আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য, রাজধানীতে র্যাব, কক্সবাজারে বিজিবি ও বেনাপোলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এ নিহতের ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় মেহেদি হাসান (৩২) নামে এক ব্যক্তির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের কথা জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের ভাষ্য, নিহত মেহেদি মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে ১৬/১৭টি মাদক মামলা রয়েছে।
র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, গোপন সূত্রের খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম বুধবার ভোর ৬টায় ঘটনাস্থলে গেলে মাদক কারবারীরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় র্যাব পাল্টা গুলি চালায়।
পরে মেহেদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ র্যাবের দুই সদস্যের আহত হবার কথা জানিযে র্যাব বলছে, ঘটনাস্থলে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ৫টি কার্টুজ ও ৩০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফের ৫নং সাবরঙ গেট এলাকায় বুধবার ভোরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নাগরিকের নিহতের কথা জানিয়েছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি।
নিহত জাফর আলম (২৬) টেকনাফের নয়াপাড়া মৌসুনি ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী দিল মোহাম্মদের ছেলে।
কক্সবাজার বিজিবি- ২ ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরীর ভাষ্য, মঙ্গলবার রাতে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার ভোর ৪টায় তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়ে।
পরে সেখান থেকে জাফরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়্।
অপরদেকে যশোরের শার্শার কুচেমোড়া এলাকায় বুধবার ভোরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তির নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির (৩৩) নাম-পরিচয় নিশ্চিত না করলেও পুলিশ বলছে সে মাদক ব্যবসায়ী। ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ ওই ব্যক্তি মারা যায়।
শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমানের ভাষ্য, যশোরের শার্শা উপজেলার কুচেমোড়া এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলেছে, এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও দেড় কেজি গাজা জব্দ করার কথা জানান ওসি।