টেকনাফে নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের কোতোয়ালী এলাকার মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে আশিক জাহাঙ্গীর কুদরত (৩২) ও মুন্সিগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩০)।
আর কুতুবদিয়ায় নিহত দিদারুল ইসলাম (৩২) উত্তর আমজাখালীর মৃত ইউসুফ নবীর ছেলে।
টেকনাফে নিহতদের মাদক ব্যবসায়ী আর কুতুবদিয়ায় নিহতকে জলদস্যু বলছে র্যাব।
র্যাবের টেকনাফ কার্যালয়ের লেফটেন্যান্ট মির্জা সাহেদ বলেন, ভোরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ঘটনাস্থল এলাকায় চেকপোষ্টের সামনে কক্সবাজারগামী একটি ট্রাককে সিগন্যাল দিলে ট্রাক থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
‘পরে ট্রাকটির নিচ থেকে দুটি মরদেহ, একলাখ পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়’ বলেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তার ভাষ্য, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় মাদক কারবারীদের আরো দুই-তিনজন পালিয়ে যায়।
র্যাবের এই কর্মকর্তার ধারণা, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় তাদের গুলিতেই এই দুইজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাব-৭ কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসানের ভাষ্য, কুতুবদিয়ার সাগর উপকুলে ডাকাতির জন্য জলদস্যুরা প্রস্তুতি নেয়ার খবরে ভোরে র্যাব অভিযান চালায়। এসময় তারা র্যাবকে গুলি ছোড়লে আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে জলদস্যু সর্দার দিদারুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করার কথা জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহত দিদারুল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত জলদস্যু।