পুলিশের ভাষ্য, কক্সবাজারে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন এবং বান্দরবানে দুদল ডাকাত দলের মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ তিনজন মারা যায়।
কক্সবাজারে নিহত মোহাম্মদ করিম প্রকাশ ওরফে মাহমুদ করিমকে (৩২) সন্ত্রাসী ও ইমরান হোসেন প্রকাশকে (পুতুইয়া মিস্ত্রী) (৪০) ইয়াবা চোরাকারবারী এবং বান্দরবানে নিহত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইয়া (২৭),পারভেজ হোসেন বাপ্পি (২৩) ও আবদুল হামিদকে (২৩) ডাকাত দলের সদস্য দাবি করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের ভাষ্য, রবিবার ভোরে উপজেলার শাপলার দিবা এলাকায় পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে করিমের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়ার ভাষ্য, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন দরগারছড়া এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে ইমরান হোসেন প্রকাশের (পুতুইয়া মিস্ত্রী) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানায়, নিহত পুতুইয়া মিস্ত্রী হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার আজিজুল হকের পুত্র। সে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারী।
ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র, গুলি ও ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার কথা জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
অপরদিকে বান্দরবান সদরের বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, রবিবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাইশারী নারিসবুনিয়া পিএইচপি ১১ নম্বর বাগান থেকে বাইশারী চাইঙ্গা বাজার এলাকার আবদুস সোবাহানের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইয়া, রামুর ঈদগড় কোদালিয়া কাটার সৈয়দ হোসেনের ছেলে পারভেজ হোসেন বাপ্পি ও গর্জনিয়া বড়বিল এলাকার আবদুল হামিদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
দুই ডাকাত দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা তিনজনই চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।