সমুদ্রদূষণ রোধ ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় বিশ্বের সব দেশকে এক ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যে কক্সবাজারে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে দুই দিনের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রকে ঘিরে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ ও সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। তবে সাম্প্রতিককালে সমুদ্রদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত অপচনশীল প্লাস্টিক সাগরের তলদেশে জমা হওয়ায় দূষণ আরও বাড়ছে। এজন্য শুধু কোনো একটি দেশ এগিয়ে আসলে সমাধান হবে না, বরং প্রতিটি দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুদিনের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
তারা বলেন, দূষণ রোধ ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় সব দেশ একই ছাতার নিচে থেকে কাজ করলে বিশাল সমুদ্রসম্পদ বাঁচানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ঘিরে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোও এর সুবিধা পাবে।
ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১২টি দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী