নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্তসহ জড়িত সন্দেহে মোট সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, গোলবুনিয়া এলাকার পনু কাজীর ছেলে নোমান কাজী (১৮) ও লিটনের ছেলে নয়নের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে হৃদয় ও তার বন্ধু বান্ধবদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই দল মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হৃদয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১নং আসামি নোমান (১৮), ২নং আসামি নয়ন (১৭) এবং এজাহারভুক্ত ৬ জন ও জড়িত সন্দেহে একজনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার ঈদের দিন বিকালে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে ঘুরতে গেলে নোমান ও নয়নের সাথে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলার শিকার হয় হৃদয়।
সে বরগুনা পৌর শহরের চরকলোনী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে এবং বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনালে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।