বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে কারিগরি সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
বুধবার(২০ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অর্থনৈতিক, কারিগরি এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে একত্রে কাজ করছি। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমরা কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চাই। এই খাতে দক্ষ টেকনিক্যাল জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। সরকার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ত্বরান্বিত করতে আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের 'মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার' হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: সৈয়দপুর বিমানবন্দর হচ্ছে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব: পর্যটনমন্ত্রী
এছাড়াও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কেও জানতে চান তিনি।
বৈঠকে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ এবং উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ার প্রস্তাব আনন্দের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আলোচনা সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা ব্যবস্থার ফলে ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিশেষ পর্যটন অঞ্চল নির্মাণ, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে নিয়ে পর্যটন সার্কিট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এবছরই এই মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা থেকে আসা সাইক্লিস্টদের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রীর সাক্ষাৎ