নিহত বাবুল মিয়া (২৭) বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার টেকনিমুন্সীপাড়া গ্রামের বাবর আলী মুন্সীর ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, তিনি পোশাক শ্রমিক মেহেদী হাসান টিপু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এছাড়া বাবুল মিয়া একটি সংঘবদ্ধ চক্রের নেতা ছিল।
এদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র কথা বলা হলেও ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, কয়েকদিন আগে আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকার পোশাক শ্রমিক মেহেদী হাসান টিপুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ সাত টুকরা করে ফ্রিজে ভরে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহত পোশাক শ্রমিকের স্ত্রী শম্পা বেগম বাবুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই হত্যা মামলার আসামি ইয়ারপুর এলাকার মুন্না মিয়ার বাঁশবাগানে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বাবুল মিয়া গুরুতর আহত হয়।
‘তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন,’ বলেন ওসি।