সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা বিদেশে কর্মহীন বাংলাদেশি প্রবাসীদের পরিবারগুলোকে একইভাবে ঋণ ও অনুদান দেয়ার জন্য তহবিল গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’
গবেষণা ও তৃণমূলের কাজে নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রামরু সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময়ে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রদান করে।
বিদেশি মিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকী বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ অভিবাসীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে, যেসব দেশ এখনও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ফ্রি কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং চিকিৎসা দিচ্ছে না সেসব দেশে অবিলম্বে এ জাতীয় সুবিধা দেয়া উচিত বলে যোগ করেন তিনি।
রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন, ওইসব দেশগুলোকে বোঝাতে হবে যে এ ধরনের সংকটের সময় তাদের নাগরিক এবং অভিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য করলে বাস্তবে দেশগুলোর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো তাদের সীমিত সুযোগের মধ্যে অভিবাসীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দূতাবাসগুলো অভিবাসীদের দুর্দশার বিষয়টি সরকারকে অবহিত করেছে এবং তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারি তহবিল থেকে তাত্ক্ষণিক বরাদ্দের দাবি জানায় রামরু।
অনেক অভিবাসী শ্রমিকই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কীভাবে তারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন সে বিষয়ে বাংলাদেশি মিশনগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের অবহিত করতে পারে, বলেন তিনি।