দৌলতপুর উপজেলায় নিহত ব্যক্তির নাম মদন (৪৫) বলে জানালেও কুষ্টিয়া সদরের নিহত ব্যক্তির নাম জানাতে পারেনি। তবে দুজনকেই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি পুলিশের।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এই পৃথক দু’টি ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিনের ভাষ্য, রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দুইদল মাদক ব্যবসায়ী ‘গোলাগুলি করছে’ এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়ে ওসি আরও বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দু’দল ‘মাদক ব্যবসায়ী’র মধ্যে বন্দুযুদ্ধের’ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষাণা করেন। নিহত মদন (৪৫) সীমান্ত সংলগ্ন জামাল গ্রামের রিফাজ উদ্দিনে ছেলে।
ওসি বলেন, জামাল দৌলতপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি, ৯০০ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করার কথা জানান তিনি।