যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা মেটানোর সক্ষমতা নিয়ে সরকারের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন ভোটারদের প্রায় অর্ধেক। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি জরিপ অনুসারে, ৪৫ শতাংশ ভোটারের দাবি, সরকার তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৫১৬ জন সম্ভাব্য ভোটারের ওপর পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সরকার মূলত নিজের ও অভিজাতদের স্বার্থ রক্ষা করে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, দলীয় বিভাজন ও অমীমাংসিত সামাজিক সমস্যার কারণে এ ধরনের হতাশা প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাকে দুর্বল করেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ভোটার এর কারণ হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন। আর ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এর জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩০টি হত্যাকাণ্ডে ১৩১ প্রাণহানি
অবসরপ্রাপ্ত কৃষক র্যান্ডাল পার বলেন, শুধু ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান নয়, ওয়াশিংটনের অভিজাত শ্রেণি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর ফলে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করা হয়।
কিছু ভোটার জরুরি বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সারাহ ওয়াশিংটন নামের এক অস্থায়ী কর্মী বলেন, ‘সবসময়ই এখানকার স্কুলগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা এটা নিয়ে কথা ঠিকই বলে, কিন্তু তারপর ফের আরেকটি ঘটনা ঘটে।’
জরিপে দেখা গেছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকার সমস্যাগুলো এত গুরুতর যে এটি একটি জাতি হিসেবে ব্যর্থ হতে পারে। অন্যদিকে, ৫৮ শতাংশ বলেছেন যে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য সংস্কার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন।