বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের আরও কার্যকরভাবে সার ও পানি ব্যবহার করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (আইএফডিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও হেঙ্ক ভ্যান ডুইজন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটি (সিএসএ) উদ্বোধনকালে এ পরামর্শ দেন।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় এবছর থেকে শুরু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদী সিএসএ প্রকল্পের জন্য ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে সাড়ে ৩ কোটি ডলারের একটি তহবিল প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ
ডুইজন বলেছেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির পুষ্টির ক্ষয় এবং লবণাক্ততা প্রধান সমস্যা। যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেশি, কৃষকরা সরকারি ভর্তুকি সত্ত্বেও এটি পেতে লড়াই করছে।’
চাষ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘সুতরাং, আমরা আরও প্রযুক্তির সন্ধান করছি যেখানে সার ব্রিকেট মাটির গভীরে প্রয়োগ করা হয়, যা গাছের শিকড়ের কাছাকাছি। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে সারের কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।’
আরও পড়ুন: ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
প্রকল্পটি, যা জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন এবং উন্নততর বীজের জাতসহ, আনুমানিক ৯ লাখ ক্ষুদ্র কৃষককে সহায়তা করবে।
ডুইজন বলেন, লবণাক্ত সহনশীল সবজিসহ ইতোমধ্যে উদ্ভাবন রয়েছে, যা মাটি থেকে লবণাক্ততা শোষণ করতে পারে এবং অন্যান্য ফসল ফলাতে সাহায্য করতে পারে। এই ধরনের সবজি পরিচয় করিয়ে দেওয়া খুব সহায়ক হতে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, প্রায়ই শ্রমিকের উচ্চ মজুরী খরচ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে ফসল কাটা ও রোপণের মৌসুমে। সুতরাং, খামারের যন্ত্রপাতি প্রসার করা খুব দরকারী হতে পারে।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রামের পরিচালক ডক্টর মুহাম্মদ খান এবং বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ডক্টর শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা