চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী পরিবেশ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেছে।
এক সেমিনারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে চালিত করে এমন একটি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার সক্ষমতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
এই মহৎ দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এ রূপান্তরের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, 'এই অটল অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত, যা জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে 'আইপিআর প্রোটেকশন অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস: ড্রাইভিং ইকোনমিক গ্রোথ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)।
প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন আইপি আইনজীবী ও বাংলাদেশ আইপি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার হামিদুল মিছবাহ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এনবিআরের কাস্টমস, অডিট, আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সদস্য হোসেন আহমেদ, পেটেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস বিভাগের (ডিপিডিটি) মহাপরিচালক মুনিম হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস (ইউএসপিটিও) এবং দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র লিগ্যাল আইপি কাউন্সেল শিল্পী ঝা।
সেমিনারে চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সভাপতি, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নেতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যামচেমের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
জাকিয়া বলেন, এনবিআর, বিচার বিভাগ, পুলিশ, আইপি অফিসসহ মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় সম্পৃক্ততা আইপি প্রয়োগকে বাড়ানোর উপর জোর দেয়।
তিনি বলেন, ‘ডব্লিউআইপিও বা ডব্লিউটিওর মতো সংস্থার সহায়তায় প্রভাব মূল্যায়ন করা ট্রিপস অব্যাহতি হারানোর প্রভাবগুলোর বাস্তবসম্মত মূল্যায়নের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
অ্যামচেম সভাপতি বলেন, চ্যালেঞ্জ অনিবার্য, তবে বাংলাদেশে একটি কার্যকর ও আরও শক্তিশালী আইপিআর ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব অংশীজনদের অবশ্যই কাজ করতে হবে এবং একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই