুমাত্র ফুটবলের জন্য। মেসির স্বপ্নকে পূরণ করতে।
এই কারণেই আমি অত বেশি পার্টি বা অন্যান্য মজার জিনিস গুলো করে বেড়াই না। এখনো পর্যন্ত তার সব থেকে বেশি আবেগপ্রবণ সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার সেই ছোট তারকাটি বলেছিলেন, যে ঠিক কতটা কষ্ট সহ্য করেও তিনি তার পরিবারকে ছেড়ে, সমস্ত বন্ধুদেরকে ছেড়ে, সমস্ত ইনভাইটেশনকে না করে সে বিদেশ চলে এসেছিল একটা নতুন জীবন শুরু করতে।
এত ছোট বয়সেও তিনি এত বড় একটা ডিসিশন নিয়েছিল। কারণ একদম ছোটবেলা থেকেই তার লক্ষ্য সম্পূর্ণ পরিষ্কার ছিল। সে সব দিনই চেয়েছিল একজন মহান ফুটবলার হতে। আর অন্য কোনো কিছুই তার কাছে তার জীবনে কোনদিনই এর থেকে বেশি মূল্যবান ছিল না।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি: দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার হয়ে উঠার সচিত্র গল্প
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড মেসির দখলে
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করার মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপে ১১ গোল হলো লিওনেল মেসির। এর মাধ্যমে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন তিনি। বিশ্বকাপে বাতিস্তুতার গোল ১০টি।
তাছাড়া ফুটবল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (২৫টি) খেলার রেকর্ডেও জার্মানির লোথার ম্যাথিউসের পাশে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার মধ্য দিয়ে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসাকে। ক্লোসা বিশ্বকাপে খেলেছেন ২৪ ম্যাচ।
সাত ব্যালন ডি’অর জয়
লিওনেল মেসি তার ক্যারিয়ারে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সাতবার। ব্যালন ডি’অর জেতার দিক থেকে মেসির চেয়ে এগিয়ে আর কেউ নেই।
সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন শু জয়ী
ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বর্ষসেরা হওয়ার কীর্তি মেসির। এক মৌসুমে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও তার। ক্যারিয়ারে ছয়বার তিনি জিতেছেন এ ট্রফি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯–এই তিন বছর টানা তিনটি গোল্ডেন শু জিতেছিলেন তিনি।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল
শেষ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মেসি খেলে যাচ্ছেন সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে। তবে ২০১২ সালটাকে মেসির জন্য আলাদা করে রাখতেই হবে। সে বছর মেসির গোলের বাঁধ যেন ভেঙেই গিয়েছিল।
এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল
লিওনেল মেসি গত বছর বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। তবে তার আগে মেসি ১৭ বছর বার্সেলোনার হয়ে যা করেছেন, তা হয়তো কেউ আর করে দেখাতে পারবে না। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি করেছেন ৬৭২ গোল। এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তার ধারেকাছে কেউ নেই।
আমরা তাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছি। খবরের কাগজের হেডলাইনে তাকে অবিশ্বাস্য, অতুলনীয়, অদ্বিতীয়, আশ্চর্য থেকে শুরু করে মেসি হলেন ফুটবলের ভগবান। এই অব্দিও বলা হয়েছে। এক্স বাসেলোনা কোচ পেপ গোর্ডেলিও একবার বলেছিলেন, “তার ব্যাপারে কিছু লিখে লাভ নেই। তাকে বর্ণনা করার চেষ্টা করাও বৃথা। শুধু তার খেলাটা দেখুন। আর উপভোগ করুন।”
আরও পড়ুন: বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মেক্সিকোর মুখোমুখি মেসির আর্জেন্টিনা
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি এবং রোমানিয়ার ১০৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশন এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সোমবার রাতে রাজধানীতে বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ার-এর প্রধান সম্পাদক এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের বারিধারার বাসভবনের গার্ডেন গ্যালারিতে বিশেষ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এনায়েতউল্লাহ খান এবং ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনের আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে রোমানিয়ার শিল্পী-ভাস্কর আলেকজান্দ্রু পোটেকা পরিদর্শন করা সাতটি অনন্য শিল্পকর্ম এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার দশটি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগ দেন।
ইভেন্টটি সম্পর্কে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। রোমানিয়ার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছি। শিল্পীরা একটি মহান জাতি, চিত্রশিল্পীরাও একটি মহান জাতি এবং এটি আমাদের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ বৃটেন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
টেকসই পুনর্মিলন, নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসন শাসন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং জনসাধারণকে বোঝানোর জন্য ‘প্রত্যাশা: অভিবাসীদের জন্য আশা’ শীর্ষক একটি ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) ।
