নিহত শামসুল (৩৯) ওরফে বার্মাইয়া শামসু টেকনাফের হ্নীলার সিকদারপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত শামসুল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় ৬৭৮ নম্বরে শমসুলের নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১০টি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, শামসুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হ্নীলা দমদমিয়া চেকপোস্টের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়েই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শামসুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
‘একপর্যায়ে মাদকবিক্রেতারা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ২০ হাজার ইয়াবা এবং ১২ রাউন্ড গুলিসহ মাদকবিক্রেতা শামসুলের মরদেহ উদ্ধার করে’, বলে তিনি।
ওসি জানান, নিহত শামসুলের তিনটি ট্রাক, তিনটি বাস, ঢাকার গুলশানে ১০তলা ভবন রয়েছে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের তিন সদস্য আহত হবার কথাও জানান তিনি।