বিকাল সাড়ে ৩টায় আত্রাই উপজেলার নাহার গার্ডেন মার্কেটে নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শেখ রেজাউল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দুই-তিন দিন ধরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর করে ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ ভোটের দিন সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে বিএনপি সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০৪টি ভোটকেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে ধানের শীষের এজেন্ট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ৯টার সময় ভোট শুরুর পর পরই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা বিএনপি এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। অনেক কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত এবং কোনো দল করে না এমন অনেক সাধারণ ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে বুথে প্রবেশ করলেও প্রতীক নির্বাচনের আগেই তাদের বের করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এজেন্টরা। পরে তারাই সুইচ টিপে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছেন।’
এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে এ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন উল্লেখ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী।
এর আগে, আজ সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
প্রিসাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সকালে বিএনপির এজেন্টরা তালিকা দিয়ে ভোটকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা নিজেরাই চলে যান। তাদের জোর বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।’
রানীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন। ১০৪টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিং ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইন্তেখাব আলম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।