নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হলো বর্তমান সংবিধানের ভিত্তি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মহান মুক্তিযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত করে।
স্বাধীনতা ঘোষাণাপত্রের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সৃষ্টিতত্ত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল। সেই অনাড়ম্বর আন্তরিক ভালোবাসাপূর্ণ শান্ত সুনিবিড় পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি বহু নামকরা সাংবাদিক। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ। সনাতন ধর্মালম্বী একজনের বাড়ি থেকে আনা হারমোনিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ভবেরপাড়ার ছেলেরাই। গার্ড অব অনার প্রদান করেন স্থানীয় আনসার ও পুলিশের সদস্যরা। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: নারী ও পুরুষ সভ্যতার দুই হাত: সিমিন হোসেন
তিনি বলেন, সেসময় সকল ধর্মের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে করা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। তিনি তখনও পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী ছিলেন। তাই উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তাজউদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং হাজারো জনতার সামনে বক্তব্য দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করেছেন ‘মুজিবনগর’।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক এসপি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মেলনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।
সভা সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি নাট্যজন আসিফ মুনীর।
আরও পড়ুন: নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন