সোমবার রাতে চকরিয়ার উপজেলার হারবাঙ্গ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ বোমা হামলার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হলো।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ষোলশহর ২ নম্বর রাস্তার পাশে ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও তিন পথচারী আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়, সেটি তদন্ত করে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এ ঘটনার পর অনলাইন সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ থেকে এই হামলার সাথে আইএস জড়িত বলে জানায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেয়া হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী বলেন, তারা নিজেরা সেলফ মোটিভেটেড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন। নিজেদের সংগঠনের আদর্শ ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে পুলিশকে তারা চিহ্নিত করে এবং তাদের অন্যতম শত্রু মনে করে। তারা অনলাইন থেকে নিজেরাই ইম্প্রোভাইসজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বানিয়ে তা বিস্ফোরণের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি নতুন সেল। এই সেলের মধ্যে ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ আছে। তারা কাট আউট পদ্ধতিতে যোগাযোগ করে। তাদের বাকি সদস্যদের আমরা খুঁজছি।’
এর আগে গত ৩ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।