বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন।
আসামি জিয়া উদ্দিনের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর দুই পরিবারের ২০ থেকে ৩০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কাজী আবদুর রহিম জিয়া ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার উত্তর চরদরবেশ গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে জহিরুল ইসলাম জিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে উভয়ের সম্মতিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ২৭ মে মেয়েটির পরিবার থানায় জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ জিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জিয়া। জামিন আবেদনের শুনানি করে গত ১ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ আদেশ দেন, জিয়া ওই মেয়েকে বিয়ে করলে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে যেহেতু তাদের মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল।
আদালত আদেশে উল্লেখ করে, উভয়পক্ষ সম্মত থাকলে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে।
ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করিম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার পর বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক ১৯ নভেম্বর কনেসহ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়।