ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ-২০২৪।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা ক্লাবে আসামের ব্যতিক্রম মাসদো-র উদ্যোগে এই কনক্লেভ আয়োজিত হয়।
এতে অংশ নেন ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতাল, রাজধানী গ্রুপ, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ, ইউজেডইউ হেলথ, আইএলএস হসপিটালস, ইন্টেগ্রা ভেঞ্চারস, ইনস্টিটিউট অব ইউরোলোজি, ডেন্টাল পেশেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লান্ট সেন্টার, দ্য ইলিউমিস ক্লিনিক এবং সিকে বিড়লা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা।
দিনব্যাপী কনক্লেভে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের শতাধিক বিশেষজ্ঞ এবং ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে সর্বমোট ৪টি সেশন আয়োজিত হয়।
এসব সেশনে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত বৈষম্য কমিয়ে আনা, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের বিশেষজ্ঞদের দক্ষতার বৃদ্ধি স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এসবের মাধ্যমে দুদেশের জনগণের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
কনক্লেভে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
স্বাস্থ্যখাতে অধিকতর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সহযোগিতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি বছর বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশি দেশে চিকিৎসায় প্রায় আট থেকে দশ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে দেশের মানুষের জন্য দেশেই উন্নততর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা গেলে তাতে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন একাত্তরের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সার্বিক কল্যাণে স্বাস্থ্যখাতে একই রকম সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ ক্ষেত্রে এই কনক্লেভটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনক্লেভটির কো-অর্ডিনেটর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
তিনি ভারতের সেভেন সিস্টারসের রোগীদের সহজে এবং সুলভে উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তির স্বার্থে বাংলাদেশের আসায় উৎসাহিত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া গেলে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলবে বলে মনে করেন তিনি।
ডা. মামুন বলেন, ভারতের নর্থইস্টের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভারতের অন্যান্য অংশের চেয়ে এখন অনেক বেশি সহজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অন্যান্য সব সেক্টরের মতো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতেও এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। এই কনক্লেভটি সহযোগিতার এই নতুন ক্ষেত্রটিকে উন্মোচন করবে।
ব্যতিক্রম মাসদো-র সভাপতি আসামের বিশিষ্ট বুদ্বিজীবী ড. সৌমেন ভারতীয়র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন আসামের বিশিষ্ট সাহিত্যিক মিসেস রীতা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের পালমোনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন, গৌহাটি, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলাদেশের একুশে টিভি ও রাজ টিভি এবং ভারতের প্রাগ নিউজ, দৈনিক জন্মভূমি এবং মার্কস পাবলিক রিলেশনস।