নিরাপদ অভিবাসন, টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ, এবং অভিবাসন শাসনের বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সচেতন করার জন্য গল্প বলা একটি কার্যকর হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
এই প্রদর্শনীটি অভিবাসন-সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্পকে একত্রিত করবে যা আমাদের জটিল অভিজ্ঞতা বুঝতে এবং বাংলাদেশে অভিবাসনের কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জকে প্রাসঙ্গিক করতে সাহায্য করবে।
সোমবার আইওএম বলেছে, এটি অভিবাসন এবং এর জটিলতাগুলো বুঝতেও সাহায্য করবে।
এছাড়াও, গল্পগুলো প্রত্যাশা প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের নিরাপদ অভিবাসন এবং টেকসই পুনঃএকত্রিতকরণের কাজের প্রভাব এবং ফলাফল উপস্থাপন করবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ছবির প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও, ইভেন্ট চলাকালীন পট গান, গানের পরিবেশনা, শর্ট ফিল্ম এবং কুইজ সমন্বিত একটি ইনফোটেইনমেন্ট শো অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ: সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স (প্রোতাশা) প্রকল্পের আওতায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আইএমও ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় এবং ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
টাকা কীভাবে এলো? মানব সভ্যতায় টাকার ইতিহাস
৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সমাজ, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্ম ও ৯০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে পদক বিতরণ করেন শেখ হাসিনা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ বিতরণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৫ বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক-২০২২
নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য ফরিদপুরের রহিমা খাতুন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য চট্টগ্রামের অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য খুলনার ফরিদা ইয়াসমিন, নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীদের আলোকিতকরণে অবদানের জন্য নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন এবং গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের জন্য ঝিনাইদহের নাসিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপকদের পক্ষ থেকে ড. আফরোজা তার অনুভূতির কথা জানান।
প্রাপকদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক এবং একটি প্রশংসাপত্র দেয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
বেগম রোকেয়া পদক ২০১৮ পেলেন পাঁচ নারী
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক আর্ট বিয়েনাল ইভেন্ট ‘এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল’-এর ১৯তম আসরের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে (বিএসএ)আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
আজ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এ ১৪৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীসহ ১১৪টি দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর তৈরি ৬৪৯টি শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান আর্ট ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের সৃষ্ট দ্বি-মাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম; যেমন- পেইন্টিং, প্রিন্ট, ফটোগ্রাফ, ভাস্কর্য, পারফরম্যান্স আর্ট এবং ইনস্টলেশন ও নিউমিডিয়া আর্ট প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
১৯তম এই সংস্করণে দেশি ও বিদেশি শিল্পী, শিল্প সমালোচক, জুরি ও পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে 'হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট'- শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সেমিনার রয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার জাতীয় আর্ট গ্যালারি মিলনায়তন এবং বিএসএ-এর জাতীয় নাট্য ভবনের সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসএ-তে প্রধান প্রদর্শনী ছাড়াও, জাতীয় জাদুঘর শিল্প অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তার সংগ্রহ থেকে বাংলাদেশি শিল্পীদের ৪২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবে।
এই ১৯ তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২ দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের আয়োজন করে আসছে।
এবারে ছয়জন শিল্পীকে সম্মানসূচক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
জুরি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সদস্য ও বিশিষ্ট পোলিশ শিল্প সমালোচক জারোস্লো সুচান, বিএসএ মহাপরিচালক এবং ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এর প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
