শনিবার বিকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
হাসপাতাল ছাড়ার সময় নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের বিচার দাবি করেন আরিফুল। সেই সাথে তিনি সতীর্থ সাংবাদিকসহ দেশবাসী ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে আরিফুলকে ধরে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দেয়ার চেষ্টা চালান আরডিসি নিজাম উদ্দীন। এক পর্যায়ে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হয়।
নির্যাতনের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকের মামলায় ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আরিফুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনা শুরু হয় এবং এতে ১৫ মার্চ আরিফুল জামিন পান। পরে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ তিন ম্যাজিস্ট্রেকে প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।