চলুন, দক্ষিণ আটলান্টিকের ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট হেলেনা থেকে ঘুরে আসি। যেখানে কিছুদিন আগে পালন করা হয়েছে ১৯০ তম জন্মদিনের উৎসব। ১৯০ তম! চোখ কপালে উঠছে নিশ্চয়ই। না উঠার কারণ নেই। জোনাথন, বিশ্বের বয়োজ্যেষ্ঠ কচ্ছপ। দ্বীপটিতে দিব্বি বিচরণ করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছে আশ্চর্য এই সৃষ্টি।
বিশ্বাস করা হয়, জোনাথনের জন্ম হয় ১৮৩২ সালে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি। সেন্ট হেলেনার গভর্নর নাইজেল ফিলিপস কচ্ছপটির আনুষ্ঠানিক জন্ম তারিখ ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জোনাথনকে বলছে ‘ডিলাইটফুল ওল্ড জেন্টলম্যান’। আর হবেই বা না কেন! জর্জিয়ান যুগে ১৯ শতকের শুরুর দিকে জন্ম নেয়া কচ্ছপটি দেখেছে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, আরও দেখেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন। এই দীর্ঘ সময়ে ঘটা উল্লেখযোগ্য ঘটনার তালিকা করতে গেলে কয়েক খণ্ডের বিশাল বই লেখা যাবে।
শুধু তাই নয়, জোনাথনের রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তাকে বয়স্ক জীবিত ভূমিপ্রাণীর খেতাব দেয়া হয়েছে। তার অফিসিয়াল রেকর্ড শিরোনাম হচ্ছে ‘প্রাচীনতম চেলোনিয়ান’। চেলোনিয়ান বিভাগে সবধরনের কচ্ছপ, টেরাপিন (পানির কচ্ছপ) ও কাছিম অন্তর্ভুক্ত। তাহলে একবার ভাবুন, এই দীর্ঘ যাত্রায় জোনাথনের খ্যাতির পরিসর কত বড়!
১৯৪৭ সালের ২৯ এপ্রিল রাজা ষষ্ঠ জর্জ, রানি এলিজাবেথ ও রাজকুমারী এলিজাবেথ সেন্ট হেলেনায় জোনাথনের সঙ্গে দেখা করেন।
দ্বীপটিতে জোনাথনের দেখাশোনায় সাহায্য করে টিনি লুসি। তিনি বেশ আনন্দঘন পরিবেশেই কচ্ছপটির জন্মদিন পালন করেন। লুসি বলেন, ‘জোনাথন মানুষকে চিনতে পারে, সে আমাকে চেনে… কেউ তাকে স্পর্শ করলে তা সে পছন্দ করে। আমরা প্রার্থনা করছি সে যেন ২০০ তম জন্মদিনে পৌঁছায়।’
আরও পড়ুন: কেক যখন জীবনবৃত্তান্ত!