চায়ের আদি নিবাস চীন। হাজার হাজার বছর ধরে, চা চীনা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ এবং চীনের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে চা সংস্কৃতি তাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭) সময় চীন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। অষ্টম শতাব্দীতে ট্যাং পণ্ডিত লু ইউ’র লেখা ‘দ্য ক্লাসিক অব টি’ চীনের প্রথম গ্রন্থ, যেখানে চা এবং এর সম্পর্কিত জ্ঞান ও গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
উত্তর-পশ্চিম চীনের শানসি প্রদেশের ফামেন মন্দির একসময় তাং রাজবংশের রাজকীয় মন্দির ছিল। ১৯৮৭ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মন্দিরের ভূগর্ভস্থ প্রাসাদ থেকে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম এবং সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং ট্যাং ইম্পেরিয়াল চা সেটটি আবিষ্কার করেন।
ফ্যামেন টেম্পল মিউজিয়ামের গবেষক জিয়াং জি বলেন, ‘এখানে পাওয়া চায়ের সেটটি চীনা চা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য।’
জিয়াং বলেন,‘রাজ পরিবারও বলিদান ও টোস্টিং এর জন্য চা ব্যবহার করতে শুরু করে এবং তাং রাজবংশে চা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।’
গানের রাজবংশে (৯৬০-১২৭৯) চা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে যখন বিশেষ চা-টেস্টিং ক্লাবগুলো প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে চা প্রতিযোগিতার ফ্যাশন আসে।
ইতিহাস জুড়ে, সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম এবং অন্যান্য উপায়ে চা চীনা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোন্টা ক্লাবের ১৬ দিনের প্রচারণা শুরু
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত পরিষেবা সংস্থা জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তার ‘১৬ দিনের প্রচারণা’ কর্মসূচি শুরু করেছে।
২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রচারাভিযানটি ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত চলবে। সমাজে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল এবং নারীর অধিকারের অগ্রগতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি আয়োজন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ছয়টি জোন্টা ক্লাব শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে প্রচারণা কর্মসূচির সূচনা করার জন্য একটি র্যালির আয়োজন করে, যেখানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের ঐক্য উদযাপনের জন্য বিশিষ্ট জোন্টায়ানরা যোগ দিয়েছিলেন।
বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রবেশের সময় বিদেশফেরত কর্মীদের পুনরায় এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ত্যাগের আগে যেভাবে এইডস পরীক্ষা করে এইচআইভি নেগেটিভ হলে তারপর বিদেশে যেতে হয়, একইভাবে দেশে প্রবেশের সময়ও তাদেরকে পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। এতে করে আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া যেমন সহজ হবে, অন্যদিকে, তাদের পরিবারের অন্যান্য নিরাপদ সদস্যরাও এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাবেন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৪ হাজার জন এইডস রোগী আছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জনকে শনাক্ত করা গেছে। যারা নিয়মিত সরকারি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই এইডস রোগীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এইডস আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তারা তাদের পরিবারের কাছের সদস্যদের আক্রান্ত করছেন। দেশে ফেরার সময় নিজেরাও জানতে পারেনি যে, তারা এইডস আক্রান্ত হয়ে এসেছেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় দেশে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া প্রসঙ্গে জানান, ‘বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসা নিলে এইডস রোগীরা আরও বেশিদিন সুস্থ থাকতে পারে। তবে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে এইডস হলে তারা গোপন রাখে এবং সেকথা কাউকে প্রকাশ না করে অন্যদেরকেও আক্রান্ত করে ফেলে। এতে করে দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
আরও পড়ুন:আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম এইডস রোগী ধরা পড়ে ১৯৮৯ সালে। দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মাত্র ০ দশমিক ০১ ভাগ এবং পতিতাবৃত্তি কাজের সঙ্গে জড়িতদের ৪ দশমিক ১ ভাগ এইডসে আক্রান্ত রয়েছে। অধিকাংশ সংখ্যক এইডস রোগীই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো থেকে দেশে প্রবেশ করে থাকে। ২০২২ সালের তথ্যানুযায়ী, এইডস রোগে নতুন ৯৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ২৩২ জন মারা গেছে।
তথ্যমতে, ১৯৮৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৯৭০৮ জন আক্রান্ত ও ১৮২০ জন মারা গেছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন অনুবিভাগ) ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রাজেন্দ্র পোখড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, লাইন ডাইরেক্টর ডা. খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী