সোমবার বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ অং কায়েও মোয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন, রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনও পরিচয়পত্র পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে ঢাকায় তাদের দায়িত্বপালনকালে দুদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিরাপদ ও মযার্দার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে এবং তারা যাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও বসবাস করতে পারে সে জন্য রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
দুদেশেরই অনেক সম্ভাবনা আছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং উভয় দেশকেই এ সুযোগ কাজ লাগাতে হবে।
অন্যদিকে, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে বলেন, এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে।
২০১৮ সালের ৪-৬ মার্চ বাংলাদেশে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াংয়ের সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার এ সফরের পর দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বাণিজ্য ২০১৮ সালের মধ্যেই এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং দুদেশের মধ্যে আরও নতুন নতুন ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খুঁজে বের করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত এ সম্পর্ককে আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০সহ বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো করবে।
ঢাকায় নিজেদের দায়িত্বপালনকালে উভয় রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে, পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দুদেশের রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনের এসে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে, বিকালে রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।