কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত সংঘর্ষের ২৪তম বর্ষপূর্তি দিবস পালিত হয়েছে। প্রতিবছর এ দিনটি ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বড়াইবাড়ী গ্রামে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ,আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোনা সভায় বক্তব্য দেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন,রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, রৌমারী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, চর শৌলমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডলসহ শহীদ পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
আলোচনা সভায় বড়াইবাড়ী দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায় ও নির্বিচারে জ্বালিয় দেয় বাড়ি-ঘর। ওই দিন হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) এবং স্থানীয় জনতা। যৌথ সেই প্রতিরোধে বিএসএফ'র ১৬ জওয়ান নিহত হয়। ওই ঘটনায় শহীদ হয়েছিলেন বিডিআর এর ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফলস ব্যাটালিয়নের সিপাহী আব্দুল কাদের।
আহত হন হাবিলদার আব্দুল গনি, নায়েক নজরুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আবু বক্কর সিদ্দিক, সিপাহী হাবিবুর রহমান ও সিপাহী এসএম জাহিদুনবী। এছাড়াও বিএসএফর তাণ্ডবে ওই ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯টি বাড়ি। এতে সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ টাকা।