তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ওপর বাংলাদেশের মানুষের কোনো আস্থা নেই। ইভিএম বিষয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তারা ইতিমধ্যেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চট্টগ্রামের এই উপনির্বাচনেও তারা ইভিএম মেশিনে ভোট চুরি করে জয়ী হতে চেষ্টা করবে।’
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবু সুফিয়ানের মার্কা ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগকালে কয়েকটি পথসভায় বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন খসরু।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ইভিএম এর স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে ইভিএম বাদ দেয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে। বাংলাদেশে এই মেশিনের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
‘দেশে ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভোট আমরা যুগে যুগে দেখেছি। এই সময়ে এসে কেন ইভিএমের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল এটা এখন বড় প্রশ্ন,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
মহানগরীর নগরীর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বড় কবরস্থান, ইলিয়াস ব্রাদার্সের বাড়ি, কেবি আমান আলী রোড, মজিদিয়া মাদরাসা ও রাহাত্তালপুল এলাকার পাড়া-মহল্লার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন খসরু। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ তার সাথে ধানের শীষের গণসংযোগে অংশ নেন।
এসময় সমবেত জনতার উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, জনগণ আজকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য। তাদের মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য।
‘এখানে জোয়ার নেমেছে ধানের শীষের পক্ষে, আবু সুফিয়ানের পক্ষে। মানুষ অপেক্ষা করছে উন্মুক্ত পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ধানের শীষ প্রতীককে জয়ী করে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য,’ বলেন তিনি।
গণসংযোগকালে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে সুষ্ঠু ভোট হবে কি না তা নিয়ে।
‘বিগত নির্বাচনে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। দিনের ভোট রাতে নিয়ে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগ। এবার মানুষ সে ধরনের ভোট চাই না। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ধানের শীষের জোয়ার দেখতে পাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, হারুণ জামান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ-সম্পাদক জিএম আইয়ুব খান, মো. বখতেয়ার, মো. ইদ্রিস আলী, আবদুল আজিজ, জাকির হোসেন, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক হাসান লিটন, বিএনপি নেতা মো. আলমগীর, হাজী ইলিয়াস শেকু, আবুল বাশার, হাজী নিজাম, মহিলাদল নেত্রী শাহেদা বেগম, আফরোজা বেগম জলি, যুবদল নেতা ম. হামিদ, গুলজার হোসেন, মনছুর আলম, মো. এসকান্দর প্রমুখ।