গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দাবি, নিহত লালু মিয়া (৪৫) তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মাদকসহ ৭/৮টি মামলা রয়েছে।
এদিকে নিহত লালু মিয়ার পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে লালু মিয়ার আর বাড়ি ফিরিনি। তার নিখোঁজ বিষয়ে থানা ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামল আকন্দের ভাষ্য, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে, এমন খবরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
‘পরে তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ লালু মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন’, বলেন ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থল থেকে ১৫০ গ্রাম হেরোইন, ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে লালু মিয়ার মেয়ে সাথী আক্তার বলেন, গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বাবা আর ফিরে আসেননি। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা থানা এবং ডিবি অফিসে গিয়েও তার কোনো খোঁজ পায়নি।
তিনি বলেন, রবিবার সকালে জানতে পারি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবা মারা গেছেন।